শ্রবণগত, দৃষ্টিগত ও শারীরিকভাবে ব্যাহত, মূক ও বধিরতা ছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। যার জন্য সেইসকল শিশুরা অন্য শিশুদের থেকে ভিন্ন। এইসকল শিশুদের বিভিন্ন আচরণগত সমস্যার দরুন এদের ভিন্ন প্রকৃতির শিশু বলে।
(১) চিহ্নিতকরণ: ভিন্ন প্রকৃতির শিশুদের ভিন্ন ভিন্ন আচরণের ভিত্তিতে তাদের শিক্ষণ পদ্ধতি ভিন্ন। এই শিক্ষা পদ্ধতির দ্বারা সেই সকল শিশুদের চিহ্নিত করা যায়। তাদের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
(২) বৃত্তিমুখী মানসিকতা : তারাও সক্ষম, তারাও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে রুজিরােজগার করতে পারবে। যে কারণে ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত করতে তাদের উপযুক্ত বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩) বিশেষ শিক্ষা : এই সকল শিশুরা সাধারণের মতো শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে না, তাই তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন। এর জন্য বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতি, বিশেষ পাঠক্রম ইত্যাদি সব কিছু নতুনভাবে রচনা করা প্রয়োজন।
(৪) আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা : এরা অনেক সময় নিজেদেরকে সমাজের করুণার পাত্র বলে মনে করে। কিন্তু তারা সমাজের করুণার পাত্র নয় এবং তাদের সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে—এই আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা শিক্ষার অন্যতম কাজ।
(৫) সঙ্গতি বিধান : এই সকল শিশুরা সাধারণত মতে শিক্ষা গ্রহণ, অভিযোজন করতে পারে না। তাদেরকে এমন ভাবে শিক্ষা দেওয়া দরকার যাতে আর সঙ্গতি বিধান করতে পারে।
(৬) প্রাথমিক শিক্ষা : স্বাভাবিক শিশুর ন্যায় ওদের অন্তত গণিত, ভাষা, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন।
(৭) চাহিদা পূরণ : ভিন্নধর্মী শিশুদের চাহিদা ও অক্ষমতা অনুযায়ী তা পূরণ করতে শিক্ষার প্রয়োজন।
(৮) প্রতিবন্ধকতা দূর : ভিন্নধর্মী শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের বাধা প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের শিক্ষিত করা সম্ভব।
ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে ভিন্ন প্রকৃতির শিশুদের সম্পর্কে যে বিশ্বাস ও কুসংস্কার সাধারণ মানুষদের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলি দূর করতে হবে। তাদের উন্নত শিক্ষা ঘটিত বা শিক্ষামূলক সাফল্যের কাহিনি প্রচার করতে হবে। তাহলে সমস্যা সমাধান হবে।
Leave a comment