প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, যে কোন পরীক্ষায় রচনা লিখতে আসে। বিশেষ করে রচনা –
ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা রচনা লিখতে আসে। তাই আমি তোমাদের জন্য রচনা –
ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা রচনা যথাযথভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা
পরীক্ষায় রচনা – ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা রচনাটি লিখতে চাও আমার আজকের
পোস্ট তাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী, আমি তোমাদের জন্য রচনা – ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা
রচনাটি বিস্তারিত ভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি রচনা – ক্রিকেট খেলা –
আমার প্রিয় খেলা লিখলে তোমরা পরীক্ষায় বেশ ভালো নম্বর পাবে। নিচে রচনা –
ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা বিস্তারিত লিখা হলো-

পোস্ট সূচীপত্রঃ রচনা – ক্রিকেট খেলা – আমার প্রিয় খেলা 

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বে যতগুলো জনপ্রিয় খেলা রয়েছে ক্রিকেট খেলা তার মধ্যে অন্যতম। যদিও
ক্রিকেট খেলা হলো বিদেশী খেলা এরপরেও অধিকাংশ মানুষ ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন। যার
কারনে ক্রিকেট খেলাকে বলা হয় খেলার রাজা। বর্তমানে ক্রিকেট খেলাটি বিশ্বের সব
দেশেই প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আধুনিক এই বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ও অভিজাত খেলা হলো
ক্রিকেট খেলা। ক্রিকেট খেলা হলো রেকর্ড ভাঙ্গা এবং গড়ার খেলা।

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশেষে উত্তেজনা বিরাজ করে অন্য কোন খেলাকে
নিয়ে তা হয় না। ক্রিকেট খেলা অনেক ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘ মেয়াদী এরপরেও ক্রিকেট
খেলা হলো জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেট খেলা সাধারণত শীতকালে বেশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে
কারণ এটাই একমাত্র খেলা যে খেলা সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেও ক্রিকেট
খেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে আর আমারও প্রিয় খেলা হলো ক্রিকেট
খেলা।

ক্রিকেট খেলার জন্ম/ ইতিহাস

ক্রিকেট খেলা প্রথম কবে সুনির্দিষ্ট ভাবে শুরু হয় তা জানা যায় না। তবে ১৭২১
সালে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাবিকেরা ক্রিকেট খেলার সূচনা করেছিলেন
বলে জানা যায়। আবার মনে করা হয় দশম শতাব্দী থেকে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলা আরম্ভ
হয় তাই ইংল্যান্ডকে বলা হয় ক্রিকেটের জন্মভূমি। খ্রিস্টীয় ১৮ শতকের প্রথম দিকে
ক্রিকেট খেলা প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের মাটিতে হাম্পায়ারের অন্তর্গত
হ্যাম্পারডন নামক স্থানে।

আরো পড়ুনঃ  রচনা – বিশ্ব পরিবেশ দিবস -বিস্তারিত জানুন (৬-১২)

এবং পর্যায়ক্রমে তা গ্রেট ব্রিটেন সহ সকল ব্রিটিশ উপনিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। তবে
ক্রিকেট খেলার উদ্ভব হয় অভিজাতদের অবসর সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে তাই বলা হয়
ক্রিকেট খেলা রাজবংশ ও অভিজাত শ্রেণীর লোকদের খেলা। ইংল্যান্ডের রাজা অ্যাড
ওয়ার্ডের আমলের ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি বইয়ে ক্রিকেট খেলার উল্লেখ রয়েছে। তবে
মনে করা হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে এই খেলা জনপ্রিয়তা লাভ করে ।

১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডে মহিলা ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এমন তথ্যের উল্লেখ
রয়েছে। মানুষ পরবর্তীতে বৃত্তশালী ক্রিকেটামোদি সংগঠন হাম্বল ডন ক্লাব প্রতিষ্ঠা
করেন এবং কিছু নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেন। তখন যেসব নিয়মকানুন প্রবর্তিত হয়
পরবর্তীতে সেসব নিয়ম-কানুনই এমসিসির বেধে দেওয়া নিয়ম বলে উল্লেখ করা হয়।
ক্রিকেট বর্তমানে বাংলাদেশসহ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট
ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে সহ অনেক দেশে
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

ক্রিকেট খেলার প্রকারভেদ

ক্রিকেট খেলা সাধারণত দুই ধরনের তবে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি বা ২০ ওভারের খেলা
চালু হওয়ার পর থেকে ক্রিকেট খেলা কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন –

  • ওয়ানডে ম্যাচ বা সীমিত ওভারের খেলা
  • টেস্ট ম্যাচ বা ৫ দিনের খেলা এবং
  • টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বা ২০ ওভারের খেলা

বর্তমানে বিশ্বে বিখ্যাত টেস্ট মর্যাদার দেশগুলো হলো – ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট
ইন্ডিজ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা,
নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ।

ক্রিকেট খেলার উপকরণ

ক্রিকেট খেলার প্রধান উপকরণ হলো কাঠের তৈরি ব্যাট এবং বল। ব্যাট সাধারণত দৈর্ঘ্য
আড়াই ফুট এবং প্রস্থ ৪ ইঞ্চি বা সাড়ে চার ইঞ্চি হয়ে থাকে। প্রায় সাড়ে তিন
ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট চামড়ায় মোড়ানো কাঠের বল ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও তিনটি
কাঠের তৈরি দ্বন্দ্ব প্রয়োজন হয় এগুলোকে বলা হয় উইকেট। এবং বিপরীত দিকে
একইভাবে আরো তিনটি উইকেট থাকে এক কথায় মোট ছয়টি কাঠের তৈরি দন্ডের প্রয়োজন
হয়।

আরো পড়ুনঃ কানাডায় স্কলারশিপ কত – কানাডায় পড়াশোনার মাসিক খরচ ২০২৩/২৪

 এবং উইকেটের মধ্যে ব্যবধান সমান রাখার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মাপের দু
টুকরো কাঠ উইকেটর ওপর বসানো থাকে আর এই কাঠের টুকরা দুটোকে বেল বলা হয়। এছাড়াও
পায়ে পরার জন্য তুলার তৈরি এক প্রকার পুরো প্যাড থাকে এবং হাতে পরার জন্য থাকে
হাত মোজা বা গ্লোবস। ক্রিকেট খেলার সময় উইকেটগুলো বল বা অন্য কিছু দ্বারা আঘাত
পেলে বেলগুলো মাটিতে পড়ে যায় এবং এতে খেলা মীমাংসা হয়ে যায়। আর এভাবেই আউট
হয় বলে একে বলা হয় উইকেট আউট।

ক্রিকেট খেলার মাঠে আকৃতি

ক্রিকেট খেলার মাঠ সাধারণ বৃত্তাকার হয় এবং এর ব্যাসার্ধ হয় ৭০ গজ। ক্রিকেট
খেলার মাঠের যে স্থানে ব্যাট দ্বারা বল কে আঘাত করা হয় সেই স্থানকে অনেক যত্ন
সহকারে তৈরি করা হয়ে থাকে। একই জায়গাটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় এবং
একে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয় পিচ দিয়ে যার কারণে এই জায়গার নাম বলা হয় পিচ। আর
এই পিচের লম্বা থাকে ৪৪ হাত বা ২২ গজ। ক্রিকেট খেলায় দুই ২ টি দল থাকে এবং
প্রতিটি দলে ১১ জন করে মোট ২২ জন খেলোয়াড় থাকে।

ক্রিকেট খেলার নিয়ম – কানুন

ক্রিকেট খেলা সাধারণত অনুষ্ঠিত হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রতিটি দলে ১১ জন করে মোট
২২ জন খেলোয়াড় থাকে এবং খেলা পরিচালনা করার জন্য দুইজন আম্পায়ার থাকেন কখনো
কখনো তৃতীয় আম্পায়ার কেউ দেখা যায়। খেলা শুরু হওয়ার পূর্বে দুজন অ্যাম্পিয়ার
এবং দু দলের দুইজন অধিনায়ক মাঠে নামেন এবং কোন দল ব্যাট করবে তা ঠিক করার জন্য
মুদ্রা দিয়ে টস করা হয়। যে দল টসে জয় লাভ করে সেই দলের অধিনায়ক ইচ্ছে করলে
ব্যাটিং বা ফিল্ডিং যে কোন একটি বেছে নিতে পারেন।

তবে উভয় দলকে একবার ব্যাট করতে হয় এবং একবার ফিল্ড করতে হয়। তবে যে দল ব্যাট
করবে সেই দলের মাত্র দুইজন খেলোয়াড় ব্যাট হাতে মাঠে গিয়ে দাঁড়ান এবং যে দল
ফিল্ড করবে সেই দলের ১১ জন খেলোয়াড় দলের অধিনায়কের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব
অবস্থানে অবস্থান করেন। তবে যে দল ব্যাট করবেন সেই দলের দুইজন খেলোয়াড়ের মধ্যে
একজন বল পেটান এবং আর অপরজন প্রয়োজন বোধে রান সংগ্রহ করার জন্য দৌড়ান।

খেলোয়াড়দের আউট বিধি

আর যে দল ফিল্ডিং করবে সেই দল প্রতিপক্ষকে আউট করার জন্য চেষ্টায় থাকেন।
ব্যাটধারীর পেছনে যে দাঁড়িয়ে থাকে তাকে বলা হয় উইকেট রক্ষক।আর বল যদি উইকেটে
লাগে তাহলে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায় এবং একে বলা হয় বোল্ড আউট আর ব্যাটসম্যান
এবং খেলোয়ার দৌড়ে রান করার সময় যদি আউট হয়ে যান তাহলে একে বলা হয় রান
আউট। 

আর ব্যাটসম্যান বলে আঘাত করার পর বল মাটিতে পড়ার আগে যদি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়
সেই বল ধরে থাকেন তাহলে তাকে বলা হয় কট আউট বা ক্যাচ আউট। আর যদি বল নির্দিষ্ট
স্থানে না গিয়ে যদি স্ট্যাম্পে লাগে তাহলে এর মাধ্যমে যে আউট হয় তাকে বলা হয়
স্ট্যাম্প আউট।

ক্রিকেট খেলায় বোলার

 যিনি বল ছুড়ে মারেন বা নিক্ষেপ করেন তাকে বলা হয় বোলার। একজন বোলার পর পর
ছয়টি করে বল করতে পারেন। ছয়টি করে বলে এক ওভার অনুষ্ঠিত হয়। যিনি ব্যাট করেন
অর্থাৎ ব্যাটসম্যান তিনি অতি সতর্কতার সাথে বল পেটান এবং সুযোগ মত বল মাঠের বাইরে
পাঠিয়ে দেন। তবে একজন বোলার একদিনের খেলায় বিরোতি নিয়ে মোট ১০ ওভার বল করতে
পারেন।তবে বল যদি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ধরে থাকেন তাহলে ব্যাটসম্যান আর দৌড়াতে
পারেন না। তবে বোলিং করার যে কৌশল তার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। যেমন- ফাস্ট বলার,
প্রিন্স বলার ইত্যাদি।

ক্রিকেট খেলায় রান সংগ্রহ

কখনো সীমানার ওপর দিয়ে বল অতিক্রম করে এবং কখনো মাঠ গড়িয়ে বল অতিক্রম করে যদি
সীমানার ওপর দিয়ে বল অতিক্রম করে তাহলে অর্জিত হয় ছয় রান এবং একে বলা হয়
ছক্কা। আর যদি বল গড়িয়ে মাঠ অতিক্রম করে তাহলে চার রান অর্জিত হয় এবং অনেক
সময় ব্যাটসম্যান দৌড়ে রান সংগ্রহ করেন। আর ব্যাটসম্যান দৌড়ে যতবার নির্দিষ্ট
সীমানা অর্থাৎ ২২ গজ পিচ অতিক্রম করবে তত রান অর্জিত হবে।

ক্রিকেট খেলার নিয়ম অনুযায়ী এক দলের সবাই যখন আউট হয়ে যায় এবং তখন সেই দলের
খেলা শেষ হয়ে যায় এবং অপর দল মাঠে নামে। এইভাবে পর্যায়ক্রমে দুই দলের খেলা শেষ
হয় এবং যে দল বেশি রান করে বা উইকেট বজায় রাখতে পারে সেই দল বিজয়ী হয়।

ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের সাজানো

ক্রিকেট খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের সাজানো একটি কৌশলের ব্যাপার। যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন
সৈন্যদের সাজানো হয় ঠিক খেলার মাঠে ও ফিল্ডার সেইভাবে সাজানো হয়ে থাকে।
খেলোয়াড়দের যদি সঠিকভাবে সাজানো না যায় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু তছনছ
হয়ে যাবে। বোলিংয়ের দাপটে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়েরা দিশেহারা হয়ে পড়বে।

ক্রিকেট খেলায় জয় পরাজয়

একদিনের ক্রিকেট খেলায় জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট ওভারের রানের সংখ্যা
অথবা কতজন ব্যাটসম্যান নট আউট রয়েছে তার হিসেব অনুসারে। সুতরাং এ খেলায় সব সময়
লক্ষ্য রাখতে হয় রান বাড়াবার দিকে এবং উইকেট রক্ষার দিকে। অন্যদিকে টেস্ট
ম্যাচে প্রতি দল দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পায়। তবে এর মধ্যে যে দল বেশি রান করতে
পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আউট করতে পারে সেই দলই জয়ী হয়
অথবা যদি দুই দলের অবস্থা সমান থাকে তাহলে খেলায় ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রিকেট খেলার আনন্দ

ক্রিকেট খেলার আনন্দ বিভিন্ন মাত্রায় হয়ে থাকে কারণ নিজের পছন্দের দল যখন চার
বা ছক্কা মেরে নিজেদের দলের রান সংগ্রহ করে তখন যে এক অনুভূতি হয় তা বলে বোঝানো
যাবে না। চার এবং ছক্কা মেরে যে রান সংগ্রহ হয় তার উত্তেজনায় আলাদা। বোলিংয়ের
দাপট বা ফিল্ডারদের হাতে ব্যাটিং বিপর্যয় উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনাকে পৌঁছে দেয় চরম
পর্যায়ে। এই জন্য একদিনের ক্রিকেটের উত্তেজনা আলাদা। তবে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি
বা ২০ ওভারের ম্যাচ সবচেয়ে উত্তেজনা পূর্ণ খেলা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা

ক্রিকেট খেলার শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ক্রিকেট খেলার ব্যাপক পরিবর্তন
শুরু হয়েছে। শুরু থেকে শুধুমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলা হলেও পরবর্তীতে তা একদিনের
ম্যাচে পরিবর্তিত হয়েছে। ক্রিকেট খেলার প্রথম দিকে ৬০ ওভার করে খেলা অনুষ্ঠিত
হতো। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৫০ ওভারে নিয়ে আসা হয়েছে এবং এবং বর্তমানে
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বা ২০ ওভারের খেলার প্রচলন শুরু হয়েছে।

ক্রিকেট খেলার শুরুর দিকে খেলা পরিচালনার জন্য দুইজন আম্পিয়ার থাকতেন কিন্তু
বর্তমানে খেলা পরিচালনার জন্য আরেকজন আম্পায়ার অর্থাৎ থার্ড আম্পিয়ার খেলা
পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। আর বিভিন্ন প্রযুক্তির ও ব্যবহার করা হয় খেলা পরিচালনা
করার জন্য।

ক্রিকেট খেলা ও বাংলাদেশ

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রবেশ করে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
অর্জনের মধ্য দিয়ে। আর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান ও স্কট ল্যান্ডকে পরাজিত করে
বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আসরে আসে এবং এরই ফলস্বরূপ ২০০০ সালে বাংলাদেশ লাভ করে টেস্ট
মর্যাদা এবং টেস্ট খেলা শুরু করে আইসিসির দশম সদস্য হিসেবে। বাংলাদেশ প্রথম
ক্রিকেট টেস্ট খেলে ভারতের বিপক্ষে এবং প্রথম ইনিংসের ৪০০ রান করে বিশ্বের বড়
বড় দেশগুলোকে চমকে দেন।

আরো পড়ুনঃ  মোবাইল ফোন – রচনা  ৬-১২ শ্রেণির জন্য

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিভিন্ন কারণে তাদের সফলতা ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ
ক্রিকেট দল শক্তির বিচারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে তবে যে কোন দেশকে হারাতে পারবে।
সাফল্যের আনন্দ ক্ষণিকের এ কথা তাদের মাথায় রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের
জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

আইসিসি প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি লাভ করে ১৯৯৭ সালে। ১৯৫৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট
আইসিসি বা কনফারেন্স গঠিত হয়। ১৯০৯ সালে মূলত আইসিসি প্রতিষ্ঠা পায় তবে এটি
ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট কনফারেন্স নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে আইসিসি ট্রফি নাম ধারণ
করে এবং ইন্টারন্যাশনাল হিসাবে পরিবর্তনের ফলে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো ছাড়া
অন্যান্য দেশ এর সদস্য হবার সুযোগ লাভ করে থাকে।

ক্রিকেট খেলার উপকারিতা

ক্রিকেট খেলা ও অন্যান্য খেলার মত স্বাস্থ্যকর এবং আনন্দদায়ক। এই খেলা
খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা বোধ, পারস্পরিক সমঝোতা, সহিষ্ণুতা, ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও
সতর্কতার শিক্ষা দিয়ে থাকে। এছাড়া খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে এক রাষ্ট্রের
সাথে অন্য রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার কারণে খেলোয়াড়দের বলা হয় শুভেচ্ছা
দূত। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়গণ ও পর্যায়ক্রমে পারদর্শী হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যদি তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেন তাহলে ক্রিকেট খেলায়
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

ক্রিকেট খেলার অপকারিতা

ক্রিকেট খেলার বল কাঠ এবং চামড়া দিয়ে তৈরি। এই বলের ওজন প্রায় ৩৮০ গ্রাম আর
খেলার সময় এই বল এত সজরে নিক্ষেপ করা হয় যার কারণে খেলোয়াড়দের মাথায় আঘাত
লেগে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বলা হয় ক্রিকেট খেলায় অনেক ঝুঁকি
রয়েছে। এছাড়া ক্রিকেট খেলা অনেক সময় ধরে হয় এবং এই খেলায় অনেক বেশি সময়
অপচয় হয়। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শিক্ষার্থীরা।
তবে সবাই যদি সচেতন থাকে তাহলে সব ধরনের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ক্রিকেট কেন প্রিয় খেলা

ক্রিকেট আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। আমার কাছে ক্রিকেট একটি আবেগের নাম। আমি খুব
ছোটবেলা থেকেই যখন টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতাম তখন থেকে আমার ক্রিকেট খেলা অনেক
বেশি ভালো লাগতো। আমার কিছু প্রিয় খেলোয়াড় বিশেষ করে শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ
গাঙ্গুলী. সাকিব আল হাসান যখন ব্যাট করেন এবং বল করেন তখন আমার অনেক বেশি ভালো
লাগতো।আর আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের খেলা দেখে আমি নিজেও একজন ক্রিকেটার হওয়ার
স্বপ্ন দেখতাম।

আরো পড়ুনঃ  নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রচনা সম্পর্কে জানুন

ক্রিকেট খেলার মধ্যে যে উদ্দীপনা এবং উত্তেজনা রয়েছে তা প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে
আন্দোলিত করে। খেলা মানুষের জীবনে হয়তো মানসিক বা শারীরিক বিনোদন মাত্র তবে আমার
কাছে ক্রিকেট হল আমার জীবনের আদর্শ স্বরূপ। আমার মনে হয় ক্রিকেট খেলায় যেমন
ছক্কা মেরে সফলতা অর্জন করা যায় জীবনেও তেমনি সফলতা অর্জন করা সম্ভব। একটি
ক্রিকেট ম্যাচ মানুষকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বীয় মহিমায় মাতিয়ে রাখে। তাই
সবকিছু মিলে ক্রিকেট আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা।

উপসংহার

বর্তমান সময়ে যতগুলো খেলা রয়েছে ক্রিকেট খেলা তার মধ্যে অন্যতম। যদিও ক্রিকেট
খেলা সময় এবং ব্যয় সাপেক্ষ তারপরেও ক্রিকেট আমার প্রিয় খেলা। যদিও অনেকেই এই
খেলা কে অপচয় বলে মনে করেন। জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে ক্রিকেট অত্যন্ত অনিশ্চয়তার
খেলা। কারণ খেলার মোড় এক মুহূর্তের মধ্যে ঘুরে যেতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ
ক্রিকেট দল ও এগিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে তালে তাল মিলিয়ে।