প্রশ্নঃ মানহানি কি? মানহানির উপাদানগুলি আলোচনা কর। মানহানির ক্ষেত্রে বিবাদীর কোন অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়?
যদি ‘ক, খ কে কারো অনুপস্থিতিতে চোর বলে তবে কি তাকে মানহানির জন্য অভিযুক্ত করা যায়?
যদি গ নামে কোন ব্যক্তি তখন উপস্থিত থাকে তবে অবস্থার কি কোন পরিবর্তন ঘটবে? যদি সে বাস্তবিকই চোর হয়ে থাকে তবে উক্ত আইন কিভাবে প্রযোজ্য হবে?
মানহানিঃ বিভিন্ন জুরিস্ট মানহানির বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। স্যামণ্ড এর মতে, অইনগত সমর্থন ব্যতিরেকে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর উক্তি প্রকাশ করাকে মানহানি বলে। আণ্ডার হিল বলেন যে, যথার্থ কারণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর উক্তি প্রকাশের ফলে তার সুনাম ক্ষুণ্ন হলে মানহানি বলা হয়। তবে অপেক্ষাকৃত উন্নত ও অধিক গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন উইনফিল্ড। কোন উক্তি প্রকাশের ফলে সমাজের যথার্থ বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তির দৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যদি হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় অথবা এরূপ প্রকাশের ফলে সমাজের অনেকে তাকে বর্জন করে বা পরিহার করে চলে, তবে তাকে উইনফিল্ডের মতে মানহানি বলে। ব্ল্যাকবার্ন ও জর্জ এর ভাষায়, সমাজের যথার্থ বিবেচকদের দৃষ্টিতে কারো সুনাম নষ্ট করে এমন মিথ্যা উক্তির প্রকাশনাই মানহানি৷
মানহানির উপাদানঃ মানহানি সংঘটনের জন্য তিনটি উপাদান প্রধান। এগুলি হচ্ছে নিম্নরূপঃ
(১) মানহানিকর উক্তি।
(২) বাদীর প্রতি এ উক্তি আরোপিত।
(৩) উক্তিটির প্রকাশনা৷
এছাড়া অনেকের মতে উক্তিটি মিথ্যা হতে হবে এবং স্ল্যাণ্ডারের ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতি প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু উপরোক্ত তিনটি উপাদানই মূখ্য। বিবাদী উক্তিটি সত্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে, তা আপনা-আপনি মিথ্যায় পরিগণিত হবে।
(১) মানহানির উক্তি (Defamatory State-ment): মানহানিকর সংজ্ঞা হতেই বুঝা যায় যে, উক্তিটি বাদীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করে বা ক্ষুণ্ণ করতে প্রবৃত্ত হয়, কিংবা সমাজেতাকে পরিহার করার প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণ অর্থে বাদীর নৈতিক চরিত্র কলঙ্ককর প্রতীয়মান হয়— এরূপ প্রয়োজন নেই। তাই অমুকি মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে- এরূপ উক্তি তার চরিত্র স্খালন বুঝায় না। কিন্তু তবুও ইহা মানহানিকর। অনরূপভাবে পাগলের আপবাদ ও সংক্রামক বা যৌনব্যধির অপবাদ মানহানিকর। যে সকল উক্তি মানুষকে উত্যক্ত করে কিন্তু তার সুনাম ক্ষুণ্ন করে না তা মানহানিকর নয়।
উদাহরণস্বরূপ, পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনা যে অমুক ব্যক্তি মারা গিয়েছে। এরূপ সংবাদে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু সুনাম ক্ষুণ্ন করে না। আবার যে সকল উক্তি ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি শুধু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাও মানহানিকর নয়। শুধু শব্দগত অর্থ অনেক সময় মানহানিকর না হয়ে ওর তাৎপর্য মানহানিকর হতে পারে; যেমন বাদীর এক সন্তান হয়েছে— এরূপ সংবাদ কোন ক্রমেই মানহানিকর নয় কিন্তু এ সংবাদের সাথে সাথে যদি প্রকাশ করা হয় যে, মাত্র ছয় মাস পূর্বে বাদীর বিয়ে হয়েছে। এ বক্তব্যের শাব্দিক অর্থ মানহানিকর নয়, কিন্তু সামগ্রিকভাবে বা অন্তনির্হিত অর্থে ইহা নিঃসন্দেহে মানহানিকর।
মোটের উপর যথার্থ অনুভূতি, সদ আচরণ, পরিণাম দর্শিতা, ইত্যাদি সম্পর্কে স্বীকৃত নিয়মাবলী হতে কোন প্রকার বিচ্যুতি মানহানিকর। কাজেই যদি বলা হয় যে, অমুক ব্যক্তি অকৃতজ্ঞ কিংবা তার হৃদয় কঠিন, কিংবা অসাধু বা উদ্ধৃত স্বভাবের তবে ইহা মানহানিকর। শুধু গালাগালি বা অপমান মানহানিকর নয়। কিরূপ পরিস্থিতিতে এবং কিভাবে উক্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটাও বিবেচ্য বিষয়। বাদী একটা জার্মান ফার্ম। যেহেতু জার্মানী যুদ্ধে লিপ্ত আছে, কাজেই তাদের কারবার বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা আছে— এরূপ উক্তি মানহানিকর বলে বিবেচিত হয়েছে।
(Slazeenger Ltd. Vs. Gibbs (1916) কোন ব্যবসায়ীর পণ্যের সমালোচনা করা দূষণীয় নয়, কিন্তু ব্যবসায়ীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা অন্যায়। উদাহরণ স্বরূপ, ‘করিমের মিষ্টান্ন আমাদের অনুষ্ঠানে পরিবেশনা না করাই ভাল—এরূপ উক্তি-শুধু পণ্যের সমালোচনা করে কিন্তু করিমের মিষ্টান্ন্য সব সময়ই খারাপ হয়— এরূপ উক্তি মানহানিকর, কারণ ব্যবসায়ীর দৃষ্টিতে যদি কোন উক্তি বাদীকে হেয় প্রতিপন্ন করে বা হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রবৃত্ত হয় তবে তা মানহানিকর। কিন্তু যথার্থ বিবেচক কারা? বিভিন্ন আইন বিজ্ঞানীরা এই মত পোষণ করে যে, সাধারণ জ্ঞান- বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি অর্থাৎ বদ- মেজাদী, অপরিণত জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞ নন এরূপ ব্যক্তিরা সমাজে যথার্থ বিবেচক হিসেবে বিবেচিত। সাধারণ অর্থে মানহানিকর না হয়ে যদি অন্তনির্হিত অর্থে কিংবা তির্যকভাবে বা পরোক্ষভাবে মানহানিকর প্রতীয়মান হয়, তবে বাদীকে তার আর্জিতে এর ব্যাখ্যাসহ অন্তনির্হিত অর্থ উল্লেখ করতে হবে। একে বলা হয় ইন্নায়েণ্ডো (innuendo)।
(২) বাদীর প্রতি আরোপিত ( Rerence to the Plaintiff): মানহানির দ্বিতীয় উপাদান হচ্ছে মানহানিকর উক্তিটি অবশ্যই বাদীকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশিত হতে হবে। উক্তির মধ্যে বাদীর নাম উল্লেখ থাকলে কোন সমস্যার উদ্ভব হয় না। কিন্তু নাম উল্লেখ না করে যদি এরূপভাবে বর্ণনা দেয়া হয় যেন বাদীর সঙ্গীগণ অথবা সমাজের যথার্থ বিবেচকগণ এটা মানহানিকর বুঝতে পারেন তবে তাই যথেষ্ট।
১৮৯৭ সালে কলকাতা হাইকোর্ট হেরম্ব চন্দ্র মৈত্র বনাম কালী প্রসন্ন কাব্য বিশরাদ। [Heremba Chandra Maitra Vs. Kali Prasanna Kabya bisharae I. C. W. N. (1897) P. 465] মামলায় এই অভিমত প্রকাশ করেন যে, মানহানিকর উক্তিটি আংশিকভাবে বিবেচনা না করে সামগ্রিকভাবে বিচার করতে হবে এবং বাদীর সাথে পরিচিত ব্যক্তিগণ বুঝতে পারেন কিনা যে,’ উক্তিটি বাদীর প্রতি আরোপিত তা বিবেচনা করতে হবে। যদিও উক্ত মামলাটি টর্ট হিসেবে না করে ফৌরজদারী অপরাধ হিসেবে দায়ের করা হয়েছিল তথাপিও এক্ষেত্রে তা প্রাসঙ্গিক, কারণ বাদী সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ না করা হলেও বর্ণনায় তা বাদী সম্পর্কিত। মামলার ঘটনায় প্রকাশ, আসামীর সাথে এক মহিলার ভাব বিনিময় হয়, কিন্তু উক্ত মহিলা আসামীকে প্রত্যাখ্যান করে অভিযোগকারীর সাথে প্রণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। আসামী একজন কবি ছিলেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে পত্রিকায় একটা কবিতা প্রকাশ করেন যা অভিযোগকারী ও তার স্ত্রীর জন্য মানহানিকর। বিবাদী যদি অনুমানমূলক কোন বর্ণনা দিয়ে থাকেন এবং সত্যিকার অর্থে এরূপ বর্ণনার কেউ থেকে থাকে তবে উক্ত ব্যক্তিকেই আক্রমণ করা হয়েছে বলা যায়।
নিউস্টেড বনাম লণ্ডন এক্সপ্রেস নিউজ পেপার লিমিটেড [Newstad vs. London Express newspapeer Ltd. (1940) I. K. B. 377] বিবাদী উল্লেখ করেছিলেন যে, ৩০ বছর বয়স্ক হারিল্ড নিউস্টেড একাধিক পত্নী রাখার জন্য শাস্তিভোগ করছেন। এই বক্তব্য অন্য এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছিল যার নাম ও একই ছিল। এই উক্তি বাদীকেও জড়ায় বলে মামলায় বয়স অ রায় হয়েছিল। কোন বিশেষ শ্রেণীকে উল্লেখ করলে সেটা মামলাযোগ্য হয় না। কিন্তু সেই শ্রেণীর কোন ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারে যে, এটা তাকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে তবে আদালতে তা গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু শ্ৰেণী যদি আকারে বেশ ক্ষুদ্র হয় তবে মিলিতভাবে বা প্রত্যেকে একক ভাবে মামলা করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি বলা হয় যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্ররা চোর, তবে বস্তুতঃ কোন ছাত্রকেই উল্লেখ করা হলো না। তাই কোন ছাত্রই এর প্রতিকার করতে পারবে না। কিন্তু যদি বলা হয় যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্ররা চোর, তবে ক্ষুদ্র আকার হিসেবে এদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা যায়। তাই প্রথম বর্ষের ছাত্ররা মিলিত ভাবে বা একক ভাবে মানহানির মামলা করতে পারে। অবশ্য শ্রেণীর আকার কিরূপ হলে মানহানির মামলা করা যায় তা নির্ভর করে পরিস্থিতি ও সাক্ষ্য প্রমাণের উপর।
(৩) প্রকাশনা (Publication): যেহেতু সুনাম হচ্ছে অন্য ব্যক্তির ধারণা, সেহেতু মানহানিকর উক্তি বাদী ছাড়া অপর ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করতে হবে। অবশ্য অনেক লোকের নিকট প্রকাশের প্রয়োজন নেই, তবে মাত্র একজনের নিকট প্রকাশ করলেই তা যথেষ্ট বিবেচিত হবে। স্বামী-স্ত্রী আইনের দৃষ্টিতে কতিপয় ক্ষেত্রে একক ব্যক্তি ধরা হয়। তাই তাদের পারস্পরিক আলোচনা প্রকাশনার মধ্যে পড়ে না।
(Wennhak vs. Morgan. (1888) 20 Q. B. D. 635. 639) তাদের একজন কোন তৃতীয় ব্যক্তির নিকট প্রচার করলে তা যথেষ্ট প্রকাশনা বিবেচিত হবে। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর নিকট কিংবা স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর নিকট প্রচার করলে তাও প্রকাশিত ধরা হবে। এছাড়া যার কাছে প্রচার করা হয়েছে তা বোধগম্য হতে হবে। যদি এমন ভাষায় লিখা থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তা বুঝতে অক্ষম বা সে ব্যক্তি অন্ধ— তা পড়তেই পারে না। কিংবা মৌখিক প্রচারের ক্ষেত্রে সে ব্যক্তির বধির— কানে শুনতে পায় না, তবে তা যথাযথ প্রকাশনা হয় না। কিন্তু কোন প্রকারে তাকে বোধগম্য করলে তা যথার্থ প্রচার ধরা হবে। অবশ্য অননুমোদিতভাবে, কারো দৃষ্টিগোচর বা শ্রুতিগোচর হলে তা যথাৰ্থ প্ৰকাশনা ধরা যায় না। তাই বাদীর উদ্দেশ্যে লিখিত খামের চিঠি যদি কেউ অহেতুক খোলে তবে তার কাছে এটা প্রচার ধরা যায় না।
[Huth vs. Huth, (1915) 3 K. B. 32] তবে খাম না হয়ে পোষ্ট কার্ডে লিখিত হলে সকলে পড়ার সুযোগ পায় হিসেবে এক্ষেত্রে তা যথেষ্ট প্রকাশনা ধরা যায় অনুরূপভাবে দরজা বদ্ধ রেখে কেউ মানহানিকর উক্তি লিখলে অন্য কেউ হঠাৎ দরজা খুলে সেটা দেখে ফেললে তা’ প্রকাশিত বিবেচিত হবে না। কিন্তু দরজা খোলা অবস্থায় এরূপ লিখলে এবং কারো দৃষ্টিগোচর হলে তা প্রকাশনা বলা যায়। আবার প্রতিটি পুনরাবৃত্তি নতুন প্রকাশনা ধরা হয় এবং পৃথক মামলার কারণ ঘটায়। (Truth’ Ltd. vs. Holloway, (1760 ) W. L, R 997 ) মানহানিকর উক্তি কারো হস্তগত হলে এটা অপরের নিকট প্রচার করতে পারে না। করলে মানহানিকর উক্তি সৃষ্টিকারীর ন্যায় সেও সমভাবে দায়ী হবে। মানহানিকর উক্তি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এর মালিক, সম্পাদক, মুদ্রক ও প্রকাশক সকলেই দায়ী। তবে পত্রিকার ফেরিওয়ালার ন্যায় কোন ব্যক্তি যারা শুধু যন্ত্রের ন্যায় কাজ করে থাকে এবং এর প্রকাশনার সাথে কোন ক্রমেই জড়িত নয় তারা অব্যাহতি পেতে পারে।
মানহানির ক্ষেত্রে কোন্ অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়ঃ মানহানির ক্ষেত্রে বিবাদীর সুনামের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয় । সুনাম হচ্ছে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে অন্য লোকের ধারণা এবং এই ধারণা অর্থাৎ সুনাম সেই ব্যক্তির একটা সম্পদ। কাজেই কারো সুনাম ক্ষতি করার অর্থ হচ্ছে তার সম্পদের ক্ষতি করা।
যদি ‘ক, খ কে কারো অনুপস্থিতিতে চোর বলে তবে কি তাকে মানহানির জন্য অভিযুক্ত করা যায়ঃ মানহানির অন্যতম উপাদান হচ্ছে মানহানিকর উক্তির প্রকাশনা। অপকৃত ব্যক্তি ব্যতিরেকে অন্য যে কোন ব্যক্তির নিকট মানহানিকর উক্তি প্রকাশ করলে তা যথেষ্ট বিবেচিত হবে। আলোচ্য প্রশ্নে ‘ক ‘খ কে যখন চোর বলে তখন কেউ উপস্থিত না থাকলে মানহানির উক্তির প্রকাশনা হয় না। তাই এক্ষেত্রে মানহানির মামলা টিকে না। ‘গ’ নামে তৃতীয় ব্যক্তি সেক্ষেত্রে উপস্থিত থাকলে প্রকাশনার জন্য তা যথেষ্ট বিবেচিত হবে এবং মানহানির মামলা চলবে। যদি ‘খ’ প্রকৃতই চোর হয়, তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের অন্যতম উপাদান ‘সত্যতার (Justification) কারণে মানহানির মামলা টিকে না। তবে বিনা প্রয়োজনে মানহানির উক্তি সত্য হলেও অযথা প্রচার করা আইন সমর্থন করে না।
Leave a comment