ভারতের জনশিক্ষা সংস্থান (Organisation of Mass Education in India) বা ‘জশিস’ হল এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যার প্রধান কাজ হল— বয়স্ক মানুষদের উৎপাদনক্ষম করে তােলা। যেসব শিক্ষার্থীরা ‘Non-Formal Education’ এবং ‘Adult and Continuing Education’-এর সঙ্গে যুক্ত তাদের দায় দায়িত্ব বেশি বহন করে। জেলা সাক্ষরতা কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
স্বামী বিবেকানন্দ উপলব্ধি করেছিলেন যে, ভারতবর্ষের মানুষের যথার্থ শিক্ষা ব্যবস্থা হল জনশিক্ষা। মানুষের প্রথম প্রয়োজন খাদ্য এবং দ্বিতীয় শিক্ষা। তাই এই দুটি জিনিস না থাকলে রাজনীতি দিয়ে কোনো লাভ হবে না এবং শিক্ষাকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তা ছড়িয়ে দিতে হবে আপামর জনসাধারণের মধ্যে। এইসমস্ত কথা মাথায় রেখেই জনশিক্ষার সংস্থান (জশিস) গুলি পরিচালিত হয়।
জাতীয় শিক্ষা মিলনের লক্ষ্যমতাে জিসকে পিছিয়ে পড়া মানুষ, নব স্বাক্ষর ও নিরক্ষর এর সাধারণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নানা কর্মসূচি নিতে হয়। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাণ্ডলের দুর্বল, পিছিয়ে পড়া এলাকার বয়স্ক নিরক্ষরদের অজ্ঞতা দূর করতে ‘জশিস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ২০০৩-২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে জাসাস’ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সাক্ষরতা বিকাশ কর্মসূচিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে।
বলা হয় যে, বয়স্কশিক্ষা অধিকরণ জসিমের কান্ডারী। তিন বছর অন্তর জসিম-এর কাজের মূল্যায়ন করা হয়। ভারত সরকারের বয়স্ক শিক্ষা অধিকরণ জসিমের জন্য ৩২টি কোর্সের পাঠক্রম তৈরি করেছে। সারাদেশে জশিস বিভিন্ন ধরনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়। আমাদের রাজ্যের সব জেলাগুলিতেই জশিস কাজ করে চলেছে।
Leave a comment