মানব প্রজাতির সৃষ্টি-রহস্য প্রসঙ্গে একটি বহুল প্রচলিত কাহিনী হল যে, ঈশ্বর কর্তৃক বিশ্বসৃষ্টির ষষ্ঠতম দিনে তিনি আদিম মানবযুগল আদম ও ইভ-এর সৃষ্টি করেন। এঁদের থেকেই কোন অজানা মুহূর্তে সৃষ্টি হয়েছে মানবকূলের। অর্থাৎ আদম ও ইভ হলেন মানব প্রজাতির আদি পিতামাতা। নবজাগরণযুগের প্রখ্যাত শিল্পী মাইকেল এ্যাঞ্জেলোর চিত্রকল্পে আদম ও ইভ-এর সৃষ্টিরহস্য সুন্দরভাবে রুপায়িত হয়েছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল কথিত এই ধারণা ভেঙ্গে দেন জীবনবিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ‘Origin of Species’ গ্রন্থে তিনি জানান যে, দীর্ঘ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানের মানবপ্রজাতির সৃষ্টি ঘটেছে। দীর্ঘ সময়কাল এবং নানাবিধ পরিবর্তনের পথ অতিক্রম করে আদিমানব প্রজাতি থেকে আধুনিক মানুষের উত্তরণ ঘটেছে। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে টমাস হাক্সলিও ‘বিবর্তনবাদতত্ত্ব’ সমর্থন করে মানবপ্রজাতির দীর্ঘ অস্তিত্বরক্ষার সংগ্রাম ও বর্তমান মানবজাতির আবির্ভাবের কাহিনী তুলে ধরেছেন। অতঃপর শুরু হয় নৃতাত্ত্বিক গবেষণা ও অনুসন্ধান। মানবপ্রজাতির সেই বিবর্তন-রহস্য উদ্ঘাটনের কাজে দু’টি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলি হল, ‘হারানো যোগসূত্র’ (Missing link) অর্থাৎ লেজহীন বানর বা বনমানুষের মত প্রাণী থেকে আজকের শারীরিক গঠনসম্পন্ন মানুষের উদ্ভব কিভাবে হল, সেই রহস্যের সন্ধান। অপরটি হল ‘জীবাশ্ম’ পর্যালোচনা। অর্থাৎ প্রাচীন জৈব বস্তুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বা গঠন যা শিলা বা প্রস্তরখণ্ডের আকারে এখনো পড়ে আছে, তাদের বিশ্লেষণ। এই সকল প্রস্তরীভূত জীবদেহ থেকে বিবর্তনের ইতিহাস উদ্ধার করে মানবপ্রজাতির সৃষ্টিরহস্য উদ্ঘাটনের প্রয়াস অব্যাহত আছে। তবে হাজার, লক্ষ বা কোটি বছর আগেকার কোন জৈববস্তুর অস্তিত্ব টিকে থাকার সম্ভাবনা যেমন খুব কম, তেমনি উদ্ধার করা জীবাশ্ম নিদর্শনের অতি-প্রাচীনত্ব বৈজ্ঞানিক কারণেই জৈববস্তুর প্রকৃত বৈশিষ্ট্য উদ্ধারের পক্ষে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মানবপ্রজাতির বিবর্তন:
নৃতত্ত্বের বিচারে আধুনিক মানুষকে ‘হোমো সাপিয়েন্স সাপিয়েন্স’ (Homo Sapiens Sapiens) প্রজাতিভুক্ত বলা হয়। এই হোমো সাপিয়েন্সপ্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তর-হিমযুগের (Post ice age) কোন একসময়ে। মধ্যবর্তী পর্যায়ে বিবর্তনের দীর্ঘযাত্রায় মনুষ্যগোত্রীয় বহু প্রজাতি বিবর্তনের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বতন্ত্র প্রজাতি সৃষ্টি করেছে। একশো বছরের কিছু আগে শিবালিক পাহাড়ে একটি মহা-বানর-এর প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম পাওয়া যায়। এটির নাম রামাপিথেকাস। প্রাথমিকভাবে এটিকে মানব বিবর্তনের মধ্যবর্তীস্তরের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয় যে, রামাপিথেকাস আসলে সিনাপেথেকাস প্রজাতির নারী বৈচিত্র্য। এরা মানবপ্রজাতির বিবর্তন থেকে বিচ্যুত হয়েছিল। আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়াতে পাওয়া কেনিয়াপিথেকাস (১৪০ লক্ষ বছরের প্রাচীন)-কে প্রাক্-মানবিকধারার অন্তর্গত বলে অনুমিত হয়েছিল, যদিও এরা মানবপ্রজাতির মত দ্বিপদী ছিল না।
প্লেইস্টোসিন পর্বে সর্বপ্রথম মানবপ্রজাতির উদ্ভব ঘটে। ৬০ লক্ষ বছর পূর্বে দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকায় মানবপ্রজাতির আদি-পুরুষের সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করা হয়। এরা স্বভাবতঃ ছিল ঘরমুখী। এই আদিম মানবগোষ্ঠী প্রকৃতিগতভাবে বনমানুষের সমতুল্য, যাদের উদ্ভবকালকে ৩০০ লক্ষ বছর পূর্বে স্থির করা যেতে পারে। বর্তমান মানবগোষ্ঠীর নিকটতম প্রাক-প্রজাতির লক্ষ্মণ প্রথম পাওয়া যায় পূর্ব আফ্রিকার অস্ট্রালোপিথেসিন গোষ্ঠীর চরিত্রে। ৫৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ বছরের আগে এই প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে মনে করা হয়। কেউ কেউ নির্দিষ্টভাবে এদের ৩৮ লক্ষ বছরের আশেপাশে উদ্ভূত বলে মনে করেন। এই প্রজাতির আচার-আচরণের মধ্যে বনমানুষ ও আধুনিক মানুষের সম্মেলন দেখা যায়। ঘরমুখী বা সমকামী মনুষ্য প্রজাতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে বর্তমান ছিল। লক্ষণীয় যে, এরা দু’পায়ে একটু বেঁকে হাঁটতে পারত। গোলাকার পেট এবং খুবই ছোট মাত্র ৪০০ ঘন সেন্টিমিটার আয়তন বিশিষ্ট মগজের খোল বিশিষ্ট অস্ট্রালোপিথেকাসদের ‘প্রায় মানুষ’ (Proto-human) বলা হয়। তবে এই প্রজাতি আয়ুধ বা উপকরণ তৈরী করতে পারতো কিনা, সে বিষয়ে বিতর্ক আছে।
পরবর্তীকালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্ট্রালোপিথেসিনেস গোষ্ঠীর চারটি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। এদের একটি হল অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেন্সিস। ৩২ থেকে ৩৫ লক্ষ বছর আগে ইথিওপিয়াতে এই প্রজাতির এক নারীর কঙ্কাল জীবাশ্ম আবিস্কৃত হয়েছে। আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে আরো একটু বলবান এবং অধিক বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন আর একটি প্রজাতির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাস্ নামক এই প্রজাতির খুলির ধারণ ক্ষমতা আনুমানিক ৫০০ ঘন সেন্টিমিটার। এরা হাতের আঙুল দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারত। সম্ভবত গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করতে বা আঁচড় কাটতে সক্ষম ছিল। তবে এদের স্বভাব ছিল কিছুটা পশুসুলভ উগ্র এবং আক্রমণাত্মক। যত্ন নিয়ে তৈরী করা এদের কাজের কোন নমুনা পাওয়া যায় না। সম্ভবত সৃষ্টি বা গঠনমূলক ধারণা এদের মগজে ছিল না। ইরফান হাবিবের মতে, শারীরিক গঠনের দিক থেকে আমরা যাদের প্রথম সত্যকারের মানবপ্রজাতি বলে থাকি, সেই হোমো হাবিলিস্ (Homo habilis) গোষ্ঠীর খুব কাছাকাছি এসে পৌঁছেছিল এই অস্ট্রালোপিথেকাস্ আফ্রিকানাস্ প্রজাতিটি।
আনুমানিক ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে (রামশরণ শর্মার মতে ২০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ বছর) পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে আধুনিক মানব প্রজাতির আদিম পূর্বসূরী হোমোহাবিলিস-এর দেখা পাওয়া যায়। হোমোহাবিলিস কথার অর্থ দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ। এদের খুলির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫০০ থেকে ৭০০ ঘনসেন্টিমিটার। স্বভাবতই এই প্রজাতি পূর্ববর্তী মানবপ্রজাতির তুলনায় বেশী বুদ্ধির অধিকারী ছিল। এরা পাথর কেটে এবং তাকে ধারালো করে হাতিয়ার বানাতে সক্ষম ছিল। এরা মুখ দিয়ে আওয়াজ করতে পারত। কেনিয়ার ওলডুভাই অঞ্চলে এরকম হাতিয়ার পাওয়া গেছে বলে স্থানের নামানুসারে এই হাতিয়ারগুলি ‘ওল্ডোয়ান’ নামে পরিচিত।
হোমোহাবিলিস-এর পরবর্তী পর্যায়ে হোমোইরেকটাস (Homoerectus), হোমো এরগাস্টার (Homo ergaster) নামক মানবপ্রজাতির উদ্ভব ঘটে। ২০ লক্ষ বছর আগে এদের অস্তিত্ব ছিল বলে অনুমান। সম্ভবত হোমোএরগাস্টার তুলনামূলকভাবে কিছু কম বয়স্ক। হোমোইরেক্টাস প্রজাতি ছিল আরো বেশী বলবান ও বুদ্ধির অধিকারী। এদের খুলির ধারণ ক্ষমতা বেড়ে প্রায় ১০০০ ঘনসেন্টিমিটার হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত এরাই প্রথম আগুনের ব্যবহার আবিষ্কার করেছিল। ফলে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় জীবনধারণ করা কিংবা বন্য পশুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার কাজ কিছুটা সহজ হয়েছিল। এদের হাতিয়ারগুলিও ছিল পূর্বাপেক্ষা উন্নত। এই প্রজাতি পাথরের এক একটা স্তর কেটে তাকে হাতিয়ারে পরিণত করতে পারত। একে ‘স্তরকাটা নুড়ি পাথরের হাতিয়ার’ (Flaked Pebble tool) বলা হয়। এই সময় এক খণ্ড পাথরের দু’টি দিকে ঢালু করে হাতকুঠার তৈরীর প্রযুক্তি আদিমানবের আয়ত্ত্বে এসেছিল। হাতকুঠার তৈরীর এই করণকৌশলকে ‘অ্যাকিউলিয়ন’ (Acheuleon) বলা হয়। এই হাতিয়ারকে পুরা বা প্রাচীন প্রস্তরযুগের ‘নিম্ন’ স্তরের অন্তর্ভূক্ত বলে অনুমান করা হয়। হোমোইরেক্টাস প্রজাতির মানব হোমোহাবিলিস’দের তুলনায় বেশী বিচরণশীল ছিল। আফ্রিকার পাশাপাশি পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও এই প্রজাতির অবশেষ পাওয়া গেছে।
আধুনিক মানবপ্রজাতির বিবর্তনের তৃতীয় পর্বে (প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব যথাক্রমে হোমোহাবিলিস ও হোমোইরেক্টাস) হোমোসাপিয়েন্স (Homosapiens)দের আবির্ভাব ঘটে। এর অর্থ ‘বুদ্ধিসম্পন্ন মানব’। বর্তমান মানুষের উদ্ভব এই গোষ্ঠী থেকেই হয়েছে। ২ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বছর আগে পশ্চিম জার্মানির নিয়েনডারথাল প্রজাতির মানুষ এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। এদের উচ্চতা কম এবং কপাল ছোট, তবে মগজধারণের খোপের আয়তন প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ ঘনসেন্টিমিটার। নিয়েডনারথাল প্রজাতির সৃষ্টি সম্ভবত ইউরোপে। তবে নিকট প্রাচ্য (Near East) সহ প্রাচীন বিশ্বের নানা অঞ্চলে এই প্রজাতির অবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে।
অবশেষে তুষারযুগের একেবারে শেষ পর্বে উচ্চ পুরাপ্রস্তরযুগে সম্পূর্ণ আধুনিক মানুষ হোমে সাপিয়েন্স সাপিয়েন্স (Homo Sapiens Sapiens)-এর সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ১ লক্ষ ১৫ হাজার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রজাতির প্রথম অস্তিত্ব দেখা যায়। এদের মাথার খুলির আয়তন প্রায় ১২০০ থেকে ২০০০ ঘনসেন্টিমিটার। ফলে আধুনিক মানুষ অধিক বুদ্ধিবৃত্তির অধিকারী, যা পরিবেশের সাথে লড়াই করে তাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে তারা কথা বলে ভাববিনিময় করতে সক্ষম ছিল কিনা, তা পরিষ্কার নয়। কিছুকাল আগে পর্যন্ত মনে করা হত যে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫ হাজার অব্দ নাগাদ ভাষাজ্ঞান মানুষের আয়ত্বে এসেছিল। সাম্প্রতিককালে এই সময়কালকে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০ হাজার অব্দ নাগাদ পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রেক্ষিত ভারতবর্ষ :
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্র আমাদের ভারতবর্ষ। স্বভাবতই সেই সভ্যতার প্রাচীনতম বৈশিষ্ট্য বা আদিরূপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসার অন্ত নেই। ভূতত্ত্ববিদ্যা, নৃতত্ত্ববিদ্যা, জীববিদ্যা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ইতিহাসবিদ্যা সেই জিজ্ঞাসার নিরসনে সম্মিলিত প্রয়াস দ্বারা সাফল্য পেতে পারে। আমাদের বিষয় সভ্যতার সূচনা ও বিকাশ। এটিই ইতিহাসের উপজীব্য। কিন্তু ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন কিংবা নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ছাড়া ইতিহাস তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে পারে না। ভূতাত্ত্বিক সাক্ষ্য অনুসারে বিশ্বসৃষ্টি এবং মানব প্রজাতির আবির্ভাবর মধ্যে কোটি কোটি বছরের ব্যবধান আছে। ভূতাত্ত্বিক যুগ বিভাজনের শেষতম স্তরের ঠিক আগের যে সময়কালটি গ্লিস্টোসিন যুগ বা পর্ব নামে চিহ্নিত হয়েছে তখন মানব প্রজাতির সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। কারণ তার আগের কোন পর্বে ‘মানব’ প্রজাতির কোন জীবাশ্ম পাওয়া যায় নি। এমনকি, প্লিস্টোসিন পর্বের শেষভাগেও ‘মানব জীবাশ্ম আবিষ্কারে সংখ্যা খুবই নগণ্য। ভূতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা অনুসারে, প্রায় ৫০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি বছর আগে প্রথম ভূস্তর গঠিত হয়। এটি ‘আর্কিয়জয়িক পর্ব’ নামে পরিচিত। সম্ভবত কিছু এককোষ প্রাণীর তখন অস্তিত্ব ছিল, যা বর্তমানে নেই। ১৫০-৬০ কোটি বছর আগে গড়ে ওঠা প্রোটেরোজয়িক স্তরে সর্বপ্রথম ফ্যাঙ্গাস, ব্যাকট্রিয়া জাতীয় নিম্নতম স্তরের বহুকোষ প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছিল। ৬০ থেকে ২২ কোটি বছর আগে ছিল প্যালিয়জয়িক স্তর যখন সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মাছ, সরীসৃপ ইত্যাদির উদ্ভব হয়। এই সময় থেকে ভূ-পৃষ্ঠের আয়তন বেড়ে যায় এবং আবহাওয়া উন্নতর হতে থাকে। পরবর্তী ‘মেসোজয়িক’ স্তরে (২২ থেকে ৭ কোটি বছর আগে) ডাইনোসোর জাতীয় বৃহদাকার জন্তুর আবির্ভাব ঘটে। ৭ কোটি থেকে ৩০ হাজার বছর আগে আসে ‘সেনোজয়িক’ কালপর্ব যখন পাখি ও স্তন্যপায়ী জীবের সৃষ্টি হয়। এই যুগের শেষদিকে প্লেইস্টোসিন মানবের সৃষ্টি হয়। অতঃপর নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ‘হোমো স্যাপিয়েন্স’ মানবের উদ্ভব ঘটেছে? বলে ভূ-তাত্ত্বিকরা মনে করেন।
Leave a comment