প্রাকথন: বের্টোল্ট ব্রেখট তার ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতায় পরিচিত এবং প্রথাগত ইতিহাসের সীমাবদ্ধতাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। সেই প্রসঙ্গেই আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের বিষয়টির উল্লেখ করেছেন কবি।
ভারতজয় : ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের ভারত বিজয়ের সূচনা হয়। ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে হিদাম্পিসের যুদ্ধে পুরুর সঙ্গে সন্ধি করতে বাধ্য হন আলেকজান্ডার। তার এই জয়ের জন্য যে সাহসী সৈনিকরা তাকে সাহায্য করেছিলেন, ইতিহাসে তাদের কোনাে উল্লেখ নেই। অথচ তাদের আত্মত্যাগ ছাড়া আলেকজান্ডারের ভারতজয়ের স্বপ্ন কিছুতেই সফল হতে পারত না।
উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ : আলােচ্য অংশে ব্রেখট বলতে চেয়েছেন যে, প্রচলিত ইতিহাসের লক্ষণই হল প্রভুত্বকামী শক্তির জয় ঘােষণা করা। কিন্তু যারা তাকে ইতিহাসের নায়ক করে, জয়ের নেপথ্যে থেকে কার্যসিদ্ধি ঘটায়—ইতিহাসের সেই প্রকৃত কারিগরদের কথা কেউ মনে রাখে না। শ্রমজীবীই হােক বা সাধারণ মানুষ—ক্ষমতাবানদের আলােয় তারা চির-উপেক্ষিতই থেকে যায়। সাত দরজাওয়ালা থিই হােক বা ঝকঝকে লিমা—নেপথ্যের কারিগরদের কথা কেউ মনে রাখে না, থেকে যায় শুধু রাজার নাম। আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের উল্লেখে একইভাবে উপেক্ষিত থেকে যায় তার সেনাবাহিনীও। ব্রেখট তাঁর কবিতায় প্রথাগত ইতিহাসের অসম্পূর্ণতাকে এভাবেই স্পষ্ট করেছেন।
গলদের নিপাত করেছিল সিজার। নিদেন একটা রাঁধুনি তাে ছিল?—পঙক্তিটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করাে। পঙক্তিটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল, স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। / আর কেউ কাঁদেনি? -মন্তব্যটির ঐতিহাসিক ভিত্তি উল্লেখ করাে। বক্তব্যটির মর্মার্থ আলােচনা করাে।
সাত বছরের যুদ্ধ জিতেছিল দ্বিতীয় ফ্রেডারিক। -দ্বিতীয় ফ্রেডারিকের ঐতিহাসিক পরিচয় দাও। তার যুদ্ধজয়ের কাহিনি উল্লেখের কারণ আলােচনা করাে।
পাতায়-পাতায় জয়/জয়ােৎসবের ভােজ বানাত কারা?—জয়ােৎসবের ভােজ কথার অর্থ কী? যারা জয়ােৎসবের ভােজ বানাত তাদের প্রতি কবির যে মনােভাব, তার পরিচয় দাও।
অথবা, পাতায়-পাতায় জয়/জয়ােৎসবের ভােজ বানাত কারা? —পাতায় পাতায় কাদের জয় লেখা? জয়ােৎসবের ভােজ যারা বানাত তাদের প্রতি কবির কী মনােভাব প্রকাশ পেয়েছে?
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবির সমাজচেতনার কী পরিচয় পাও?
অথবা, কবি বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির ভাববস্তু সংক্ষেপে লেখাে।
কত সব খবর!/কত সব প্রশ্ন। -পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় যেসব খবর ও খবরকেন্দ্রিক প্রশ্ন উত্থিত হয়েছে, তা আলােচনা করাে।
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে।
মর্দানা কীভাবে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলােচনা করাে।
বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ করাে।
হাসান আব্দালে এখন যার নাম পাঞ্জা সাহেব, গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে।—এই ঘটনাটি উল্লেখ করাে।
এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।—কোন্ প্রসঙ্গে কে মন্তব্যটি করেছিলেন? বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনাে কাজ হয়েছিল? এই বিষয়ে বক্তাকে এরপরে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল?
উনি রীতিমত হতভম্ব। -উনি বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার হতভম্ব হওয়ার কারণ কী ছিল?
Leave a comment