মহম্মদ তুঘলকের চরিত্র ও কৃতিত্বের মূল্যায়ন:
ভারতীয় শাসকদের মধ্যে সম্ভবত সর্বাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হলেন সুলতান মহম্মদ-বিন্-তুঘলক। তাঁর সমকালীন ঐতিহাসিক বারাণী, ইবন বতুতা, ইসামী ও আধুনিক ঐতিহাসিক ড. ঈশ্বরীপ্রসাদ, ড. মেহদী হোসেন, এলফিন্স্টোন, ড. নিজামী, লেপুল প্রমুখ সবাই মহম্মদের চরিত্র ও কৃতিত্বের মূল্যায়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ঐতিহাসিকেরা বিভিন্ন প্রসঙ্গে সুলতানকে দয়ালু, রক্তপিপাসু, স্বপ্নবিলাসী, পরস্পরবিরোধী গুণের সংমিশ্রণ, হটকারী, উন্মাদ, সৃষ্টির বিস্ময়, ভাগ্যবিড়ম্বিত, আদর্শবাদী ইত্যাদি নানা অভিধায় ভূষিত করেছেন। স্বভাবতই সুলতানের চরিত্র ও কৃতিত্বের নিরপেক্ষ এবং ইতিহাসমুখী মূল্যায়ন অসম্ভব না হলেও কিছুটা কষ্টকর। ইতিহাসের পাতায় সেইসব শাসক বহুল আলোচিত হন যাঁরা ভালো-মন্দ, সাফল্য-ব্যর্থতা উভয় ক্ষেত্রেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের সাহস বা দুঃসাহস দেখান। মহম্মদ-বিন্-তুঘলক ছিলেন এমনই একজন শাসক যিনি মধ্যযুগের হলেও মধ্যযুগীয় সীমাবদ্ধতার নিগড়ে বদ্ধ ছিলেন না, যিনি রাজনীতিবিদ হলেও দর্শনশাস্ত্র বা চিকিৎসাবিদ্যার গভীরে প্রবেশ করতে ছিলেন উন্মুখ, যিনি ইসলাম হলেও ইসলামের তথাকথিত রক্ষকদের সান্নিধ্য বর্জন করাকে শ্রেয় মনে করতেন। মধ্যযুগে অবস্থান করে আধুনিক যুগের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তাই তাঁর জীবন সরলরেখায় অগ্রসর হয়নি, কিংবা তাঁর পরিকল্পনা স্বাভাবিক ধারায় রূপায়িত করা সম্ভব হয়নি।
ব্যক্তিগতভাবে মহম্মদ ছিলেন চারিত্রিক কলুষতামুক্ত। নারীসঙ্গ বা মদ্যপান বিষয়ে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত ও আসক্তিমুক্ত। অবশ্য ঔরঙ্গজেবের মতো অন্ধ গোঁড়ামি তাঁর ছিল না। তাই নর্তকীদের কাজকে তিনি অসামাজিক বা বর্জনীয় বলে মনে করেননি। শিক্ষা ও শিক্ষিতের প্রতি ছিল মহম্মদের আন্তরিক অনুরাগ। মধ্যযুগীয় শিক্ষার এমন কোনো শাখা ছিল না, যা কোনো না কোনো ভাবে তাঁর জ্ঞাত ছিল না। সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস, অলংকারশাস্ত্র, কাব্য, তর্কবিদ্যা, গণিত, চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র, হস্তাক্ষরবিদ্যা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কোরান ও হাদিস সম্পর্কেও তাঁর জ্ঞান ছিল অনেক গভীর। বারাণী লিখেছেন : “বাকৃপটু এই সুলতান হাস্যরস-সৃষ্টির কাজেও ছিলেন দক্ষ।” ড. ঈশ্বরীপ্রসাদ লিখেছেনঃ “Of all kings who had sat upon the throne of Delhi since the Muslim conquest, he was undoubtedly the most learned and accomplished.” মহম্মদের উদ্যোগে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলির সাথে ভারতের সাংস্কৃতিক ভাববিনিময় ঘটে। ইরাক, সিস্তান, মিশর, হিরাট, টাঞ্জিয়ার্স প্রভৃতি দেশ থেকে সাংস্কৃতিক দূতরা ভারতে আসেন। ভাবসর্বস্ব সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি রুক্ষ, হৃদয়হীন সমরাঙ্গনেও মহম্মদের ছিল স্বাভাবিক পদচারণা। কৈশোর থেকেই তাঁর পরিচয় যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে। সম্ভবত, ব্যক্তিগতভাবে মহম্মদ তুঘলকের মতো এত যুদ্ধে অংশগ্রহণ কিংবা বিদ্রোহদমনে অগ্রসর অন্য কোনো মুসলমান শাসক হননি। মুবারক খলজির অধীনে ‘আমির-ই-আথুর’ হিসেবে মহম্মদের রাজনৈতিক জীবন শুরু এবং শেষ হয় সিন্ধুর জনহীন প্রান্তরে সামরিক ছাউনির মধ্যেই। উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে সুদূর দক্ষিণে দ্বারসমুদ্র এবং পূর্বে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমে সিন্ধু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছিল মহম্মদের অধীনস্থ। ড. নিজামীর মতে, “ইতিপূর্বে কখনোই দিল্লির সুলতানির কর্তৃত্ব ও মর্যাদা এমন উচ্চতা স্পর্শ করতে পারেনি।” তেইশটি রাজ্যে বিভক্ত সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক প্রতিটি দিকে ছিল সুলতানের তীক্ষ্ণ নজর।
মহম্মদ তুঘলকের বিরুদ্ধে দুটি প্রধান অভিযোগ হল যে, তিনি ছিলেন রক্তপিপাসু এবং খামেখেয়ালি বা উন্মাদপ্রায়। ইবন বতুতা, সুলতানের কয়েকটি নৃশংস আচরণের উল্লেখ করে তাঁকে রক্তপিপাসু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একথা ঠিক, সুলতান একাধিক ক্ষেত্রে অন্যায়কারীর গায়ের চামড়া জীবন্ত অবস্থায় ছাড়িয়ে নেবার কিংবা মৃতের মাংস রান্না করে তারই আত্মীয়পরিজনকে ভক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ শিহাবউদ্দিনের সমস্ত শ্মশ্রু টেনে তুলে নেওয়া কিংবা সুলতানকে স্বৈরাচারী বলার অপরাধে তাঁকে নরবিষ্ঠা ভক্ষণ করানোর মতো কিছু অমানবিক সিদ্ধান্ত মহম্মদ তুঘলক নিয়েছেন। তবে ‘সুলতানি প্রাসাদের বাইরে প্রতিদিন মৃতদেহ স্তূপীকৃত থাকত কিংবা প্রাসাদের প্রবেশদ্বারে রক্তস্রোত সদাবহমান থাকত—এ ধরনের বক্তব্যের মধ্যে অতিরঞ্জন স্পষ্ট। ইবন বতুতা নিজেই লিখেছেন যে, ন্যায়বিচারের প্রতি মহম্মদের ছিল তীক্ষ্ণ নজর। সুলতানের বিরুদ্ধে জনৈক হিন্দু একদা অভিযোগ পেশ করলে সুলতান স্বয়ং খালিপায়ে এবং নিরস্ত্র অবস্থায় কাজির সামনে নতমস্তকে এসে দাঁড়ান। কাজি সুলতানকে দেখে ইতস্তত করলে এবং আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালে সুলতান তাঁকে পরামর্শ দেন যে, বিচারকের সামনে একজন সাধারণ নাগরিক ও সুলতানের মর্যাদা একই। বিচারকের উচিত নিরপেক্ষভাবে বিধান দেওয়া। অতঃপর সুলতান কাজির দেওয়া দণ্ড নতমস্তকে মেনে নেন। ইবন বতুতার এই বিবরণ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, সুলতানের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার অভাব ছিল না। তাই বলা চলে, খামখেয়ালবশত তিনি কাউকে চরম শাস্তি দিতেন না। বারাণী লিখেছেন যে, সুলতান তাঁকে একবার বলেছিলেন, “যতদিন না জনগণ বিদ্রোহ বর্জন করে, সৎভাবে আচরণ করে, ততদিন আমি তাদের চরম শাস্তি দিতে দ্বিধা করব না।” অর্থাৎ সুলতানের নৃশংসতা ছিল প্রয়োজনভিত্তিক, ইচ্ছাভিত্তিক নয়। কঠোরতা তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল না, সাম্রাজ্যের সংহতির প্রয়োজনেই তিনি কঠোরতা অবলম্বন করতেন।
মহম্মদ তুঘলকের খামখেয়ালিপনার দৃষ্টান্ত হিসেবে বারাণী প্রমুখ দোয়াবে কর বৃদ্ধি, রাজধানী স্থানান্তর, প্রতীক-মুদ্রার প্রচলন, খোরাসান পরিকল্পনা প্রভৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। ড. ঈশ্বরীপ্রসাদের মতে, আপাতদৃষ্টিতে এই কাজগুলিকে খামখেয়ালি মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ মনে হতে পারে। কিন্তু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার হয় প্রতিটি পরিকল্পনা ছিল প্রশাসনিক প্রয়োজন থেকে উদ্ভুত এবং যুক্তিপূর্ণ। পুনঃপুন মোঙ্গল আক্রমণের ফলে দিল্লির নিরাপত্তাহীনতা কিংবা দাক্ষিণাত্যে সুলতানি কর্তৃত্ব সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেরই কোনো রাজ্যে থেকে দেশ শাসন করার চিন্তা আর যাই হোক্, হটকারী বা অবিজ্ঞজনোচিত কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। প্রতীক-মুদ্রার ব্যবহার বিশ্বে নতুন নয়। রূপার জোগানের অভাবহেতু প্রতীক-মুদ্রা প্রচলনের সিদ্ধান্ত সুলতানের গভীর অর্থনৈতিক জ্ঞানের পরিচায়ক। আর জনগণের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়িয়ে রাজকোষের অভাব পূরণ করার চেষ্টা ইতিহাসের অতি পুরাতন একটি ঘটনা। তাই এগুলিকে সুলতানের অজ্ঞতা বা হটকারিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। সুলতানের এইসব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু সেজন্য পরিকল্পনাগুলি দায়ী ছিল না; দায়ী ছিল পরিকল্পনাগুলি রূপায়ণের পদ্ধতি। ড. ঈশ্বরীপ্রসাদ, লেপুল প্রমুখ ঐতিহাসিকরা স্বীকার করেছেন যে, মহম্মদের চিন্তা ছিল যুগের তুলনায় অগ্রণী। সাধারণ মানুষ যেমন তাঁর পরিকল্পনার তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, তেমনি প্রকল্পগুলি রূপায়ণের জন্য যে ধৈর্য ও পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার ছিল, সে বিষয়ে সুলতান বা তাঁর আমলারা কেউ সচেতন ছিলেন না। তাই লেপুল লিখেছেনঃ “Hence with the best intention, excellent ideas, but no balance of patience or sense of proportion, Muhammad Tughlak was transcendent failure.” ড. মজুমদারের মতে, সুলতানের এই ধৈর্যহীনতা কিংবা প্রকল্প রূপায়ণের যথার্থ পথ উদ্ভাবনের ব্যর্থতা তাঁর ত্রুটি হিসেবেই বিবেচিত হবে। মন্দের ভালো এই যে, তিনি প্রকল্পগুলির সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি বাতিল করেছেন এবং এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণেরও ব্যবস্থা করেছেন।
বারাণী এবং ইসামী মহম্মদ তুঘলকের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগ এনেছেন। বারাণীর মতে, ইসলামের রক্ষক ও সেবকদের প্রতি মহম্মদ ছিলেন বিদ্বেষপরায়ণ। ইসামীর মতে, মহম্মদ ছিলেন কাফের। হিন্দু যোগীদের সাথে ছিল তাঁর গভীর সম্পর্ক, যা ইসলামের প্রতি তাঁর অশ্রদ্ধা বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে। ইসামী সুলতানের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধের ডাক দিতেও দ্বিধা করেননি। বাস্তব ঘটনা হল যে, সুলতান উলেমা, কাজি, খাতিব, কাফি, মাসাইঘ প্রভৃতি মুসলিম ধর্মবিদ্, বিচারক, প্রচারক, সন্ত প্রমুখকে পূর্ববর্তী সুলতানের মতো অতিরিক্ত গুরুত্ব ও সুযোগসুবিধা দিতে রাজি ছিলেন না। দুর্মুখ ও দুর্বিনীত মুসলিম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তাদের মহম্মদ খুব সাধারণের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিলেন। দিল্লি থেকে সুফিসাধকদের জোর করে দৌলতাবাদে টেনে নিয়ে যাওয়ার ফলে তাঁরাও সুলতানের ওপরে রুষ্ট ছিলেন। অর্থাৎ গোঁড়াপন্থী ও উদারপন্থী উভয় শ্রেণির মুসলিম ধর্মবিদ্গণ মহম্মদের কাজে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তাঁদের বিচারে মহম্মদ ছিলেন ধর্মদ্রোহী। কিন্তু ড. মজুমদারের মতে, ইসলাম ধর্মবিদদের প্রতি মহম্মদের ঔদাসীন্য এবং রূঢ়তার মূল কারণ ছিল সুলতানের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক কর্তৃত্ববোধ, ধর্মীয় নেতাদের অবাধ্যতা এবং সুলতানের রুক্ষ মেজাজ। এর পেছনে কোনোরূপ ধর্মীয় প্রেরণা বা ঘৃণা ছিল না।
বারাণীর বিবরণের ওপর ভিত্তি করে ভিন্সেন্ট স্মিথ, এলফিন্স্টোন প্রমুখ মহম্মদ তুঘলককে ‘পরস্পর-বিরোধী গুণের সংমিশ্রণ’ (Mixture of opposits) বলে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু ড. নিজামী, গার্ডনার ব্রাউন, লেপুল, আগা মেহদী হোসেন প্রমুখ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। ড. নিজামীর মতে, বারাণীর বক্তব্যে অন্তর্বিরোধ লক্ষণীয়। সুলতানের ধর্মনিরপেক্ষতা, বংশমর্যাদার পরিবর্তে যোগ্যতার প্রতি বিশ্বস্ততা, অন্ধ ধর্মানুসরণের পরিবর্তে ধর্মের সত্যাসত্য মানার একান্ত ইচ্ছা প্রভৃতি বারাণীর মনঃপুত ছিল না। তাই তিনি সুলতানের কাজের বিরূপ সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বারাণীর এই সিদ্ধান্ত বা অবস্থান স্থায়ী ছিল না। অতীতের স্মৃতিচারণা ছেড়ে যখন তিনি সদ্য বর্তমানের বর্ণনা দিতে গিয়েছেন, তখন তাঁর বিচারে মহম্মদ তুঘলক ছিলেন প্রজাদরদী এবং প্রশংসার যোগ্য ব্যক্তিত্ব। ড. নিজামীর ভাষায় : “When Barni is in the present, he has love for Muhammand bin Tughluq: when he is in the past, he has nothing but hatred for him.”
ড. হোসেন মনে করেন যে, মহম্মদ তুঘলকের প্রকৃতিতে স্ববিরোধিতা হয়তো ছিল; কিন্তু এই বৈপরীত্য এসেছিল তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে। এবং তার পেছনে যথেষ্ট কারণও ছিল। বারাণী প্রমুখ নানা পর্যায়ের ঘটনাকে একসূত্রে গ্রথিত করে তাঁর চরিত্রকে ‘বৈপরীত্যের সমাবেশ’ বলে প্রচার করতে চেয়েছেন। অবশ্য ড. শ্রীবাস্তবের মতে, ড. হোসেনের ব্যাখ্যা যথার্থ নয়। তিনি লিখেছেন : “Muhammad did possess contradictory qualities at one and the same period of his character throughout his life.” এই বিতর্কের একটা সমাধানসূত্র পাওয়া যায় ড. মজুমদারের ব্যাখ্যায়। তিনি লিখেছেন : “মহম্মদ তুঘলক বিকৃতরুচি বা উন্মাদগ্রস্ত ছিলেন না, কিন্তু তাঁর আচরণের মধ্যে বৈপরীত্য ছিল লক্ষণীয়। তাঁর হৃদয় ও মস্তিষ্কে এমন বহু সদগুণ ছিল, যা তাঁর অনেক আচরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। প্রতিদিন চল্লিশ হাজার ভিক্ষুকদের ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে তিনি যেমন আন্তরিক ছিলেন, তেমনি তাঁর কথা অমান্য করার জন্য নৃশংসভাবে কাউকে হত্যা করতেই তিনি দ্বিধা করতেন না।” তাই মহম্মদ-বিন্-তুঘলককে একাধারে ‘দয়ার সাগর ও রক্তপিপাসু বললে হয়তো প্রকৃত সত্য বলা হয় না; কিন্তু এই ব্যাখ্যা দ্বারা তাঁর চরিত্রের আংশিক আভাস হয়তো পাওয়া সহজ হয়।
Leave a comment