বৈজ্ঞানিকভাবে হাঁসের ডিম সিদ্ধ হওয়ার পর ছবির মতো এরকম গোলাপি রঙ হওয়ার কথা না এবং সাধারণত হয়ও না। তবে যদি কোনো ডিমে এরকম সিদ্ধ হওয়ার পর হালকা গোলাপি আভা কিছুক্ষণ দেখা যায়, তবে তার কারণ হচ্ছে ডিম সিদ্ধ হওয়ার সময় ডিমের প্রোটিন পানিতে বিদ্যমান আয়রন বা সালফারের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এরকম অদ্ভুত রঙ দেখাচ্ছে।

কাঁচা ডিমে যদি গোলাপি রঙ দেখা যায়, তাহলে তা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যেমন Pseudomonas এর কারণে গোলাপি বা নীল রঙ দেখা যায়। কিন্তু এইটা তো সিদ্ধ ডিম এবং দেখে নকলই মনে হচ্ছে।

তবে সিদ্ধ করার পর আসল ডিম যেমন সাদা অংশ এবং কুসুম সহজেই আলাদা হয়ে যায়, নকল ডিম কিন্তু সেভাবে আলাদা হয় না। নকল ডিমের গঠনও থাকে একদম মসৃণ, খেতে গেলে অনেকটা রাবারের মতো লাগে এবং এতে অনেকটা প্লাস্টিকের মতো গন্ধ থাকে।

যেহেতু শুধু ছবি দেখে বলা, বাকি জিনিসগুলো পরীক্ষা করার মতো উপায় আমার কাছে নেই, তাই আমি আপনাকে এমন কিছু উপায় বলে দিচ্ছি যেগুলো করে সহজেই নকল ডিম চেনা যায়:

 মোমবাতির উপর ডিম ধরে দেখা: অন্ধকার রুমে আসল ডিম মোমবাতির উপর ধরলে ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুমের আভা দেখা যায়। কিন্তু নকল ডিমে তা দেখা যায় না, একইরকম থাকে।

 ডিম ঝাঁকুনি: আসল ডিম ঝাঁকালে তেমন আওয়াজ বা থকথকে কিছু অনুভব হবে না। কিন্তু নকল ডিমে আর্টিফিশিয়াল লিকুইড থাকায় তা থেকে সহজেই থকথকে আওয়াজ বা অনুভূতি পাওয়া যাবে।

 পানিতে পরীক্ষা: আসল ডিম একটা পানির পাত্রে দিলে তা নিচে ডুবে যাবে। কিন্তু নকল ডিম পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকবে।

 বাউন্সিং পরীক্ষা: ডিম সিদ্ধ করে ঠান্ডা করার পর এটিকে ৫-১০ সেমি উপর থেকে নিচে ফেলুন। আসল ডিম হলে ভেঙে যাবে। কিন্তু নকল হলে তা হালকা বাউন্স করবে কিন্তু ফাঁটবে না।

এই পদ্ধতিগুলো দিয়ে সবাই নিজ ঘরেই নকল ডিম পরীক্ষা করে বুঝতে পারবে।

– দিদারুল ইসলাম, টিম সাইন্স বি