[1] কাঁচামালের জোগান : হিমালয়ের পার্বত্য এলাকা থেকে নরম কাঠ এবং অন্যান্য স্থান থেকে সাবাই ঘাস, বাঁশ, আখের ছিবড়া, নগর-মহানগরী থেকে পরিত্যক্ত কাগজ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের পর্যাপ্ত জোগান আছে। এ ছাড়া, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য রাসায়নিক শিল্পে উন্নত হওয়ায় কাঁচামাল হিসেবে রাসায়নিক দ্রব্যেরও অভাব হয় না।
[2] কাগজ মণ্ড আমদানির সুবিধা : ভারতে অসংখ্য বন্দর থাকায় জলপথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলি থেকে সহজেই প্রচুর কাগজ মণ্ড আমদানি করা হয়।
[3] জলের সুবিধা : ভারত নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় কাগজের কলগুলিতে জলের অফুরন্ত জোগানের সুবিধা রয়েছে।
[4] বিদ্যুৎশক্তি : ভারত জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ শক্তিতে উন্নত হওয়ায় কাগজকলগুলিতে বিদ্যুতের অভাব হয় না।
[5] উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা : বর্তমানে ভারতের উল্লেখযােগ্য স্থানগুলি সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে। বন্দরগুলিও এভাবে যুক্ত। ফলে অভ্যন্তরীণ পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় কাগজ শিল্পের বিকেন্দ্রীভবন ঘটেছে।
[6] সুলভ শ্রমিক : ভারত বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়ায় সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক পেতে অসুবিধা হয় না।
[7] চাহিদা : ভারতে শিক্ষার বিস্তার দ্রুত হারে ঘটছে। অসংখ্য প্রকাশনা সংস্থা আছে যেখানে দৈনিক লক্ষ লক্ষ পত্রিকা ছাপা হয়, ফলে কাগজের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও ভারতীয় কাগজের চাহিদা রয়েছে।
[8] মূলধন পাওয়ার সুবিধা : বিশ্বায়ন ও উদারীকরণের ফলে দেশি ও বিদেশি পুঁজির সহজলভ্যতা এদেশের কাগজ শিল্পের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।
[9] সরকারি নীতি ও পরিকাঠামোগত সুবিধা : শিল্পায়নের যুগে সরকারি দপ্তর থেকে সহজেই শিল্পের অনুমােদন সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া উন্নত যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রচুর সুযােগসুবিধা এদেশের কাগজ শিল্পের উন্নতির সহায়ক হয়েছে।
ভারতের নিউজপ্রিন্ট কারখানার অবস্থান
বর্তমানে ভারতে 67টি নিউজপ্রিন্ট তৈরির কারখানা আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল [1] মধ্যপ্রদেশের নেপানগর, [2] তামিলনাড়ুর কারুর, [3] কর্ণাটকের ভদ্রাবতী, [4] কেরলের কোট্টায়াম, [5] গুজরাটের ওলপাদ প্রভৃতি।
Leave a comment