ভারতে মুক্ত বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়, সেগুলি নীচে উল্লেখ করা হল一
(১) সবধরনের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা: মুক্ত বিদ্যালয় কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবন উন্নয়নে সহায়ক সবকরম শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে।
(২) আঞ্চলিক কেন্দ্র: মুক্ত বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আঞ্চলিক রিসাের্স কাম স্টাডি সেন্টার স্থাপন করে। ওইসব কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্টাডি মেটেরিয়াল’ বা শিখন বিষয়বস্তু সরবরাহ করা হয়।
(৩) পৃথক পাঠ্যসূচি: শিক্ষার্থীদের বয়স, অভিজ্ঞতা এবং চাহিদার প্রতি নজর রেখে, মুক্ত বিদ্যালয় সর্বদা একটি পৃথক পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে।
(৪) সহজ পাঠ্যপুস্তিকা: মুক্ত বিদ্যালয়ের স্টাডি মেটিরিয়াল এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই নিজে পড়ে তা বুঝতে পারে।
(৫) কোর্স টিম: মুক্ত বিদ্যালয় পাঠক্রমের উন্নতির জন্য কোর্স টিম’ ব্যবহার করে।
(৬) ব্রিজ ও প্রিপারেটরি কোর্স: SLC (স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট)-এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে শিক্ষার্থীরা মুক্ত বিদ্যালয়ে ব্রিজ কোর্স এবং প্রিপারেটারি কোর্সের সুযােগ গ্রহণ করতে পারে।
(৭) ভরতির ক্ষেত্রে নমনীয়তা: লিখতে এবং পড়তে সক্ষম এমন যে-কোনাে ব্যক্তি মুক্ত বিদ্যালয়ে ভরতি হতে পারে।
(৮) শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার: মুক্ত বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য অডিয়াে ক্যাসেট, রেডিয়াে এবং দূরদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
মুক্ত বিদ্যালয়ের জন্য একটি পৃথক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এই পরীক্ষাটি CBSE র নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সমতুল হিসেবে বিবেচিত হয়|পরীক্ষাটিকে একসঙ্গে মােট পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয় কোনাে শিক্ষার্থী মােট পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হলে পর্ষদের পক্ষ থেকে সেকেন্ডারি স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। পাঁচটি বিষয়ে একসঙ্গে বা পৃথক পৃথক সময়ে উত্তীর্ণ হওয়া যায়। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে উত্তীর্ণ হতে হয়। যদি কোনাে শিক্ষার্থী পাঁচটি বিষয় ছাড়াও একটি অতিরিক্ত বিষয় গ্রহণ করতে চায়, তাকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বিষয়ে পাস করলে সার্টিফিকেটে তার উল্লেখ থাকে। প্রতি বছর মার্চের পরীক্ষায় কোনাে শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে ওই বছরই জুলাই/আগস্টের পরীক্ষায় সে একটি বা দুটি বিষয়ে আবার বসতে পারে। প্রতি 100 নম্বরের মধ্যে 50 নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায় এবং বাকি 50 নম্বর থাকে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বা অ্যাসেসমেন্টে। শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে আলাদা আলাদাভাবে যথাক্রমে 30% ও 40% নম্বর পেলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়।
Leave a comment