আলাের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট অবলােকন বিন্দু (View Point) থেকে বস্তুর অবয়বকে একটি দ্বিমাত্রিক তলের ওপর নিক্ষেপ করা হল অভিক্ষেপ। সাধারণ অভিক্ষেপের মতাে মানচিত্র অভিক্ষেপেও আলাে ও কাগজের প্রয়ােজন তবে এক্ষেত্রে ভূগােলক (Globe)-এরও প্রয়ােজন হয়। মানচিত্র অভিক্ষেপে কাগজের ওপর ভূগােলককে সামগ্রিক বা আংশিকভাবে অভিদ্ষিপ্ত করা হয়। ভূগােলক প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ। তাই ভূগোলকে পৃথিবীর সমস্ত বৈশিষ্ট্যই যথাযথভাবে বিদ্যমান। ভূগােলকের অভিক্ষেপ বলতে বােঝায় কাগজের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার একটি জালিকার প্রতিস্থাপন। সুতরাং, ভূগােলকের সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার জালিকাকে কোনাে নির্দিষ্ট তলে (কাগজ) যথাযথ ও শ্রেণিবদ্পভাবে স্থানান্তর করাকে মানচিত্র অভিক্ষেপ বলা হয়।

  • মানচিত্র অভিক্ষেপ হল আংশিক বা সামগ্রিকভাবে ভূগােলকের উপস্থাপন,

  • ইহা ত্রিমাত্রিক অবস্থা থেকে দ্বিমাত্রিক তলে ভূগােলকের প্রতিস্থাপন,

  • ইহা একটি সুনির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কন করা হয়,

  • এক্ষেত্রে সমাক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার জালিকার মাধ্যমে অভিক্ষেপের উপস্থাপন,

  • এক্ষেত্রে ভূগােলকের বিভিন্ন ধর্মের সংরক্ষণ করা হয়,

  • অভিক্ষেপের বিভিন্ন বিন্দুতে স্কেলের পরিবর্তন হয়।

পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গােলাকৃতি এবং ত্রিমাত্রিক, অথচ যে কাগজে আমরা পৃথিবীকে অঙ্কন করি সেটি সমতল এবং দ্বিমাত্রিক, তাই অভিগত গােলাকৃতি পৃথিবীকে সমতল কাগজে নিখুঁত করে আঁকা সম্ভব নয়, এই কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ নির্ভুলভাবে অঙ্কনের জন্য মানচিত্র অভিক্ষেপের প্রয়ােজন হয়।