লোহাকে বাতাসে দীর্ঘসময় রেখে দিলে বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের সাথে লোহা বিক্রিয়া করে মরিচা তৈরি করে। লোহার উপর মরিচা পড়া অনেক ধীর গতিতে সংঘটিত হয়।
জারণ বিজারণ এর মাধ্যমে লোহায় মরিচা পড়ার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা যায়। লোহায় মরিচা পড়ার সময় একটি ধাপে জারণ বিক্রিয়া এবং অন্য একটি ধাপে বিজারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
এজন্য লোহায় মরিচা পড়ার প্রক্রিয়াটি জারণ বিজারণ প্রক্রিয়া। লোহায় মরিচা পড়ার জন্য বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন এবং পানির প্রয়োজন। বায়ুমণ্ডলের পানি কিছুটা বিয়োজিত হয়ে H+ ও OH- আয়ন তৈরি করে।
H₂O ——> H+ + OH-
লোহা যখন বায়ুমণ্ডলের H+ আয়ন এর সংস্পর্শে আসে তখন লোহা ইলেকট্রন ত্যাগ করে Fe²+ আয়নে পরিণত হয়। এখানে জারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
2Fe ——> Fe²+ + 2e-
আয়রন যে ইলেক্ট্রন দান করে অক্সিজেন এবং H+ আয়ন সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে পানি উৎপন্ন করে। এখানে বিজারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
4H+ + O₂ + 4e- ——> 2H₂O
এবার Fe²+ আয়ন ও H+ আয়ন এবং অক্সিজেন বিক্রিয়া করে Fe³+ আয়ন ও পানি উৎপন্ন করে।
Fe²+ + O₂+ H+ —–> H₂O +Fe³+
এরপর Fe³+ ও OH- আয়ন এর সাথে বিক্রিয়া করে Fe(OH)₃ তৈরি করে।
Fe³+ + OH- ——> Fe(OH)₃
এই ফেরিক হাইড্রক্সাইড পরিবর্তিত হয় পানিযুক্ত ফেরিক অক্সাইড বা মরিচা তৈরি করে।
2Fe(OH)₃ —–> Fe₂O₃.3H₂O
Leave a comment