মধ্যভারতের একটি প্রধান ইস্পাত কেন্দ্র হল ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট (BSP)। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারি উদ্যোগে তৎকালীন সােভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলায় 1955 সালে এই কারখানাটি স্থাপিত হয়। এটি SAIL-এর সবচেয়ে লাভজনক ইস্পাত কারখানা। ভিলাই ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি হলㅡ

[1] আকরিক লােহা : 80 কিমি দূরে দাল্লি-রাজহারা অঞ্চল থেকে আকরিক লােহা পাওয়ার সুবিধা।

[2] কয়লা : কোরবা ও ঝরিয়া থেকে কয়লার জোগান।

[3] চুনাপাথর ও ডলােমইট : ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর ও নন্দিনী, আকালতারা থেকে চুনাপাথর এবং ছত্তিশগড়ের হিররির ডলােমাইট পাওয়ার সুবিধা।

[4] ম্যাঙ্গানিজ : মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট ও মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা থেকে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়ার সুবিধা।

[5] জল : মহানদী ও তার উপনদী এবং তণ্ডুলা জলাধার থেকে জল পাওয়ার সুবিধা।

[6] পরিবহণ ব্যবস্থা : দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের মাধ্যমে কাঁচা- মাল ও উৎপাদিত পণ্য আদানপ্রদান, কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়ে বাণিজ্যের সুবিধা।

পূর্ব উপকূলের বন্দর নির্ভর প্রধান ইস্পাতকেন্দ্রটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত। চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তৎকালীন সােভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের কাছে বালাচেরভূতে এই কারখানাটি গড়ে ওঠে। স্থানীয় জলবিদ্যুৎ এই শিল্পকেন্দ্রে শক্তির জোগান দেয় এবং এর সাহায্যে এখানে উচ্চমানের ইস্পাত তৈরি সম্ভব হয়। উৎপাদনের বিচারে এটি ভারতের চতুর্থ এবং উপকূলে অবস্থিত একমাত্র লৌহ-ইস্পাতকেন্দ্র। এই কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি হল

[1] আকরিক লোহা: অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাঙ্গা, কুল, নেলাের এবং ছত্তিশগড়ের বাইলাডিলা প্রভৃতে স্থান থেকে আকরিক লােহা পাওয়ার সুবিধা।

[2] কয়লা: অপ্রদেশের সিগারেণি ও ওডিশার তালচের থেকে কয়লা পাওয়ার সুবিধা।

[3] ম্যাঙ্গানিজ: বালাঘাট ও শ্রীকাকুলাম থেকে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়ার সুবিধা।

[4] চুনাপাথর ও ডলোমাইট: গুন্টুর ও আদিলাবাদ থেকে যথাক্রমে চুনাপাথর ও ডলােমাইট পাওয়ার সুবিধা।

[5] বিদ্যুৎশক্তি: অন্ধ্রপ্রদেশের তুঙ্গভদ্রা প্রকল্প থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়ার সুবিধা।

[6] জল: অন্ধ্রপ্রদেশের তুঙ্গভদ্রা প্রকল্পের জলাধার থেকে জল পাওয়ার সুবিধা।

[7] আমদানি-রপ্তানি: বিশাখাপত্তনম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানির সুবিধা ইত্যাদি।