সময় এবং সমাজের পরিবর্তমান প্রেক্ষাপটে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের [১৯০৮-১৯৫৬] শিল্পদৃষ্টির বিস্তৃতি ও বিকাশ বিবেচনাযোগ্য। আধুনিক জীবনের বিচিত্র সমস্যা এবং সংকটের গ্রন্থি উন্মোচনের জন্য তিনি তার উপন্যাসের ঘটনাংশ নির্বাচন করেছেন। বৈজ্ঞানিক জীবন জিজ্ঞাসা তাঁকে ফ্রয়েডীয় মনোবিকলন তত্ত্বের অস্পষ্টতা থেকে মার্কসীয় দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের স্পষ্টতায় উত্তরণ ঘটিয়েছিল। সাহিত্য জীবনের শুরু থেকেই তার মধ্যে ভাব বিলাসিতার পরিবর্তে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ শিল্প সাধারণ প্রতিশ্রুতি কার্যকর ছিল, কার্যকর ছিল জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং শোষিত ও শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসে নতুন বিষয় ও চিন্তার বিপুল সমাবেশ ঘটায় আঙ্গিক বৈচিত্র্যও হয়েছে অনিবার্য, উত্তরকালের কাছে উদাহরণীয়। এ বৈচিত্র্য সাধনে নিয়ত নিরীক্ষার প্রয়াস তার সচেতন মানসজাত। এক্ষেত্রে তার শৈল্পিক নিরাসক্তি বিস্ময়কর। তার রচিত উপন্যাসসমূহকে কালগত বিবেচনায় দু’পর্বে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্ব হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্ব হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পর্বের উপন্যাস ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব দ্বারা আচ্ছন্ন। এ সমকালে রচিত ‘জননী’ (১৯৩৫), ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫), ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬), ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬), ‘জীবনের জটিলতা’ [১৯৩৬), ‘অমৃতস্যপুত্রা’ (১৯৩৮) প্রভৃতি উপন্যাসের গতি প্রকৃতি নির্ধারণে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্রয়েডীয় লিবিডোকে অনিবার্য মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

‘জননী’ উপন্যাসের কাহিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিন্যস্ত করেছেন ফ্রয়েডীয় তত্ত্বের ছায়া অবলম্বনে। এ উপন্যাসে পুত্রবধূর প্রতি শাশুড়ির যে ঈর্ষা, তাও অনেকটা মনোসমীক্ষণ তত্ত্বের প্রভাবজাত। এ উপন্যাসে অবশ্য মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নারীর প্রেয়সী ও জননী এ দু’রূপের অনবদ্য বিশ্লেষণে ফ্রয়েডীয় লিবিডোর বিকৃতিকে ব্যবহার করেননি, বরং ক্রয়েড নির্দেশিত গহীন গোপন মনের অতলতাকে ব্যবহার করেছেন।

দিবা-রাত্রির কাব্য’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রূপকের আবহে হেরম্ব ও সুপ্রিয়া আনন্দের দ্বন্দ্বময় জীবনযাত্রা, আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনাকে আলো এবং অন্ধকারের প্রতীকী তাৎপর্য চিহ্নিত করলেও এ উপন্যাসের সার্বিক সংকট লিবিডোকেন্দ্রিক। অধ্যাপক হেরম্বের আগ্রহ ও বিতৃষ্ণা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব দ্বারা আচ্ছন্ন। অতলান্তিক আনন্দকে আবিষ্কারের তীব্র কামনার স্রোতে কিভাবে ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত ও বেদনার্ত হয়েছে অধ্যাপক হেরম্ব, তা এ উপন্যাসে পরিবেশন করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘দিবা-রাত্রির কাব্যে’ হেরম্বের লিবিডো তাড়িত আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হলেও ‘পদ্মানদীর মাঝিতে’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কেতুপুরের দরিদ্র, অভাবগ্রস্ত ও পরিশ্রমজীবী ধীবর সম্প্রদায়ের চালচিত্র উন্মোচনের প্রয়াস পেয়েছেন। এখানে দারিদ্র্যপীড়িত ব্রাত্য সম্প্রদায়ের সংকীর্ণতা ঔদার্য প্রভৃতি চিত্রণের মাধ্যমে তিনি কেতুপুরের এপিক রচনা করতে চাইলেও মধ্য পর্যায়ে এসে এটি হয়ে গেছে কুবের কপিলার লিরিক। এ উপন্যাসের পরিণাম নির্ধারণে নিঃসন্দেহে কাজ করেছে ফ্রয়েডীয় তত্ত্বের চেতন অবচেতনের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বই কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবেরকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। যেমন-

“গোপীকে আনিবার নাম করিয়া কুবের একদিন ভোর ভোর গ্রাম ছাড়িয়া বাহির হইয়া পড়িল। শ্যামদাসের বাড়ি আকুর ঠাকুর গ্রাম। হাঁটাপথে বারো তেরো মাইল। ক্ষেতের আলদিয়া আঁকিয়া বাঁকিয়া চলিতে চলিতে কতবারে যে কুবের ভাবিল ফিরিয়া আসে। আকুর ঠাকুরে পৌঁছাইয়া একটা পুকুরে মুখ হাত ধুইতে নামিয়া কতবার সে যে পুকুর ঘাট হইতে, সোজা আবার আমিন বাড়ির দিতে হাঁটিতে আরম্ভ করা স্থির করিয়া ফেলিল তার হিসাব নাই। তবু শেষ পর্যন্ত শ্যামাদাসের বাড়ির দরজাতেই পথ শেষ হইল তাহার।” [৭ম পরিচ্ছেদ]

যে শক্তি কুবেরকে হৃদয়ের চেতন ও অবচেতন স্তরের অবিরাম দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেছে শ্যামাদাসের বাড়ির দরজায় সে শক্তি নির্বিঘ্নে। এই শক্তির তাড়নায় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’য় শশী, গাওদিয়া গ্রাম ছাড়তে পারেনি। এ শক্তির অবিরাম আকর্ষণ শশীকে বারংবার বেদনার্ত ও বিপর্যস্ত করেছে। এ লিবিডোজাত অবদমিত আকঙ্ক্ষা শশীকে মতি কুসুম সেনদিদি সম্পর্কে উৎসাহী করে তোলে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গাওদিয়া গ্রাম পরিত্যাগ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। অথচ মতিকুসুম শূন্য গাওদিয়াও একসময় তার কাছে হয়ে যায় নিরর্থক, জীবনযাপন হয়ে পড়ে ভারসাম্যহীন। অতঃপর প্রতি বিষয়ে সে হয়ে উঠে নিরবলম্ব ও নির্লিপ্ত। ‘তালবনে শশী আর কখনো যায় না। মাটির টিলাটির উপর সূর্যাস্ত দেখিবার শখ এ জীবনে আর একবারও শশীর আসিবে না।’ [ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ।]

‘জীবনের জটিলতায়’ বিমল-শান্তা-লাবণ্য প্রমীলা নগেন লাবণ্যের প্রেম সম্পর্ক চিত্রণে ফ্রয়েডীয় তত্ত্বকে ব্যবহার করেছেন তিনি। ‘অমৃতস্যপুত্রা’ উপন্যাসে ঔপন্যাসিক ফ্রয়েড ও মার্কসের তত্ত্বকে সমান্তরালভাবে প্রয়োগ করেছেন। এ উপন্যাসের মাধ্যমে এই লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মার্কসীয় তত্ত্বের প্রতি কিছুটা আগ্রহী হয়ে উঠলেও ফ্রয়েডীয় যৌনবাদের আচ্ছন্ন অবস্থা তিনি তখনো অতিক্রম করতে সক্ষম হননি। (প্রথম পর্যায় শেষ/লিবিডো।]

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বের উপন্যাসে প্রধানত মার্কসীয় দর্শনকে বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এ পর্যায়ে তিনি উপন্যাসের বিষয় নিয়ে বিচিত্রভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে প্রধানত মার্কসবাদ, কমিউনিজম, সর্বহারার একনায়কতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রামের মধ্যে মানবসমাজের শোষণ ও বৈষম্যমুক্তির পথ দেখতে পান। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ সময়কার উপলব্ধি তিনি লেখকের কথায় ব্যক্ত করেছেন এভাবে- “লিখতে আরম্ভ করার পর জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আগেও ঘটেছে। মার্কসবাদের সাথে পরিচয় হওয়ার পর আরও ব্যাপক ও গভীরভাবে সে পরিবর্তন ঘটাবার প্রয়োজন উপলব্ধি করি।”

[রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।]

স্পষ্টতই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এ পর্বে মার্কসবাদ যে অবলম্বন করে যৌনবাদের ক্ষুদ্রতা, নিচতা, অসম্মান, বিকৃতি ও অস্পষ্টতা থেকে মানুষকে মহিমামণ্ডিত করে উপন্যাস রচনায় আত্মনিয়োগ করেছেন। শহরতলী (১ম খণ্ড-১৯৪০ ২য় খণ্ড. ১৯৪০) উপন্যাসের মাধ্যমে তার এ পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। এ উপন্যাসে যশোদা ও সত্যপ্রিয় বাবুকে উপস্থাপন করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাতে চেয়েছেন যৌন ভিত্তির চেয়েও শক্তিশালী মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তি। অর্থনৈতিক কারণে সত্যপ্রিয় বাবু সমাজজীবনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছেন। অর্থাৎ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, অর্থনীতিই মানবজীবনকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। বলাবাহুল্য, এ বোধ মার্কসীয় দর্শনের প্রভাবজাত।

‘অহিংসা’ (১৯৪০) উপন্যাসের আশ্রয় গুরু সাধু সদানন্দের অনাচার ও ভণ্ডামি এবং তার শিষ্য সম্প্রদায়ের বেকারগ্রস্ত জীবনের কাহিনি উত্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলতে চেয়েছেন যৌন আকাঙ্ক্ষার অবদমন কল্যাণকর নয়, এতে মানুষ বিকৃতি ও উন্মাদনাদশা প্রাপ্ত হয়। ‘প্রতিবিম্ব’ (১৯৪০) উপন্যাসে একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত জাতীয়তাবাদী যুবকের জীবনকাহিনি অত্যন্ত হালকা প্রলেপে অঙ্কিত হয়েছে। অন্তর্বাস্তবতা, বহির্বাস্তবতা, ভাববাদ বস্তুবাদের দ্বন্দ্বে কেন্দ্রীয় চরিত্র তারকের মানসিক প্রতিক্রিয়া এ উপন্যাসে প্রতিবিম্বিত হয়েছে। এ পর্যায়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মার্কসবাদকে অবলম্বন করে উপন্যাস রচনা করলেও তিনি যে ফ্রয়েডীয় মতবাদকে পরিহার করতে পারেননি, তার প্রমাণ উপযুক্ত উপন্যাসদ্বয়ে সুস্পষ্ট।

অতঃপর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘দর্পণ’ (১৯৪৫)। এ দর্পণ অত্যাচারী হেরম্বদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারিত ঝুমুরিয়া গ্রামবাসীর বিক্ষোভের দর্পণ। সৃষ্টিমুখর অভিযাত্রার এ পর্যায়ে তিনি রচনা করেছেন ‘চিহ্ন’ (১৯৪৭)। এটি বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের একটি অনতিক্রান্ত উপন্যাস।

‘চিহ্ন’ উপন্যাসটির পরে ‘আদায়ের ইতিহাস’ (১৯৪৭) হচ্ছে ত্রিস্টুপ নামক এক বিকারগ্রস্ত যুবকের জীবনকাহিনি। ছাব্বিশ বছর বয়সে ত্রিস্টুপ উপলব্ধি করে তার জীবনের শূন্যতা। এ শূন্যতা পরিপ্রণের উদ্দেশ্যে সে আদর্শনিষ্ঠ কুন্তলাকে অর্জন করতে চায় তার জীবনে। কিন্তু কুন্তলা নিজেকে উৎসর্গ করেছে দেশের জন্য। ত্রিস্টুপকে গ্রহণ করা তার পক্ষে অসম্ভব। যে বিকৃতি প্রথম পর্যায়েই উপন্যাসে ছিল নিয়তি এ পর্যায়ে তার স্থান দখল করেছে সুকৃতি। তাই বিকৃতিতে নিমজ্জিত না হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের বোধে উজ্জীবিত হয়ে ত্রিস্টুপ অবশেষে অর্জন করেছে কুন্তলাকে। এটি নিঃসন্দেহে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্কসীয় কল্যাণকামী জীবনাদর্শের ফল।

১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয়েছে চতুষ্কোণ। রাজকুমার নামক এক বিকৃত যুবকের সাথে গিরিমালতী, রিনি, সরসীর অদ্ভুত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এটি রচিত। এ উপন্যাসে রাজকুমার অবশেষে জীবনের অর্থ আবিষ্কার করেছে এবং ইনস্যানিটি আক্রান্ত রিনিকে জীবনে গ্রহণ করে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে, জীবনতো খেলার জিনিস নয়, ইতঃপূর্বে ‘ধরাবাঁধা জীবন’ (১৯৪১) উপন্যাসে আকাঙ্ক্ষা এবং অন্তরিত অচরিতা ব্যর্থতার কারণে অসুস্থ ও বিকৃত ভূপেনকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ (১৯৫১)। একটি সংগঠন একটি আন্দোলন কিভাবে একজন নিষ্ক্রিয় মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে পরিবর্তিত করে দিতে পারে এবং মানবীয়বোধে উজ্জীবিত করে তুলতে পারে, তার প্রমাণ এ উপন্যাস।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘সর্বজনীন’। এ উপন্যাসে সমাজ পরিবর্তনের প্রয়োজনে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলেছেন তিনি। ঐক্যই যে গণমানুষের প্রকৃত মুক্তি তা এখানে ব্যক্ত হয়েছে।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পর্যায়ে উপন্যাস অন্তর্গত চরিত্রের মৌল সংকট বিবেচনায় ফ্রয়েডীয় মনোবিকলন তত্ত্বকে ব্যবহার করেছেন। অতঃপর তিনি শোষিত, নির্যাতিত মানুষের মুক্তির প্রশ্নে বিবেচনা করেছেন মার্কসীয় মানবতাবাদী জীবন দর্শনকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনধর্মী’ জীবনদৃষ্টি সে বৈজ্ঞানিক মতবাদকে অবলম্বন করে সংকলিত ও রচিত হয়েছে, তা বর্তমানে আলোচনা প্রসঙ্গে সুস্পষ্টভাবে বলা যায়।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরের লেখায় কোন ভুল থাকে তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা সেটা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।