বিশ্ব উষ্ণায়নের এই যুগে অসহনীয় গরমে প্রশান্তি পেতে সবাই এসি কিনতে চাই।
কিন্তু ভালো মানের এসি চেনার উপায় – দাম সহ অনেকের জানা নেই।
তাই ভালো মানের এসি চেনার উপায় – দাম সহ আমি আলোচনা করেছি।তাই
ভালো মানের এসি চেনার উপায় – দাম সহ বিস্তারিত জানতে আমার আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অনেক ভাল ব্র্যান্ডের এসি আছে যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনতে পারবেন। যেমন – এলজি,
ওয়ালটন, স্যামসাং, গ্রি, মিডিয়া ও জেনারেল। আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে বাজার
থেকে এসি কিনতে পারেন। ভালো মানের এসি চেনার উপায় -দাম সহ বিস্তারিত নিচে
আলোচনা করা হলো-
পোস্ট সূচিপত্রঃ ভালো মানের এসি চেনার উপায় – দাম সহ
এসি কি বা কাকে বলে
এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলার যাকে সংক্ষেপে এসি বলা হয়। এ যন্ত্রের মাধ্যমে
ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয় এয়ার কুলার বা এসি। এর পুরো নাম
এয়ারকন্ডিশনার বা ইয়ার কুলার হলেও আমাদের কাছে বেশি পরিচিত এসি নামে। ১৯০২
সালের ডাব্লু এইচ ক্যারিয়ার বা উইলস হাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার নামক শিকাগোর একজন
প্রকৌশলী এসি আবিষ্কার করেন। এবং ১৯০৬ সালে পেটেন্ট লাভ করেন। ডব্লিউ এইচ
ক্যারিয়ার আধুনিক এসির জনক হিসেবে পরিচিত।
এসি আবিষ্কারের ইতিহাস
১৯০২ সালের ডাব্লু এইচ ক্যারিয়ার বা উইলস হাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার নামক শিকাগোর
একজন প্রকৌশলী এসি আবিষ্কার করেন। এসি প্রথম তৈরি করা হয়েছিল শুধুমাত্র
শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য। তার এসি আবিষ্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল কর্মক্ষেত্রে
উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এরপর ১৯১৫ সালে ৬ জন প্রকৌশলীর সহযোগিতায় ক্যারিয়ার
ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন যাতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার ৬০০
ডলার। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন ! এসি সর্বপ্রথম ১৯১৬ সালে শিকাগোর একটি গরুর
খামারে বসানো হয়েছিল।
আর বসতবাড়িতে মানুষ এসি ব্যবহার শুরু করে ১৯২৬ সাল থেকে।তার আবিষ্কারটি ডিজাইন
করেছিলেন কাগজের অপচয় এবং কাগজের সাপার কালি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য।
প্রথমদিকে এসিতে প্রোপেন, মিথাইল, ক্লোরাইড ও এমোনিয়ার মত বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহৃত
হতো। আর এরপর থমাস মিড গল জুনিয়র ১৯২৮ সালে স্নিগ্ধ কারী পদার্থ দিয়ে আবাসিক সহ
শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজের জন্যএসি উদ্ভাবন করেছিলেন। হ্যাভিল্যান্ড ক্যারিয়ার
১৯৫৩ সালের ৭ই অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের এসি পাওয়া যায় যেমন – উইন্ডো এসি, প্রোটেবল এসি এবং
স্পিরিট এসি ইত্যাদি। এসির অন্যতম কোম্পানিগুলো হল এলজি, স্যামস্যাং,
ওয়ালটন, গ্রী, মিডিয়া ও জেনারেল। আবিষ্কারের পর থেকে গত ১০০ বছরে বিশ্বের
যত এসি বসানো হয়েছে তার চাইতে বেশি যোগ হবে আগামী ১০ বছরে। আর এর মূল কারণ হলো
গরমের তীব্রতা।
আরো পড়ুনঃ
কম দামে ভালো মানের মোবাইল কিনুন
এসি কিনতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন সাইজের এবং কোন ব্র্যান্ডের এসি
কিনবেন এবং কোন ব্র্যান্ডের এসির দাম কত। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল এর
মাধ্যমে আপনারা সকল সমস্যার সমাধান পাবেন।ভালো মানের এসি চেনার উপায় – দাম সহ
জেনে এসি কিনুন।
ভালো মানের এসি চেনার উপায়
অনেক ভাল ব্র্যান্ডের এসি আছে যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনতে পারবেন। যেমন – এলজি,
ওয়ালটন, স্যামসাং, গ্রি, মিডিয়া ও জেনারেল। তবে ভালো মানের এসির মধ্যে কতগুলো
গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে সেগুলো জানলে আপনি নিশ্চিন্তে এসি কিনতে পারবেন। তবে ভালো
মানের এসি কেনার আগে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে আর তা হলো।-
- ঘরের সাথে এসির বাতাসের টনের সঠিক পরিমাপ জেনে কিনুন।
- আপনার অঞ্চলের বাতাসের আদ্রতা পরিমাণ জেনে কিনুন।
- যে কোম্পানির এসি কিনবেন তার সার্ভিস ও সুবিধা জেনে কিনুন।
- এনার্জি স্টার মার্ক বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় কিনা তার জেনে নিন।
- এসিতে কোন শব্দ হচ্ছে কিনা তা অন্য এসির সাথে তুলনা করে দেখে তারপর এসি কিনুন।
- এসি ইন্সটলেশন এবং রি ইনস্টলেশন এর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- আপনার বাজেট একটু বেশি হলে ঠান্ডা গরম রিভার্স সাইকেল মোড এসি কিনুন
- ঘরে সহজে স্থানান্তরের জন্য একটি পোর্টেবল এসির ব্যবহার জেনে কিনুন।
- আপনার এসি তে বাতাস নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টা জেনে এসি কিনুন।
ভালো মানের এসি চেনার কয়েকটি উপায়
আপনাকে ভালো মানের এসি কিনতে হলে এসি সম্পর্কে আপনার সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। আপনি
যদি এই গরমে এসি কিনতে চান তাহলে আমার এই লেখাটা আপনার জন্য। তাহলে এবার আপনি
জেনে নিন কিভাবে আপনি আপনার জন্য কম দামে সঠিক মানের এসি কিনতে পারবেন। আসুন
বিস্তারিত জেনে নেই।-
ঘরের সাথে এসির মাপ
আপনি এসি কিনতে চাইলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনার ঘরের সাথে কত টন এসি
প্রয়োজন বা আপনার রুমের মাপ কত। আর কত টন এসি লাগালে সঠিক মাত্রায় ঠান্ডা
পাওয়া যাবে। এসি কিনতে গেলে দোকানদার প্রথমেই আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনার রুমের
মাপ কত। সেক্ষেত্রে আপনি যদি রুমের সঠিক মাপ বলে দিতে পারেন তাহলে দোকানদার
আপনাকে বলে দিবে আপনার কত টন এসি লাগবে।
আপনি যদি মনে করেন এসি যত বড় হবে তত বেশি ঠান্ডা পাওয়া যাবে তাহলে ভুল করবেন।
আবার রুমের আকার জানার পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে আপনার রুম কত তলায় বা কোন
ফ্লোরে অবস্থিত । সূর্যের তাপ আপনার রুমের দেয়ালের কোন পাশে লাগে, আপনার রুমে
কতজন লোক থাকবে, রুমে জানালা, পর্দা, সিলিং এবং সর্বোপরি আপনার রুমে কোন
হিটিং জিনিসপত্র যেমন আয়রন বা ওভেন ব্যবহার করবেন কিনা এসব বিষয়ে আপনাকে মাথায়
রেখে এসে কিনতে হবে ।
এসির টনের সাথে রুমের মাপের তালিকা
কত স্কয়ার ফিট রুমের জন্য কত টনের এসি প্রয়োজন তা নিচে দেয়া হলঃ-
- আপনার রুম যদি ১২০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনি 0.৭৫ টন এসি ব্যবহার করতে
পারবেন। - আপনার রুম যদি ১২১ থেকে ১৫৯ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনি ১ (এক) টন এসি লাগাতে
পারবেন। - যদি ১৬০ থেকে ২৫০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ১.৫ টন এসি লাগাতে পারবেন।
- আপনার রুম যদি ২৫১ থেকে ৪০০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে আপনি২ টন এসি লাগাতে পারবেন।
- এর চেয়ে বড় রুম হলে আপনাকে অবশ্যই একটি রুমের জন্য একাধিক এসির কথা ভাবতে
হবে।
তবে আরেকটি কথা জানতে হবে আর তা হলো আপনি শুধু জানেন এসি মানেই এক টন বা দুই টন
তাহলে হবে না। এই এক টন এসির বিটিইউ বা আওয়ার জানতে হবে। যেমন এক টন এসি মানে
হল ১২০০০ বি টি ইউ বা আওয়ার ১.৫ বা দেড় টন এসি মানে ১৮০০০ বিটিইউ বা
আওয়ার। এভাবেই বাড়তে থাকে। এক টনের এসি এক ঘন্টায় একটি রুম থেকে ১২ হাজার বি
টি ইউ তাপ শোষণ করতে পারে।তার মানে যতটনের এসি হবে ঠান্ডা তত বেশি হবে বা এর
কুলিং ক্ষমতাও তত বেশি হবে।
বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী এসি
এসি কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে বিদ্যুৎ বিলের কথা ভাবতে হবে। বিদ্যুৎ বিলের কথা না
ভেবে যদি আপনি এসি কিনে ফেলেন তাহলে মাস শেষে আপনাকে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে
পড়তে হতে পারে। কোন এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসবে তা আপনি বুঝতে পারবেন
এসির গায়ের স্টারমার্ক দেখে বা রেটিং দেখে। যে এসির গায়ে যত বেশি
স্টারমার্ক থাকবে তার বিদ্যুৎ খরচ তত কম হবে। সাধারণত ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিংই
বেশি থাকে। এক স্টার রেটিং কি সেটাও আপনাকে জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ টিভি কার্ড কি – টিভি কার্ড কিভাবে কাজ করে -জেনে নিন
বিস্তারিত
আর তা হলো এক স্টার রেটিং মানে এ এসি এক বছর ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ হবে ৮৪৩
ইউনিট।অপরদিকে ৫ স্টার বিশিষ্ট এসি ব্যবহার করলে বছর শেষে বিদ্যুৎ খরচ হবে ৫৫৪
ইউনিট । তবে এসি চালানোর তারতম্যের কারণে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
আবার এসির পাওয়ার যদি আপনি ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখেন তাহলে বিদ্যুৎ
খরচ খানিকটা কম আসবে।এছাড়াও আপনি বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করতে ইনভার্টার এসি
ব্যবহার করতে পারেন।
উইন্ডো এসি এবং স্পিট এসি
আপনারা যারা ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করেন তাদের জন্য উপযুক্ত এসি হল উইন্ডো এসি।
কারণ এ ধরনের এসি সহজেই ইন্সটল করা যায়। সাধারণত রুমে ব্যবহারের জন্য বাজারে
উইন্ডো পোর্টেবল এবং স্পিট এসি পাওয়া যায়।যে সব রুমে কমপক্ষে দুইটি জানালা
রয়েছে সেসব রুমে উইন্ডো এসি ব্যবহার করা হয়। কারণে উইন্ডো এসি লাগালে ঘরের
একটি জানালা বন্ধ হয়ে যায়।অপরদিকে উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিট এসি খানিকটা পাতলা
এবং স্লিম হয়।
এই এসির ইভোপারটি রুমের ভেতরে থাকে আর কম্প্রেসার এবং কনডেন্সার থাকে রুমের
বাইরে। যার কারণে রুমের ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায় না।এই এসি ঘরে দেয়ালের যেকোন
স্থানে ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দামের দিক থেকেও স্প্লিট এসির দাম উইন্ডো এসি থেকে
কিছুটা কম। দক্ষতার দিক থেকেও উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিট এসির একটু বেশি থাকে।
পোর্টেবল এসির দাম অন্যান্য এসির চেয়ে তুলনামূলক কম এবং এই পোর্টেবল এসি খুব
সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যায়।
কম্প্রেসার ও কনডেসার দেখে কিনুন
আপনি এসি কিনার সময় অবশ্যই কম্প্রেসার কম ব্যাসের (৪ থেকে ৭ মিলি
লিটার) পিওর কপারের তৈরি এবং টিউবের ভেত র ফিন আছে এমন কন্ডিশন দেখে এসি কিনুন।
আপনাকে বুঝতে হবে কপারের তৈরি কন্ডেসার বেশি ভালো অ্যালুমিনিয়ামের কন্ডেসার
এর চেয়ে । আবার মোটা ব্যাসের সাধারণ টিউবের চেয়ে কমব্যাস এর ফিন
যুক্ত কম্প্রেসারের দক্ষতা বেশি থাকে । কনডেসার এর সংখ্যা যত বেশি থাকে
সেই কনডেসার তত বেশি ভালো হয়। আপনি অবশ্যই কম্প্রেসার এর গ্যারান্টি দেখে
তারপর এসি কিনবেন।
এসির রেফ্রিজারেন্ট দেখে এসি কিনুন
এসি তে রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয় এসিতে কুলিং এজেন্ট হিসাবে। যেমন
R22, R134a, R1234ze(E), R 32 ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু রেফ্রিজারেন্ট আছে
যেগুলোর গ্লোবাল বা ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল অনেক বেশি থাকে যেমন R22,
R410a,R134a এগুলো মানব শরীর ও পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। আবার
R32,R1234ze(E) এর গ্লোবাল ওয়ার্মিং পোটেনশিয়াল তুলনামূলক কম। তাই এসব এসিতে
পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়।
এসির শব্দ কেমন হয় জেনে এসি কিনুন
যে এসির একাধিক ফ্যান আছে এমন এসি নির্বাচন করুন। কারণ এসির ফ্যান বাতাসকে রুমের
চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। তাই বাড়িতে এসি ইন্সটল করার আগে সম্ভব হলে এসি চালিয়ে
দেখে নিবেন। এসির ফ্যানের বিকট শব্দ হচ্ছে কিনা তবে স্পিট এসিতে বেশি শব্দ
হয় না। এরপরও যদি আপনার মনে হয় বেশি শব্দ হচ্ছে তাহলে আপনি কোম্পানির সাথে কথা
বলে এসি পরিবর্তন করে নিবেন।
ঠান্ডা গরম রির্ভাস সাইকেল মোড এসি
আপনার এসি কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিবেন ঠান্ডা গরম রির্ভাস মোড আছে কিনা।
রির্ভাস সাইকেল মোড হলো ঠান্ডার সময় গরম বাতাস এবং গরমের সময় ঠান্ডা
বাতাস প্রদান করে থাকে। তবে দামের দিক থেকে রিভার্স মোড এসির একটু বেশি হয়ে
থাকে। আপনার বাজেট যদি একটু বেশি থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এই রিভার্স মোড এসি
কিনবেন। তা না হলে অন্য এসি ৬ মাস চলবে আর ৬ মাস বন্ধ থাকবে।
ঘরের জন্য পোর্টেবল এসির ব্যবহার
আপনি আপনার ঘরে ব্যবহারের জন্য অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন পোর্টেবল এসি। এই এসি
আপনি ইচ্ছে করলে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে অনায়াসে নিয়ে যেতে পারেন। এবং
তুলনামূলক দামও কম। তাই আপনি পোর্টেবল এসি ব্যবহার করতে পারেন।
এসির বাতাস নিয়ন্ত্রণ করা দেখে এসি কিনুন
আপনি যে এসিটি কিনবেন তাতে যেন.১ টি (একটি) এডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যান্ড, ২
টি (দুইটি) কুলিং স্পিড, দুটি স্পান থাকে। যাতে আপনি আপনার রুমের বাতাস ও
তাপমাত্রা আপনার ইচ্ছামত কমাতে বা বাড়াতে পারেন। কারণ সব ব্রান্ডের এসিতে
কন্ট্রোল প্যানেল থাকে না। তাই এইসব এসি কিনলে আপনি ইচ্ছে মতো কিছুই কমাতে বা
বাড়াতে পারবেন না। ভালো মানের এসিতে এগুলো চেক কর কিনুন।
এসিতে দূষিত বাতাস পরিষ্কার
এসিতে কেমন বাতাস আসছে তা আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ঘরে যদি বেশি
ধুলাবালি প্রবেশ করে তাহলে এসির ফিল্টারের সমস্যা হতে পারে। তাই এসি লাগানোর আগে
আপনার রুমের সকল রিপিয়ারিং করে এসি লাগাতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের
ফিল্টার যুক্ত এসি ক্রয় করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সব চেয়ে দামী ১০ টি ঘড়ি- বিস্তারিত জেনে নিন
বর্তমানে অনেক হাই টেকনোলজির ফিল্টার যুক্ত এসি আছে যেগুলো ময়লা বাতাস টেনে
পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে ঘরে ছাড়ে। তাই আপনাকে অবশ্যই পরিবারের কথা ভেবে ভালো
ফিল্টার যুক্ত এসি কিনতে হবে।
এসি কোম্পানির সার্ভিসিং সুবিধা
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এসি কিনলে তার সার্ভিস প্রয়োজন হবে। তাই যে
কোম্পানির এসি আপনি কিনবেন তার সার্ভিসিং কোনো সুবিধা আপনার বাসার পাশে আছে কিনা
তা দেখে কিনবেন। কারণ আপনাকে তারা যে ওয়ারেন্টি দিবে সে সময় পর্যন্ত আপনি তাদের
পাবেন। যেমন – ধরেন এক বছরের জন্য আপনাকে গ্যারান্টি দিল কিন্তু আপনার এসির এক
বছর পর সমস্যা হলো তাহলে আপনি কোথায় সেটা রিপিয়ারিং করবেন। তাই আপনি রিপিয়ারিং
এর বিষয় মাথায় রেখেই এসি কিনবেন যেন আপনাকে বিপদে পড়তে না হয়।
আদ্রতার পরিমাপ জেনে এসি কিনুন
এসি কেনার আগে আপনার আদ্রতার ব্যাপারটা মাথায় রেখে এসি কিনতে হবে। কারণ আপনি যদি
বেশি আদ্রতা পূর্ণ অঞ্চলে বসবাস করেন তাহলে আপনি অ্যালুমিনিয়ামের কয়েলের এসি
ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি করেন তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে কপারের কয়েল যুক্ত এসি কিনতে হবে।
এই কপার কয়েল এসি সব ধরনের আবহাওয়াতে সমান ভাবে চলে। মনে রাখবেন ভালো জিনিসের
দাম একটু বেশি হবে। আপনি সস্তায় কোন জিনিস কিনলে হবে সস্তার ১২ অবস্থা। আপনি
নিশ্চয়ই সেটা চাইবেন না।
এসি কেনার আগে জেনে নিন কোন এসির দাম কত
বর্তমানে ঊর্ধ্বগতির বাজার মূল্যে এসির দাম কম বেশি হতে পারে। আপনারা বাজার যাচাই
করে তারপর নিজেদের জন্য এসি কিনবেন।
এসির নাম |
এসির দাম (সর্বোনিম্ন) |
এসির দাম (সর্বোচ্চ) |
ক্যারিয়ার এসি |
৪৬০০০ |
৭৬০০০ |
শিগো এসি |
২৮০০০ |
৬৬০০০ |
সিঙ্গার এসি |
৩৯,৯৯০ |
৮৫,৯৯০ |
জেনারেল এসি |
৪৩০০০ |
২৪০,০০০ |
গ্রী এসি |
৩৬০০০ |
১,২৪০০০ |
শার্প এসি |
৩৯৫০০ |
২,৬৪ ,৫০০ |
মিডিয়া এসি |
২৬,৫০০ |
১,৮৭,৫০০ |
এসির রিপিয়ারিং খরচ জেনে নিন
এসির ধরন |
সর্বোনিম্ন |
সর্বোচ্চ |
উইন্ডো এসি |
৫৫০ |
১১০০ |
ক্যাসেট |
১১০০ |
৪৪০০ |
স্পিট এসি (২ – ২.) টন |
৬৬০ |
১১০০ |
স্পিট এসি (২ -২.৫) টন |
৭৭০ |
১১০০ |
স্পিট এসি (৩-৫) টন |
৯৯০ |
১১০০ |
শেষ কথা
এসির ঠান্ডা বাতাস আমরা সবাই পেতে চাই কিন্তু সঠিক কোম্পানির নাম সঠিক দাম এবং এর
রিপেয়ারিং সমস্ত কিছু আমাদের জানা প্রয়োজন । আমি আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে
সবকিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা সঠিক
এসি আপনাদের জন্য নির্বাচন করতে পারবেন।
Leave a comment