[1] কাচামালের সহজলভ্যতা : মালয়েশিয়া ক্রান্তীয় উয়মণ্ডলে। অবস্থিত বলে এখানে সারা বছর সমানভাবে বেশি উয়নতা পাওয়া যায়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত এই অলে 175 সেমি থেকে 300 সেমি-র মত। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ রবার গাছের পক্ষে বিশেষ উপযােগী। আবার মালয়েশিয়ার উপকূলীয় সমভূমির মাটি গভীর ও উর্বর দোআঁশ প্রকৃতির হওয়ায় রবার চাষের উপযােগী। ফলে কাঁচামালের সহজলভ্যতা রবার শিল্পের বিকাশে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে।

[2] অবস্থান : মালয়েশিয়া প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সংযােগকারী সমুদ্রপথের ওপর অবস্থিত। ফলে ইউরােপ ও আমেরিকার বাজার থেকে এই অঞ্ল বহু দূরে অবস্থিত হলেও রবারজাত বিভিন্ন দ্রব্য পাঠাতে অসুবিধা হয় না। বহু জাহাজ এই পথে যাতায়াত করে বলে জাহাজ পেতেও অসুবিধা হয় না এবং সুবিধাজনক শর্তে মাল পাঠানাে যায়।

[3] উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা : মালয়েশিয়া দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় এখানাকার বেশিরভাগ রবার শিল্পকেন্দ্র সমুদ্রোপকূল থেকে মাত্র কয়েক কিলােমিটার দূরে অবস্থিত। এজন্য শিল্পক্ষেত্র থেকে সমুদ্রতীরবর্তী বন্দর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পরিবহণ ব্যয় কম পড়ে।

[4] ঘন লোকবসতি : এই দেশে রবার শিল্পের উন্নতির জন্য বড়াে সুবিধা হল ঘন জনবসতি। রবার চাষ ও শিল্পকেন্দ্রে প্রচুর দক্ষ ও সুলভ শ্রমিকের প্রয়ােজন হয়। এই দেশে বহু দক্ষ ভারতীয় ও চিনা শ্রমিক এই কাজে নিযুক্ত থেকে উৎপাদনের গতি বজায় রেখেছে।

[5] বিভিন্ন দেশের সরকারের সহযোগিতা : বিভিন্ন দেশের সরকারের সাহায্য ও সহযােগিতা মালয়েশিয়ার রবার বাগিচা ও রবার শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এই দেশের রাজনৈতিক স্থায়িত্ব ও শাসনব্যবস্থায় শৃঙ্খলার জন্য বিদেশি পুঁজিপতিরা বাগিচা শিল্পে মূলধন বিনিয়ােগে কার্পণ্য করেনি, বরং উৎসাহিত হয়েছে।

[6] শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কম : বাগিচা পদ্ধতিতে রবার গাছগুলি সুশৃঙ্খলভাবে ঘন সন্নিবিষ্ট বলে একজন শ্রমিকের পক্ষে একদিনে বহু গাছ থেকে আঠা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়, যার ফলে উৎপাদন ব্যয় কমে।

[7] মূলধন : লাভজনক রবার শিল্পকেন্দ্র গড়ে তােলার জন্য বড়াে ও দামি যন্ত্রপাতির বিশেষ প্রয়ােজন যা প্রচুর মূলধন ছাড়া কেনা সম্ভব নয়।