আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো মোবাইল ফোন। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় ভালো করতে চাও আমার এই মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ তাদের জন্য।
সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আমি মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ ক্লাস ৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১২ অর্থাৎ সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য সঠিকভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা ৫,৬,৭ শ্রেণীতে পড়ো তারা যে কোন একটি প্যারা স্ক্রিপ করতে পারো। তবে আমি মনে করি এগুলো স্কিপ না করাই ভালো কারণ লিখতে গেলে অনেক সময় ভুলে যেতে পারো। তাই একটু বড় পড়ে রাখলে মানসম্মত উত্তর করতে পারবে। নিচে মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ বিস্তারিত লিখা হলো –
মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ
আধুনিক বিজ্ঞানের একটি সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন হল এমন এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর মোবাইল ফোন শব্দ দ্বারা একই সাথে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন মুঠোফোন, সেলুলার ফোন বা সেল ফোন নামেও পরিচিত। আর এই ডিভাইসটি আকারে ছোট যার কারণে সহজে পকেটে বহন করা যায়। মোবাইল ফোন হচ্ছে ল্যান্ড ফোনের উন্নত সংস্করণ।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন – রচনা ৬-১২ শ্রেণির জন্য
১৯৭৩ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী মাটিন কুপার সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার প্রথম সফল ভাবে ২ কেজি বা ৪.৪ পাউন্ড ওজনের হাতে ধরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম কল করতে সক্ষম হন যার কারণে তাকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। ১৯৮৩ সালে মোবাইল ফোন প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসে।ডক্টর মার্টিন কুপার প্রথম যে ফোন আবিষ্কার করেন তার নাম ছিল মোটোরোলা ডাইন আর টি এস সি ৮০০০ এক্স ( Dyna 8000 x)।
আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে মোবাইল ফোন সর্বপ্রথম বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশ মোট ছয়টি মোবাইল কোম্পানি আছে। যে মোবাইল ফোনে কথা বলার পাশাপাশি আধুনিক কম্পিউটারের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করা যায় তাকে বলা হয় স্মার্টফোন। আর এই ডিভাইসের মাধ্যমে কথা বলার ছাড়াও যেসব কাজ সম্পাদন করা হয় তা হল – বিভিন্ন ক্ষুদে বার্তা আদান প্রদান, বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া,ইমেইল করা,গান শোনা,
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট বাংলাদেশ – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
নাটক দেখা,রেডিও শোনা, টিভি দেখা এমনকি অপরাধি সনাক্ত করার কাজেও আজকাল মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদন করা যায় যার কারণে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পুরো বিশ্বের মানুষকে নিয়ে আসতে পেরেছে হাতের মুঠোয়। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সমগ্র বিশ্বে মোবাইল ফোন
আরো পড়ুনঃ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
ব্যবহারকারী সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ছয় ৬ মিলিয়নের বেশি হয়েছে। এবং পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮৭ জন মোবাইলের আওতায় এসেছে। আর বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি। তবে মোবাইল ফোন মানুষকে যেমন ভালো পথের সন্ধান দিয়েছে তেমনি এর খারাপ ব্যবহার ও রয়েছে। তাই সঠিকভাবে এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
শেষ কথা
মোবাইল ফোন হলো আধুনিক বিজ্ঞানের একটি অবিস্মরণীয় আবিষ্কার। মানুষ এখন সবকিছু খুব সহজে করতে চাই আর মোবাইল ফোন হল তার একটি প্রতিচ্ছবি। প্রিয় শিক্ষার্থী, আমি তোমাদের জন্য মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ লিখেছি। আমি আশা করি আমার এই মোবাইল ফোন – অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে তোমরা উপকৃত হবে। আর যদি উপকৃত হও তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবে।
Leave a comment