বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অথচ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য মেধা পাচার বা ব্রেন ড্রেন একটি অতি সাধারণ ঘটনা। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে যার কারণে আমি মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য নিচে মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখা হলো। তোমরা যে কোন পরীক্ষায় এই মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ লিখতে পারো।

মেধা পাচার – অনুচ্ছেদ 

বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্রেন ড্রেন বা মেধা পাচার একটি খুবই প্রচলিত শব্দ। সাধারণত মেধা পাচার বলতে বোঝানো হয় কোন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী, প্রযুক্তিবিদ, বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং দক্ষ জনশক্তি নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে কর্ম ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করা আর নিজ দেশে ফিরে আসে না তখন মেধা পাচার হয়। সাধারণত উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মেধা পাচার হয়ে থাকে যার কারণে এই দেশগুলোর সমস্যা সব সময় প্রকট থাকে।

একজন মেধাবী ব্যক্তি তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারে কিন্তু যখন সে নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যায় তখনই সেই দেশ বা জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়ে। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল ৫৭টি দেশের ২০২১ – ২২ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৪৯ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গমন করে কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর দেশের ফেরত আসেনি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশ যাওয়ার এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আরো পড়ুনঃ নারীর ক্ষমতায়ন – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

শিক্ষার্থীরা ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান এইসব দেশগুলোতে বৃত্তিসহ বিভিন্ন লোভনীয় সুবিধার কারণে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যায় কিন্তু তারা পড়াশোনা শেষ করে আর দেশে ফেরেনা মেধা পাচার হয় আর এর বেড়াজালে রয়েছে বাংলাদেশসহ নাইজেরিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, সুদান, বলিভিহা, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিয়ানমার এবং মধ্য পাচ্যের কয়েকটি তেল উৎপাদনকারী দেশ অথচ যারা প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে অনেক দরিদ্র দেশ যেমন –

আরো পড়ুনঃ ই – মেইল  অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড এরা শুধুমাত্র তাদের অর্জন দিয়ে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার একজন বুয়েট শিক্ষার্থীর পেছনে শিক্ষা সমাপনীতে ব্যয় করছে ১০ লাখ টাকা, একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী পেছনে ব্যয় হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা এবং যারা সাধারণ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষার্থীর পেছনে ব্যয় হয়েছে পাঁচ ৫ লাখ টাকা অথচ তারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়ে শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আর দেশে ফিরে আসে না। মেধা পাচার হচ্ছে বিদেশে।

শেষ কথা

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলো মেধা পাচার রোধ করতে হলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সদ ইচ্ছার প্রয়োজন রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর মত দক্ষতা অর্জন করা এমন লোককে যথাযথ কাজে নিয়োগ করতে হবে।