রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একমাত্র বিজ্ঞানগ্রন্থটি হল ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত বিশ্বপরিচয়। এ ছাড়া বিজ্ঞানবিষয়ক তার প্রতিটি রচনাই তত্ত্ববােধিনী, বালক, ভারতী, সাধনা, বঙ্গদর্শন, ভাণ্ডার, সবুজপত্র, শান্তিনিকেতন, বঙ্গবাণী, প্রবাসী, আনন্দবাজার পত্রিকা সাহিত্য, প্রদীপ, ইত্যাদি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তার বিজ্ঞাননির্ভর রচনাবলির মধ্যে রয়েছে গ্রহগণ জীবের আবাস-ভূমি, সামুদ্রিক জীব (প্রথম প্রস্তাব) কীটাণু, শূন্য, জগৎ-পীড়া, বৈজ্ঞানিক সংবাদ, ডেক্রে পিঁপড়ের মন্তব্য, বৈজ্ঞানিক সংবাদগতিনির্ণয়ের ইন্দ্রিয়, ইচ্ছামৃত্যু, মাকড়সা সমাজে স্ত্রীজাতির গৌরব, উটপক্ষীর লাথি। রােগশত্রু ও দেহরক্ষক সৈন্য, বৈজ্ঞানিক সংবাদ—জীবনের শক্তি, ভূতের গল্পের প্রামাণিকতা, মানবশরীর, আহার সম্বন্ধে চন্দ্রবাবুর মত, সাময়িক সারসংগ্রহ: উদয়ান্তে চন্দ্রসূর্য, সাময়িক সারসংগ্রহ: অভ্যাসজনিত পরিবর্তন, সাময়িক সারসংগ্রহ মানুষ ও সৃষ্টি, ওলাউঠার বিস্তার, ঈথার, ভূগর্ভস্থ জল এবং বায়ুপ্রবাহ, প্রসঙ্গকথা, আচার্য জগদীশের জয়বার্তা, জড় কি সজীব, শিক্ষা ও পরীক্ষা, জ্যোতিঃশাস্ত্র, বিজ্ঞানসভা, আমার জগৎ, খাদ্য চাই, আহারের অভ্যাস, ম্যালেরিয়া, একখানি চিঠি, আয়ুর্বেদ, বসু-বিজ্ঞান মন্দির, খাদ্য ও পুষ্টি প্রভৃতি।
তার লেখা ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক প্রবন্ধাবলির মধ্যে রয়েছে- সংগীতের উৎপত্তি ও উপযােগিতা, বাঙ্গালা উচ্চারণ, একটি প্রশ্ন, সংজ্ঞা বিচার, স্বরবর্ণ-অ, স্বরবর্ণ-এ, টা টো টে। বিজ্ঞান নিবন্ধের সমালােচনার মধ্যে রয়েছে সুবােধচন্দ্র মহলানবিশের জীবতত্ত্ব এর সমালােচনা, উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরির সৃষ্টির বিশালত্ব-এর সমালােচনা, জগদানন্দ রায়ের বায়ুনভােবিদ্যা-র সমালােচনা প্রভৃতি। এ ছাড়া তিনি সন্তোষবিহারী বসু প্রণীত সরল কৃষি শিক্ষা, কিরণচন্দ্র দাস প্রণীত পথ্যে পরমায়ু এবং বি এল ভাদুড়ি সম্পাদিত The Indian Homeopathic Review গ্রন্থাদির সমালােচনা করেন। ডা. পশুপতি ভট্টাচার্যের লেখা দুটি বই—ভারতীয় ব্যাধি ও আধুনিক চিকিৎসা এবং আহার ও আহার্ফ- এর ভূমিকা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের লেখা। চিকিৎসক বি এন মিত্র রচিত Tissue Remedies এবং সর্বাণীসহায় সরকার সম্পাদিত বিজ্ঞান পরিচয় পত্রিকার ভূমিকা তিনি লিখেছিলেন। প্রমথনাথ সেনগুপ্ত রচিত পৃথ্বী পরিচয় গ্রন্থের ভূমিকাটিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই লেখা।
বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে |
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদানন্দ রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তার অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে।
বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও।
বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।
বাঙালির ক্রীড়া ঐতিহ্যে ফুটবলের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল? এই পর্বের ফুটবলের সঙ্গে কোন্ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়ে আছে? বাংলার ফুটবলের কোন্ ঘটনা, কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল?
ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জয়ী মােহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস পর্যালােচনা করাে।
Leave a comment