মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ | Image collected |
বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য এটি অতি সহজ একটি প্রশ্ন যে- মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বলের মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে। তবে আমরা যারা নতুন নতুন বিজ্ঞান কে জানতে শিখেছি বা বিজ্ঞানের মজার দুনিয়ায় নতুন পা বাড়াচ্ছি তাদের জন্য এই লেখাটি মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যপক ভূমিকা রাখবে।
তাহলে চলুন প্রথমে দেখে নেওয়া যাক মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কি!
মহাকর্ষ বল
আমরা জানি, মহাবিশ্বের যে কোন দুটি বস্তুক্ণা একে অপরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলকেই মহাকর্ষ বল বলে। অর্থ্যাৎ, মহাকর্ষ (Gravitation) বল হল মহাবিশ্বের যেকোন দুটি বস্তুরকণার মধ্যে পারস্পারিক আকর্ষণ। সহজভাবে বলতে গেলে, মহাজাগতিক সকল বস্তুর মধ্যে পারস্পারিক আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। মহাবিশ্বে, প্রতিটি বস্তু একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বল দিয়ে একে অপরকে আকর্ষণ করে। তবে এই আকর্ষণ শক্তি খুব দুর্বল প্রকৃতির, যে কারণে আমরা এটি অনুভব করতে পারি না।
মহাকর্ষ বলকে F = G M1M2/r2 হিসাবে প্রকাশ করা যায়। যেখানে G = মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। M1, M2 = বস্তুদ্বয়ের ভর এবং r= বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী দুরুত্ব।
এই সূত্রকে আইজ্যাক নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র বলে। মহাকর্ষ বলের কারণেই পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান থাকে। স্যার আইজাক নিউটন ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তার ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা গ্রন্থে এ বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন এবং মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
অভিকর্ষ বল
পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা কোন বস্তুকে পৃথিবী নিজের দিকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ (Gravity) বলে। অর্থাৎ, পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে, সেই বলকে অভিকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বল বলে। নিউটন সর্বপ্রথম অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। অভিকর্ষণ শক্তিকে F = Mg হিসাবে প্রকাশ করা যায় যেখানে g = অভিকর্ষ ত্বরণ।
উদাহরণস্বরুপ – একটি পাথর উপরদিকে নিক্ষেপ করলে পৃথিবী পৃষ্ঠের মধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে নিচের দিকে পড়ে। কারণ পৃথিবী ওই পাথরটিকে তার নিজস্ব বল দ্বারা নিজের দিকে আকর্ষণ করছে।
Leave a comment