উপলক্ষ্য: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছােটোগল্পে ক্যানসারে আক্রান্ত, বিরাশি বছরের কর্তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে শহরের বড়ােবাড়িতে হােমযজ্ঞের আয়ােজন করা হয়েছিল। বুড়ােকর্তার ছােটোবউমার বাবা পরিচিত এক তান্ত্রিককে এই উপলক্ষ্যে সেই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন।
আয়ােজন : যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, বট, অশ্বথ এবং তেঁতুল গাছের কাঠ আধ মন করে আনা হয়েছিল। সেই আড়াই মন কাঠের প্রতিটি খণ্ড দেড় হাত করে কাটতে বলা হয়েছিল গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র উচ্ছবকে। কালাে বিড়ালের লােম, শ্মশানের বালি ইত্যাদি নানাপ্রকার জিনিসের ফরমাশ করেছিলেন তান্ত্রিক। প্রথমে হােমযজ্ঞের আগে রান্না এবং খাওয়া শেষ করার কথা থাকলেও, তান্ত্রিক নতুন বিধান দিয়েছিলেন যে রান্না শেষ করলেও হােম সম্পন্ন না হলে কেউ খেতে পারবে না। উচ্ছব যজ্ঞের জন্য কাটা কাঠের টুকরােগুলি পাঁচ ভাগে ভাগ করে দালানে রেখে আসার পর শুরু হয় হােমযজ্ঞ। বুড়ােকর্তার খাস-ঝি হােমের জোগান দিচ্ছিল।
যজ্ঞ ও তার পরিণতি : তান্ত্রিক “ওঁং হ্রীং ঠং ঠং ভাে ভাে রােগ শৃণু শৃণু”— মন্ত্র বলে বুড়ােকর্তার রােগকে দাঁড় করান, কালাে বিড়ালের লােম দিয়ে রােগকে বাঁধেন এবং তারপর বুড়ােকর্তার তিন ছেলের উপস্থিতিতে হােম শুরু করেন। যদিও এই হােমযজ্ঞ শুরু হওয়ার ঠিক পরমুহূর্তেই বুড়ােকর্তা মারা যান।
Leave a comment