প্রশ্নঃ মিস জয়েণ্ডার ও নন জয়েণ্ডারের মধ্যে পার্থক্য কী?
মিস জয়েণ্ডার ও নন জয়েণ্ডারের মধ্যে পার্থক্যঃ মিস জয়েণ্ডার বা অপসংযোগ এবং নন জয়েণ্ডার বা পক্ষাভাবের মধ্যে নিম্নোক্ত পার্থক্যগুলি বিদ্যমান-
(১) ভুল করে কাউকে মোকদ্দমায় পক্ষ করা হলে তাকে পক্ষের অপসংযোজন এবং আবশ্যকীয় পক্ষকে মামলায় পক্ষভুক্ত না করলে তাকে পক্ষাভাব বলে।
(২) কাউকে ভুল করে মামলার পক্ষ করা হলে কিংবা পক্ষ হতে বাদ দেয়া হলে তজ্জন্য মামলার ক্ষতি হবে না, অনুরূপ ক্ষেত্রে পক্ষগণের অধিকার ও স্বার্থ জড়িত তদনুসারে আদালত বিরোধভুক্ত প্রশ্নটি বিবেচনা করবেন। (অর্ডার ১, বিধি-৯) যেক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যক্তিকে বাদী হিসেবে সংযোজন করা হয়নি সেক্ষেত্রে আদালত বিধি-১০ অনুসারে সংযোজনের আদেশ দিবেন।
(৩) বাদীপক্ষের অপ-সংযোগ হলে বিবাদী পক্ষকে যথাসম্ভব মামলার প্রথম সুযোগে জবাব দেয়ার সময়ে এ সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে। অন্যথায় বিবাদীপক্ষ এই অপসংযোগ মেনে নিয়েছে বলে অদালত ধরে নিবেন। বিবাদী পক্ষে অপসংযোগ হলে যথাসম্ভব প্রথম সুযোগে বাদীকে আপত্তি উত্থাপন করতে হবে।
(৪) এমন কোন ব্যক্তিকে বাদীপক্ষের সামিল করা যাবে না, যার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য কোন অভিভাবক নেই বা কোন ব্যক্তিকে তার সম্মতি ব্যতিরেকে কোন অপারগ বাদীর অভিভাবক করা যাবে না।
কোন নতুন ব্যক্তিকে বিবাদী হিসেবে সংযোজন করা হলে আদালত বিপরীত কোন আদেশ না দিলে আরজি প্রয়োজন মত সংশোধন করে নিতে হবে এবং সংশোধিত আরজি ও সমনের নকল নতুন বিবাদীর উপর জারি করতে হবে এবং আদালত সঙ্গত মনে করলে মূল বিবাদীর উপরও সমন জারি করতে হবে।
Leave a comment