প্রাচীন ভারতে বৈদিক যুগে, শিব, অগ্নি, জল, বায়ু প্রভৃতিকে দেবতা হিসেবে কল্পনা করে আরাধনা করা হত। কিন্তু কোনো মূর্তি বা অবয়ব কল্পনা সে যুগের মানুষেরা করেননি। আর্যরা বিভিন্ন শিক্ষাসত্রগুলি আরম্ভ করলেন। শিক্ষাভাবনার মূলে এল প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিবিড় পাঠ। গাছপালা-নদী-পশু-পাখি বেষ্টিত হয়ে যথার্থভাবে জীবনের শিক্ষা চলতে লাগল। তাইজন্য আমরা দেখি প্রাচীন ভারতের শিক্ষা তপোবনকেন্দ্রিক ব্রহ্মচর্য-এর শিক্ষা। শিক্ষাকেন্দ্রগুলি পশ্চিমদিক থেকে পূর্বদিকে সরে আসতে লাগল আর্যদের ভারতাবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে। ঠিক এই সময়ই সরস্বতী নদীর তীরে গড়ে উঠল শিক্ষাকেন্দ্রগুলি। ফলে একটা মত পাওয়া যায় যে দেবী সরস্বতীর কল্পনা প্রাচীন ভারতে এভাবে শিক্ষার হাত ধরেও গড়ে উঠতে পারে।
পুরাণযুগে যখন ভারতে নানা পুরাণের চর্চা আরম্ভ হয়, নানা পুরাণ লিখিত হয় তখন দেব-দেবী কল্পনাও ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। দেবী সরস্বতী সেরকমই বীণাপাণি বরাভয়দাত্রী বিদ্যা-শিল্পকলা-সংস্কৃতি-সাহিত্য প্রভৃতির সৃষ্টি ও কৃষ্টির দেবী হয়ে ওঠেন। বিদ্যা বিনয় দান করে—সুতরাং এদিক থেকেও বলা যায় বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী নারী। তাঁর মধ্যে বিনয়, মমত্ববোধ এবং বরাভয় এই সমস্ত গুণ প্রযুক্ত করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই নারীর মধ্যে এগুলি সহজাত বলেই বোধহয় বিদ্যা-সংস্কৃতির কোনো পুরুষ দেবতা হন না তিনি হন মমতাময়ী স্নিগ্ধ দেবী।
এই দেবী সরস্বতী যুগে যুগে সৃষ্টিশীল শিল্পী মানুষের মননে বয়ে যান এমনই কল্পনা করা হয়ে থাকে। বলা হয় যেখানে বিদ্যাশিক্ষা-সুন্দর শিল্পকর্ম ও সংস্কৃতির চর্চা হয় সেখানেই দেবীর অধিষ্ঠান। কিন্তু হিন্দুদের এই কল্পনা আধুনিক আলোচ্য ‘মেঘমল্লার’ গল্পেও অন্যতম প্রধানা একজন হয়ে ওঠেন। তাহলে কি এই গল্পটি রূপকথার?
কারণ আমরা জানি রূপকথার গল্পেই কল্পনার অধিবাসীরা জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেখানে ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী নামক বিশাল পাখি গল্প শোনায়, সাপের মাথায় মণি ঝিলিক দিয়ে ওঠে, কৌটোয় রাখা থাকে রাক্ষস-খোক্ষসের প্রাণ, জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙে স্বপ্নপুরীর রাজকন্যের। ‘মেঘমল্লার’-এও দেখি কল্পনার দেবী সরস্বতী বাস্তবে পা রাখেন, মন্ত্রপূত জলে পাথর হয়ে যাবার মত কিংবা তন্ত্রগুণে বশীভূত হওয়ার মত অলীক কাহিনীও এতে স্থান পায়। কিন্তু তবুও বলতে হয় ‘মেঘমল্লার’ এক আধুনিক ছোটগল্প (কল্পিত কাহিনী হওয়া সত্ত্বেও) কারণ এই গল্পে লেখকের জীবনদর্শন, আত্মনিবেদিত এক তরুণ প্রাণের আর্তি, তাঁর সুমধুর বংশীধ্বনি, ইতিহাস ও সমাজচেতনা, প্রেমভাবনা প্রভৃতি বিষয়গুলি এই গল্পটিকে রূপকথার থেকে পৃথকীভূত করে আধুনিক ছোটগল্পের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।
‘মেঘমল্লার’ গল্পে কল্পলোকের দেবী সরস্বতী জীবন্ত হয়ে ধরা দেন। অন্যান্য চরিত্র-র মত দেবীসরস্বতীও গল্পের একটি চরিত্র হিসাবে উঠে আসেন। গল্পকার বর্ণনার চমৎকারিত্বে দেবীর রূপটি আমাদের সামনে তুলে ধরেন।
গল্পে দেবীর প্রসঙ্গ আসে সুরদাস বা গুণাঢ্যের সঙ্গে প্রদ্যুম্নর কথাপ্রসঙ্গে। গুণাঢ্য যখন গোপনে বলে যে আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাত্রে ভদ্রাবতী নদীর ধারে ঢিবিটায় বসে মেঘমল্লার আলাপ করলে দেবী সরস্বতী গায়কের সামনে আবির্ভূতা হন। এছাড়া সে আরও বলে— “আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র এই তিন মাসের তিন পূর্ণিমায় প্রতিবার যদি তাঁকে আনতে পারা যায়, তবে তাঁর বরে গায়ক সঙ্গীতে সিদ্ধ হয়…..।”
কিন্তু বৌদ্ধদর্শন ও বৌদ্ধশাস্ত্র পাঠ করা প্রদ্যুম্ন-র এই ধারণাটি অলীক লাগে কারণ বৌদ্ধদর্শনে দেবী সরস্বতীর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না— “আচার্য বসুরত কলাবিদ্যা সম্বন্ধে উপদেশ দিতে দিতে অনেকবার যে বলেছেন কলা অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর যে মূর্তি হিন্দুরা কল্পনা করেন, সেটা নিছক কল্পনাই, তার সঙ্গে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই।…”
প্রদ্যুম্ন-র মনে হয়—“সত্য সত্য তাঁকে দেখতে পাওয়া—এ কি সম্ভব?”
কিন্তু সুরদাসের কথার মারপ্যাঁচে প্রদ্যুম্নর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেটে যায় এবং আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাত্রে বাঁশিতে মেঘমল্লারের তান তুলে দেবীকে মর্ত্যভূমিতে আনানোর সংকল্প গ্রহণ করে। এই ঘটনার রোমাঞ্চ তাকে নাড়া দেয়— ‘‘দেবী সরস্বতী স্বয়ং। শ্বেতপদ্মের মত নাকি রংটি তাঁর, না জানি কত সুন্দর তাঁর মুখশ্রী!”
এরপর আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাত্রে প্রদ্যুম্ন ভদ্রাবতী নদীর ধারে উঁচু ঢিবিতে বসে বাঁশিতে মেঘমল্লারের তান তুলে সরস্বতীকে মর্ত্যভূমিতে আকৃষ্ট করে। গল্পে সরস্বতীর আগমনের বর্ণনা এবং তাঁর রূপ বর্ণনা চমৎকার ভাবে ফুটে উঠে— “মাঠের মাঝখানে শত পূর্ণিমার জ্যোৎস্নার মত অপরূপ আলোর মণ্ডলে কে এক জ্যোৎস্নাবরণী অনিন্দ্যসুন্দরী মহিমাময়ী তরুণী! তাঁর নিবিড় কৃষ্ণ কেশরাজি অযত্নবিন্যস্ত ভাবে তাঁর অপূর্ব গ্রীবাদেশের পাশ দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাঁর আয়ত নয়নের দীর্ঘ কৃপক্ষ কোন স্বর্গীয় শিল্পীর তুলি দিয়ে আঁকা, তাঁর তুষারধবল বাহুবল্লী দিব্য পুষ্পাভরণে মন্ডিত, তাঁর ক্ষীণ কটি নীল বসনের মধ্যে অর্ধলুক্কায়িত মণিমেখলায় দীপ্তিমান, তাঁর রক্তকমলের মত পা দুটিকে বুক পেতে নেবার জন্যে মাটিতে বাসন্তী পুষ্পের দল ফুটে উঠেছে…হাঁ, এই তো দেবী বাণী! এঁর বীণার মঙ্গলঝঙ্কারে দেশে দেশে শিল্পীদের সৌন্দর্যতৃয়া সৃষ্টিমুখী হয়ে উঠেছে, এঁর আশীর্বাদে দিকে দিকে সত্যের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে, এঁরই প্রাণের ভাণ্ডারে বিশ্বের সৌন্দর্যসম্ভার নিত্য অফুরস্ত রয়েছে, শাশ্বত এঁর মহিমা, অক্ষয় এঁর দান, চিরনতুন এঁর বাণী।”
দেবী প্রদ্যুম্নর বাঁশি শুনে আবার মিলিয়ে যান। এরপর প্রদ্যুম্ন যখন বিহারে ফিরছিল সেইসময় পিপ্পলবনের মধ্যেও দেবীকে দেখতে পান কিছুটা পথ হারিয়ে ফেলা অবস্থায়— “তাঁর আয়ত চক্ষু দুটি অর্ধনিমীলিত, যেন কেমন নেশার ঘোরে তিনি চারিপাশে হাতড়ে পার হবার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু তা না পেয়ে পিপ্পল গাছগুলোর চারিধারে চক্রাকারে ঘুরছেন, তাঁর মুখশ্রী অত্যন্ত বিপন্নের মত।”
এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে প্রদ্যুম্ন বিহারে ফিরে আসে এবং রাত্রে নিদ্রাভিভূত অবস্থায় সে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে— ‘‘ভদ্রাবতীর গভীর কালো জলের তলায় রাতের অন্ধকারে কে এক দেবী পথ হারিয়ে ফেলেছেন; তিনি যতই ওপরে ওঠবার চেষ্টা পাচ্ছেন, জলের ঢেউ তাঁকে ততই বাধা দিচ্ছে, নদীর জলে তাঁর অঙ্গের জ্যোতি ততই নিবে আসছে, অন্ধকার ততই তাঁর চারিপাশে গাঢ় হয়ে আসছে, নদীর মাছগুলো তাঁর কোমল পা দুখানি ঠুকরে রক্তাক্ত করে দিচ্ছে…. ব্যথিত দেহা, বিপন্না, বেপথুমতী দেবীর দুঃখ দেখে একটা বড় মাছ দাঁত বার করে হিংস্র হাসি হাসছে, মাছটার মুখ গায়ক সুরদাসের মত।”
এই স্বপ্ন আর অলীক থাকে না আচার্য পূর্ণবর্ধনের কাছে সুরদাসের আসল পরিচয় এবং তন্ত্রসাধনার বশে দেবীকে বন্দিনী করার ঘটনা জানার পর। হিংস্র মাছ দেবীর ক্ষতি করছে এবং সেই মাছ-এর মুখ সুরদাসের মত এটা আর অবাস্তব থাকে না। সুরদাস বা গুণাঢ্যের উদ্দেশ্যই ছিল তন্ত্রমতে দেবীকে বন্দিনী করা, বিদ্যার দেবীকে নিজের বশীভূত করা প্রদ্যুম্নর বাঁশির সুর শুধুমাত্র অনুঘটকের কাজ করেছে মাত্র।
দেবীর এই বন্দিনী অবস্থার কথা জানতে পেরে এবং সুরদাসের কীর্তিকলাপ শুনে প্রদ্যুম্ন বিহার পরিত্যাগ করে নানা দেশ পরিভ্রমণে বের হয় দেবী ও গুণাঢ্যের সন্ধানে। বহু দেশ ঘুরে ঊরুবিশ্ব গ্রামের কাছে এসে দেবীর সন্ধান পায়— “পাহাড়ের নীচে এক জায়গায় ঝরণার জল খানিকটা আটকে গিয়ে ওই ডোবার মত জলাশয়টা তৈরি করেছে। প্রদ্যুম্নর হঠাৎ চোখ পড়ল, পাহাড়ের গা বেয়ে ধাপে ধাপে ঘটকক্ষে এক স্ত্রীলোক নেমে আসছেন।….. ভদ্রাবতীর তীরে শালবনে ইনিই তো পথ হারিয়ে ঘুরছিলেন, মাঠের মধ্যে জ্যোৎস্নারাতে এঁকেই তো সে দেখেছিল—তবে তাঁর অঙ্গের সে জ্যোতির এক কণাও আর নেই, পরণে অতিমলিন এক বস্তু।”
গুণাঢ্যের মন্ত্রগুণে বীণাপাণির অবস্থা এক সাধারণ গ্রাম্য বধুর মতো। যদিও আমাদের পুরাণে ও মহাকাব্যে ভগবানের মানবরূপ লক্ষণীয়। শঙ্খ-চক্র ধারী নারায়ণ যখন কৃষ্ণ অবতার রূপে ধরাধামে আবির্ভূত হন তখন সেই কৃষ্ণ শুধুমাত্রই নন্দদুলাল। বৃন্দাবনের গোপ বালকদের সঙ্গে ধুলোমাটি মেখে রাখাল সেজে বাঁশি বাজিয়ে, ননী মাখন চুরি করে বড় হয়ে উঠতে থাকে। মহাভারতে কৃষ্ণের ঐশ্বর্যের দিকটি ফুটে উঠলেও যদুবংশ ধ্বংসের পর সামান্য শবরের তীরে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন শ্রীভগবান। সুতরাং দেখা যাচ্ছে পুরাণ কিংবা মহাকাব্য রচয়িতারা ভগবানকে শুধুমাত্র স্বর্গের ঘেরাটোপে বন্দী করে রাখেননি। মর্ত্যামানবের দুঃখ-যন্ত্রণা আনন্দ প্রভৃতির সঙ্গী করে একেবারে মানুষের রূপ দিতে চেয়েছেন। কিন্তু এই গল্পে দেবীর মানবী রূপটি হল তান্ত্রিক মন্ত্রগুণের ফলে সৃষ্ট। গুণাঢ্য তাঁকে বন্দিনী করে এই গ্রামে এনে দাসীবৃত্তি করায় এবং নিজ অঙ্গুলীহেলনে বাগদেবীকে চালনা করে।
প্রদ্যুম্নর সঙ্গে দেবীর দেখা হলে দেবী তাকে বনের পথ দিয়ে পর্ণকুটিরে নিয়ে এসে আহার্য দান করে ক্ষুধার্ত প্রদ্যুম্নর প্রাণ বাঁচায়। মন্ত্রশক্তির জন্য দেবী পূর্বের কথা আত্মবিস্মৃত হন। প্রদ্যুম্ন দেবীর এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে অত্যন্ত দুঃখ পায়। এবং দেবী যে বনের পশুদের দেখলেও ভয় পান তার উল্লেখ আছে গল্পে। দেবী বন্দিনী হয়ে মর্ত্যবাসী কিন্তু রাত্রে যখন গান গায় তখন সেই গানে স্বর্গের সুর ধ্বনিত হয়ে ওঠে— ‘‘দেবী অনেক রাত্রে একা গান গাইছেন—সে গান পৃথিবীর মানুষের গান নয়, সে গান প্রাণধারার আদিম ঝরণার গান, সৃষ্টিমুখী নীহারিকাদের গান, অনন্ত আকাশে দিক্হারা কোন পথিক তারার গান।”
এরপরে একদিন গুণাঢ্যের সাক্ষাৎ পায় প্রদ্যুম্ন এবং গুণাঢ্য আবার ছলনা করে প্রদ্যুম্নকে ওই মন্ত্রের বিরোধী শক্তিসম্পন্ন মন্ত্রপূত জল দেয় এবং প্রদ্যুম্নও দেবীর দুঃখে দুঃখী হয়ে আত্মবলিদানে প্রস্তুত হয়, তার তরুণ মন কখনই এই অন্যায় সহ্য করতে পারে না মন্ত্রপূত জল দেবীর গায়ে দিলে নিজে জড়তাপ্রাপ্ত হবে জেনেও এই কাজে অগ্রসর হয়ে মন্ত্রপূত জল দেবীর গায়ে ছিটিয়ে দেয় এবং নিজে পাথর হয়ে যায়। এবং জল ছেটানোর পূর্বে নিজের অপরাধ (যেহেতু সে গুণাঢ্যের সঙ্গে থেকে দেবীকে আনতে সাহায্য করেছে) স্বীকার করে বলে— “মা, না জেনে তোমার ওপর অত্যন্ত অন্যায় আমি করেছিলাম, আজ তারই শাস্তি আমাকে নিতে হবে। কিন্তু আমি তার জন্য এতটুকু দুঃখিত নই। যতক্ষণ জ্ঞান লুপ্ত না হয়ে যায়, ততক্ষণ এই ভেবে আমার সুখ যে, বিশ্বের সৌন্দর্যলক্ষ্মীকে অন্যায় বাঁধন থেকে মুক্ত করার অধিকার আমি পেয়েছি।”
প্রদ্যুম্ন একজন সঙ্গীতসাধক এবং সরস্বতী সারদা সঙ্গীতেরও দেবী সুতরাং প্রদ্যুম্ন দেবীকে অশেষ ভক্তি করে ক্ষমা চেয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয়।
এইভাবে গল্পের শেষে প্রদ্যুম্নর মন্ত্রপূত জলের স্পর্শে দেবী মুক্তিলাভ করেন কিন্তু প্রদ্যুম্ন জড়তা লাভ করে। সারাগল্প জুড়ে সরস্বতীর রূপ এবং তার বর্ণনা আমাদের সত্যিই এক অন্যজগতে নিয়ে যায়। বাংলা ছোটগল্পে এভাবে সশরীরে দেবীর আবির্ভাব সত্যিই অতুলনীয়।
Leave a comment