নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার বা 1000 মিলি দ্রাবকে যে পরিমাণ দ্রব্য দ্রবীভূত হয় দ্রবণ তৈরি করে তাকে মোলারিটি বলে।
বিভিন্ন ঘনমাত্রা ও আয়তনের মোলার দ্রবণ তৈরি করতে হলে, প্রথমে কত আয়তন ও কত ঘনমাত্রার দ্রবন তৈরি করব তা নিশ্চিত হতে হবে।

যেমনঃ 500 মিলি 0.1M সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর দ্রবন তৈরি করব। এক্ষেত্রে 500 মিলি আয়তনে 0.1 M দ্রবণ তৈরীর জন্য যতটুকু সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) প্রয়োজন তা হিসাব করে নিতে হবে। 

আমরা নিচের সূত্র দ্বারা সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর পরিমাণ হিসাব করতে পারি।
W = MVS / 1000

এখানে, W = দ্রব্যের পরিমান।
M = দ্রব্যের আণবিক ভর।
V = দ্রবণের আয়তন।
S = দ্রবণের ঘনমাত্রা।

যদি আমরা দ্রবণের আয়তন মিলি এককে ব্যবহার করি তবে 1000 দিয়ে ভাগ করার দরকার। কিন্তু দ্রবণের আয়তন লিটার এককে ব্যবহার করলে 1000 দিয়ে ভাগ করার প্রয়োজন নেই।
এই সমীকরণ থেকে আমরা 500 মিলি 0.1 M ঘনমাত্রার NaOH এর দ্রবন তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় NaOH হিসাব করে নিব।

হিসাবঃ
এখানে, দ্রব্যের পরিমান(W) =?
দ্রব্যের(NaOH) আণবিক ভর(M)  
= 23+16+1= 40g
দ্রবণের আয়তন(V) = 500ml
দ্রবণের ঘনমাত্রা (S) = 0.1M
W=(40x500x 0.1) ÷ 1000
   =2g

এরপর ঐ 2g পরিমাণ NaOH ইলেকট্রনিক ব্যালেন্সে মেপে নেব। এরপর 500 মিলি আয়তনের একটি আয়োতোমিতিক ফ্লাক্সে যোগ করব। এরপর ফ্লাক্সে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতিত পানি যোগ করে দ্রবণকে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। তাহলে 500 মিলি 0.1 M NaOH এর দ্রবন তৈরি হয়ে যাবে।

আবার 250ml 0.01M Na₂CO₃ এর দ্রবণ তৈরি করা যায়। প্রথমে প্রয়োজনীয় Na₂CO₃ এর পরিমাণ হিসাব করে 250ml আয়তনের আয়োতোমিতিক ফ্লাস্কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পাতিত পানি যোগ করে দ্রবণ তৈরি করা যায়।

হিসাবঃ
এখানে, দ্রব্যের পরিমান(W) =?
দ্রব্যের(Na₂CO₃) আণবিক ভর(M)  
= 23×2+12+16×3= 106g
দ্রবণের আয়তন(V) = 250ml
দ্রবণের ঘনমাত্রা (S) = 0.01M
W=(106x250x 0.01) ÷ 1000
   =0.265g

এরপর ঐ 0.265g পরিমাণ Na₂CO₃ইলেকট্রনিক ব্যালেন্সে মেপে নেব। এরপর 250 মিলি আয়তনের একটি আয়োতোমিতিক ফ্লাক্সে যোগ করব। এরপর ফ্লাক্সে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতিত পানি যোগ করে দ্রবণকে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। 

তাহলে 250 মিলি 0.01 M Na₂CO₃  এর দ্রবন তৈরি হয়ে যাবে।
এভাবে যে কোনো আয়তনের এবং যেকোন ঘনমাত্রার মোলার দ্রবণ তৈরি করা যায়।