ভৌগোলিক পরিবেশ কি?

মানুষ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে বাস করে তাকে ভৌগোলিক পরিবেশ বলে। মানুষের যাবতীয় কার্যাবলি তার পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

ভৌগোলিক পরিবেশের সংজ্ঞা

পরিবেশ শব্দটি Environ এবং ment এ দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যার আভিধানিক অর্থ হলো পারিপার্শ্বিক অবস্থা, যা জৈব ও অজৈব উপাদান নিয়ে গঠিত। ভৌগোলিক পরিবেশকে শুধু পরিবেশও বলা হয়।

পরিবেশ সম্বন্দ্বে বিভিন্ন ভূগোলবিদগণের দেয়া সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

“ভৌগোলিক পরিবেশ হলো সেই সমস্ত উপাদানের সমষ্টি, যার উৎপত্তি ও সৃষ্টির উপর মানুষের হাত নেই।” – অধ্যাপক এম. সি. আগরওয়ালা

“কোনো কিছুর উন্নতি বা সমৃদ্ধির ওপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানসমূহের সমষ্টিই হলো পরিবেশ।” –অধ্যাপক চেম্বার্স

“যেসব অবস্থা ও বস্তুসমূহ জীবনকে পরিবর্তিত বা প্রভাবিত করে তাই পরিবেশ।” –ড. সিরাজুল ইসলাম 

“পরিবেশ হলো আমাদের চারিপার্শ্বস্থ সবকিছু। আমাদের পরিবেশ হলো প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং মানুষ কর্তৃক উৎপাদিত বিষয়াবলির সমন্বয়।” – কারেন আর্মস

সুতরাং ভৌগোলিক পরিবেশ এমন একটি অবস্থা যার মধ্যে মানুষ বাস করে এবং উক্ত অবস্থার প্রভাব মানুষের জীবনযাত্রাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।

ভৌগোলিক পরিবেশের উপাদান সমূহ

ভৌগোলিক পরিবেশের উপাদানসমূহকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও খ) অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ। নিম্নে একটি ছকের মাধ্যমে ভৌগোলিক পরিবেশের উপাদানসমূহ দেখানো হলো-

প্রাকৃতিক পরিবেশ

প্রাকৃতিক পরিবেশ হলো সে সব প্রাকৃতিক উপাদানের সমষ্টি, যার উৎপত্তি এবং সৃষ্টির উপর মানুষের কোনো হাত নেই। নিম্নে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো-

১. ভূ-প্রকৃতি: প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম উপাদান হলো ভূ-প্রকৃতি। ভূ-প্রকৃতি বলতে ভূমির অবস্থাকে বোঝায়। ভূ-প্রকৃতি পর্বতময়, মরুভূমি, মালভূমি বা সমভূমি হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ভূ-প্রকৃতির বিভিন্নতার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক উপজীবিকাও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

২. ভৌগোলিক অবস্থান: ভৌগোলিক অবস্থান বলতে কোন দেশ পৃথিবীর কোন অঞ্চলে অবস্থিত তাকে বোঝায়। কোনো দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক উন্নতি এর অবস্থানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

৩. জলবায়ু: পৃথিবীর জলবায়ুর বিভিন্নতার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের মানুষের বাসস্থান, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মকুশলতার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

৪. আকৃতি: কোনো দেশের আকৃতি বলতে সে দেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখার ধরনকে বোঝানো হয়। দেশের আকৃতি ও আকার বিভিন্নতার কারণে জলবায়ু ও ভূমির ব্যবহার ভিন্ন হয়।

৫. আয়তন: আয়তন বলতে রাজনৈতিক সীমারেখাকে বোঝায়। কোনো দেশের আয়তন ছোট বা বড় হতে পারে। আয়তন ছোট হলে সম্পদরাজি কম হবে এবং আয়তন বড় হলে সম্পদের পরিমাণ বেশি হবে। যেমন- ভারত বাংলাদেশ থেকে বড় বলে সম্পদের তুলনায় প্রাচুর্য বেশি।

৬. মৃত্তিকা: ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ যে পদার্থ দ্বারা আবৃত তাকে মৃত্তিকা বলে। মৃত্তিকা বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যেমন- বেলে, এঁটেল, দোআঁশ ইত্যাদি। বিভিন্ন মৃত্তিকার উর্বরা শক্তিও বিভিন্ন রকম হয়।

৭. খনিজ সম্পদ: খনিজ সম্পদ হলো রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাত যৌগিক পদার্থ, যা পৃথিবীর শিলাস্তরে পাওয়া যায়। কয়লা, লৌহ, তাম্র ও পেট্রোলিয়াম খনিজ সম্পদের উদাহরণ। বর্তমান বিশ্বে খনিজ সম্পদই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

৮. নদনদী ও সাগর: প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান হলো নদ-নদী। পৃথিবীর আদি সভ্যতাগুলোও নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল।

৯. স্বাভাবিক উদ্ভিদ: ভূপৃষ্ঠের স্থলভাগে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে যে গাছপালা জন্মে থাকে তাকে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ু, মৃত্তিকা ইত্যাদি পার্থক্য অনুসারে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ জন্মে। যেমন- নিরক্ষীয় অঞ্চলে এক রকম বনাঞ্চল আবার ক্রান্তীয় অঞ্চলে অন্য রকম বনাঞ্চল দেখা যায়।

১০. জীবজন্তু/ প্রাণিজ সম্পদ: পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশে বিচিত্র ধরনের প্রাণী বাস করে। এ প্রাণীর সঠিক জাত বা সংখ্যা নির্ণয় করা অসম্ভব। এটা আবর স্থলচর, জলচর বা খেচর হতে পারে। এ সব প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ মানুষের পেশা, খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ

অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ হলো পরিবেশের সে অংশ, যা মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট এবং নিয়ন্ত্রিত। সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো-

১. জাতি: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির মানুষ বাস করে। সব জাতির শক্তি, কর্মদক্ষতা ও উদ্যম সমান নয়। ইউরোপীয়রা অধিক উদ্যমী ও কর্মক্ষম বলে তারা উন্নত। আর সে তুলনায় এশিয়ানরা পশ্চাৎপদ।

২. ধর্ম: এ পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ বাস করে। তাই মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে ধর্মীয় অনুশাসন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. শিক্ষা ও সংস্কৃতি: শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অগ্রসর জাতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, যে দেশ শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে যত বেশি উন্নত সে দেশের জনগণের জীবনযাত্রাও তত বেশি উন্নত।

৪. সরকার: সরকার হলো দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা, নীতি ও প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে।

৫. জনসংখ্যা: সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো মানুষ। আর মানব সম্পদ দ্বারাই সব অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে ভূমির প্রকৃতি ও উর্বরতা, যাতায়াত ব্যবস্থা, জীবিকার সংস্থান, নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক কারণের ওপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে।

সমাজ জীবনের ওপর পরিবেশের প্রভাব তুলে ধর।

 সমাজজীবন কিছু মৌল উপাদান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই মৌল উপাদান দ্বারাই মূলত সমাজজীবন পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সমাজজীবন একদিকে যেমন ভৌগােলিক দিক দিয়ে প্রভাবিত হয় তেমনি কখনাে বংশগতি বা জৈবিক উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তবে সমাজজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংস্কৃতি বা কৃৎকৌশল। তাহলে দেখা যাচ্ছে, কিছু মৌলিক উপাদান সমাজজীবনকে সঠিক পথনির্দেশনা যেমন দান করে তেমনি সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সমাজজীবনে ভৌগােলিক উপাদান/পরিবেশের প্রভাবঃ সমাজজীবন নানাভাবে প্রভাবিত। এদের মধ্যে ভৌগােলিক পরিবেশ অন্যতম। সমাজবিজ্ঞানে ভৌগােলিক পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানী মন্টেঙ্কু সর্বপ্রথম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আলােচনা করেছেন। ভৌগােলিক উপাদান বলতে জলবায়ু ও তাপমাত্রা, মৃত্তিকা, জলের অবস্থান ও গতি, বনাঞ্চল, পশুপাখি, ঋতু, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, ঝড় বৃষ্টি প্রভৃতিকে বুঝায়। সমাজজীবনে ভৌগােলিক উপাদনের প্রভাব আলােচনা করা হলাে-

(১) জনসংখ্যার বন্টনঃ ভৌগােলিক পরিবেশ জনসংখ্যার বন্টন ও সভ্যতার বিকাশে যথেষ্ট ভৌগােলিকভাবে সমৃদ্ধ এবং মানুষ যেখানে সহজে জীবিকা অর্জন করতে পারে সেসব অঞ্চলে সমৃদ্ধ সভ্যতা গড়ে ওঠে। নীলনদের অববাহিকায় মিশরীয় সভ্যতা, সিন্ধু নদের অববাহিকায় সিন্ধু সভ্যতা এর অন্যতম উদাহারণ। আবার যেসব অঞ্চল ধূ-ধূ মরুভূমি সেসব অঞ্চলে জনসংখ্যার বন্টন যেমন কম, তেমনি সেখানে সভ্যতার বিকাশও তেমন ঘটেনি।

(২) সাংস্কৃতিক প্রভাবঃ ভৌগোলিক পরিবেশ বিভিন্ন দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি ব্যপকভাবে সমাজজীবনকে প্রভাবিত করে থাকে। ভৌগােলিক কারণে বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির উপাদানের সাথে আমেরিকার সংস্কৃতির ধরন এক নয়। বিধায় এক দেশের সংস্কৃতি অন্য দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযােগ্য হয় না।

(৩) অর্থনীতিঃ জীবিকার প্রয়ােজনে ফসল উৎপাদনের জন্য চাই উপযােগী আবহাওয়া, জলবায়ু তথা পরিমিত বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা। নানা ধরনের ফসলের জন্য প্রয়ােজন নানা ধরনের ভৌগােলিক পরিবেশ। কেননা মাটি ও জলবায়র বৈশিষ্ট্যের ওপর ওপর ফসলের ধরন, প্রকৃতি ও গুণগত মান নির্ভর করে। সুতরাং ফসলের ওপর ভিত্তি করে আগেকার অর্থনীতি তথা সামাজিক জীবন গড়ে ওঠে।

(৪) নরগােষ্ঠীঃ নরগােষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য ভৌগােলিক জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনসমষ্টিকে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, বাহ্যিক আকৃতির দিক থেকে সকল মানুষ সমান নয়। সাধারণত শীত প্রধান দেশের মানুষ শ্বেতবর্ণের এবং গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের মানুষ কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে। মূলত ভৌগােলিক উপাদান এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ দায়ী।

(৫) অপরাধঃ অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে ভৌগােলিক উপাদানকে দায়ী করা হয়। সমাজবিজ্ঞানী লমব্রুসাে (Lombroso) এর মতে, সমতল অঞ্চলের চেয়ে পাহাড়ি ও পার্বত্য এলাকায় অপরাধ তুলনামূলকভাবে বেশি। তিনি আরও বলেন, সমতল অঞ্চলের তুলনায় পাহাড়ি ও পার্বত্য অঞ্চলে ধর্ষণ অপরাধ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ কম। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি বলে সমতল অঞ্চলে ধর্ষণ অপরাধ বেশি। শীতের দিনে গ্রামাঞ্চলে চুরি বৃদ্ধি পায়।

(৬) পােশাক-পরিচ্ছদঃ পােশাক-পরিচ্ছদও ভৌগােলিক উপাদান দ্বারা প্রভাবিত। শীতপ্রধান এলাকায় মােটা বা গরম কাপড়ের প্রচলন এবং গ্রীষ্ম প্রধান এলাকায় হালকা সুতির কাপড়ের ব্যবহার ভৌগােলিক পরিবেশ দ্বারাই নির্ধারিত হয়। মূলত আবহাওয়া এবং জলবায়ুর বৈচিত্র্যের কারণে সমাজজীবনে প্রভাব পড়ে।

(৭) আবাসস্থলঃ ভৌগােলিক উপাদানের ওপর ঘর-বাড়ির বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে। কারণ ঘরবাড়ি তৈরী করার জন্য প্রয়ােজনীয় উপকরণ যেমন বাঁশ, কাঠ, ছন-খড়, ইট, পাথর প্রভৃতি ভৌগােলিক প্রভাবাধীন। জাপানে প্রায় ভূমিকম্প হয় বলে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরীতে ইট-সিমেন্টের তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না। যেখানে ছন ও খড়ের অভাব অথচ এঁটেলে মাটির সহজলভ্যতা আছে সেখানে মাটির দেয়ালবিশিষ্ট ঘর-বাড়ি রয়েছে।

(৮) যানবাহনঃ যানবাহনের ধরন কি হবে তা ভৌগােলিক পরিবেশ দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেমন, বর্ষাকালে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নিম্নভূমিতে ভেলা, নােকা এবং লঞ্চ চলাচল করে। আবার উত্তর পশ্চিম এলাকায় গরু-মহিষের গাড়ির ব্যবহার দেখা যায়।

(৯) মানব প্রকৃতি ও দক্ষতাঃ ভৌগােলিক উপাদান বিশেষ করে তাপমাত্রা, মানব প্রকৃতি এবং দক্ষতার উপর প্রভাব রাখে। হানটিংটনের গবেষণায় লক্ষণীয় যে, ৪০০ ফা. তাপমাত্রায় মানাসক দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। অত্যধিক তাপে মানুষ অস্বাচ্ছন্দ্যবােধ করে। অল্প পরিশ্রমেই মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আবার শীতকালে মানুষ বেশি পরিশ্রম করেও সহজে ক্লান্ত হয় না।

(১০) বিবাহ ও পারিবারিক জীবনঃ গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা অল্প বয়সে যৌবনে পান। ফলে এ সকল অঞ্চলে অল্প বয়সে বিয়ের প্রয়ােজন হয়। অল্পবয়সে বিয়ে করায় জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ফলে যৌথ পরিবারে ভাঙন সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। মূলত ভােগােলিক উপাদানগুলাে মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।

উপসংহার

মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উন্নতি, বিকাশ এবং সার্বিক জীবনযাত্রা প্রণালি ভৌগোলিক পরিবেশ তথা প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক/সামাজিক পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত। প্রাকৃতিক পরিবেশ হলো এমন সব উপাদানের সমষ্টি, যা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে।