মোমবাতির প্রধান উপাদান হাইড্রোকার্বন অ্যালকেন। মোমবাতির দহন করলে ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন উভয়ই ঘটে।

ভৌত পরিবর্তনঃ  যে পরিবর্তন শুধু পদার্থের বাহ্যিক অবস্থার (কঠিন, তরল ও গ্যাস) পরিবর্তন ঘটায় তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে।

মোমবাতির দহন করলে ভৌত পরিবর্তন ঘটে। মোমের সলতে আগুন দিলে তাপের প্রভাবে সলতের নিচের অংশে কঠিন মোম গলে তরলে পরিণত হয়। 

আবার এই তরল মোম, মোমের গা বেয়ে নিচের দিকে পড়লে তরল মোম আবার কঠিন মোমে রূপান্তরিত হয়। আবার তাপের প্রভাবে কিছু মোম গ্যাসে পরিণত হয়। 

অর্থাৎ মোমকে দহন করলে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় অবস্থার পারস্পারিক রূপান্তর ঘটে। 

অর্থাৎ ভৌত পরিবর্তন সংঘটিত হয়।

 

রাসায়নিক পরিবর্তনঃ কোন পদার্থ যখন  তার নিজস্ব ধর্ম সম্পূর্ণ হারিয়ে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট অন্য  কোন পদার্থে পরিণত  হয়  হওয়াকে  রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
মোমকে দহন করলে মোমের হাইড্রোকার্বন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂)  জলীয় বাষ্প (H₂O)  এবং তাপ ও আলো শক্তি উৎপন্ন করে। এতে মোম এর সম্পূর্ণ ধর্ম হারিয়ে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট কার্বন- ডাই- অক্সাইড ও জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। 

এজন্য মোমবাতির দহনে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
মোম + O₂ —–>CO₂ (g) + H₂O (g) + তাপ + আলো

অতএব বলা যায়,  মোমবাতির দহন করলে ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন উভয়ই ঘটে।