প্রাচীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ক-টি ভাগে বিভক্ত ছিল?
প্রাচীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত দুটি ক্ষেত্রে বিভক্ত ছিল- বৈদিক বা ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা এবং বৌদ্ধ শিক্ষা।
ভারতে কোন্ সময় থেকে কীভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রপাত হয়েছিল?
ভারতে অষ্টাদশ শতকে ইউরােপিয়ান মিশনারিদের আগমনের পর থেকে তাদের উদ্যোগেই পাশ্চাত্য শিক্ষার সূত্রপাত হয়েছিল।
স্বাধীনােত্তরকালে ভারতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
স্বাধীনােত্তরকালে ভারতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রগতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তােলা; যা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের আদর্শকে বাস্তবায়িত করবে।
ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কত খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়?
ভারতীয় সংবিধানের খসড়া ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়।
কার সভাপতিত্বে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল?
ড. ভীমরাও আম্বেদকরের সভাপতিত্বে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল।
ভারতীয় সংবিধানের জনক কে?
ড. ভীমরাও আম্বেদকরের সভাপতিত্বে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল।
ভারতীয় গণপরিষদ কবে সংবিধানের খসড়াটি গ্রহণ করেছিল?
ভারতীয় সংবিধানের খসড়াটি গণপরিষদ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গ্রহণ করেছিল।
ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় কবে?
ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি।
সংবিধানে ভারতকে কীরূপ রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে?
সংবিধানে ভারতকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি কী?
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হল স্বাধীনতা, সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ববােধ ও ন্যায়বিচার।
কততম সংশােধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক কথা দুটি যােগ করা হয়?
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংশােধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ’ ও সমাজতান্ত্রিক কথা দুটি যােগ করা হয়।
ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য লেখাে।
ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল— এটি বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান এবং এতে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গৃহীত হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় কতগুলি অধ্যায়, ধারা ও তপশিল সংবলিত ছিল?
ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় মােট ২২টি অধ্যায়, ৩৯৫টি ধারা ও ৮টি তপশিল সংবলিত ছিল।
ভারতীয় সংবিধানে আইন রচনার ক্ষমতা বণ্টনের জন্য কয়টি তালিকা রয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানে আইন রচনার ক্ষমতা বণ্টনের জন্য তিনটি তালিকা রয়েছে। এগুলি হল- কেন্দ্রীয় তালিকা, রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা।
ইউনিয়ন লিস্ট কী?
ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশিলের অন্তর্ভুক্ত আইনবিভাগের তিনটি তালিকার মধ্যে মুখ্য তালিকা হল ইউনিয়ন লিস্ট বা কেন্দ্রীয় তালিকা। এই তালিকাটিই ভারতীয় সাংবিধানিক অধিকার প্রয়ােগের মুখ্য তালিকা।
শিক্ষার বিষয়টি কবে ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়?
শিক্ষার বিষয়টি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর সংবিধানের ৪২তম সংশােধনীতে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত হয়।
ভারতীয় সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলােচনা রয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ২৮, ৩০, ৪৫, ৪৬, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৩৫০ প্রভৃতি ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলােচনা রয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত যে-কোনাে দুটি ধারা বিবৃত করাে।
ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল-
-
২৮নং ধারা (Article 28): সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোনােভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় নির্দেশনা দেওয়া যাবে না।
-
৬৪নং ধারা (Article 64): সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, পার্লামেন্ট কর্তৃক ঘােষিত ভারত সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত বিজ্ঞানমূলক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলিৎজাতীয় মর্যাদা লাভ করবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩০(১) নং উপধারায় কী উল্লেখ আছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩০(১) নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, সরকার কর্তৃক পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম, বর্ণ বা ভাষার পার্থক্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না।
ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশক নীতির ৪৫নং ধারার বিষয়বস্তু কী?
ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ১০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সকল শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারার মূল বক্তব্য কী?
ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ১০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সকল শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারাতে কী উল্লেখ আছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রকে সমাজের দুর্বল শ্রেণি বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য শিক্ষাগত ও আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল প্রকার সামাজিক অন্যায় ও শােষণ থেকে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুরা প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ ধারায় কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, হিন্দি ভাষার উন্নতি ও বিস্তার ঘটানাে ভারত সরকারের অন্যতম কর্তব্য।
কবে, কততম সংশােধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে?
১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর, ৬২তম সংবিধান-সংশােধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সংবিধানের ৯৩তম সংশােধনী বিল কত খ্রিস্টাব্দে পাস হয় এবং এই সংশােধনী বিলের বিষয়বস্তু কী ছিল?
সংবিধানের ৯৩তম সংশােধনী বিল ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পাস হয়। এতে বলা হয়, ভারত রাষ্ট্র প্রতিটি ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।
বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলতে কী বােঝাে?
২০০১ খ্রিস্টাব্দে ৯৩তম সংবিধান সংশােধনী বিলে ভারতের প্রতিটি ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের অবৈতনিক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়। এই শিক্ষাব্যবস্থাই বাধ্যতামূলক শিক্ষা নামে পরিচিত হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৪৫ নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের কততম ধারায় সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের (Part iii) ১৪, ১৫ এবং ১৬নং ধারায় (Article) সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে বােঝানাে হয়েছে যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে আইনের চোখে সকলে সমান। এমনকি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও এই সমতাবিধান করা হবে বলে ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছিল।
ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত কোনাে ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্র আইনের দ্বারা সমানভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় নাগরিকদের সমানাধিকার প্রসঙ্গে কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে-
-
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, জন্মস্থান, লিঙ্গ প্রভৃতি বিষয় কখনও নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যের কারণ হবে না।
-
র্সাধারণের জন্য ব্যবহৃত স্নানাগার, কুয়াে, রাস্তাঘাট, পান্থশালা, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। কখনাে-কখনাে জনস্বার্থ রক্ষার্থে সরকার কিছু বিধিনিষেধ আরােপ করতে পারে; আর নারী ও শিশুদের জন্য কিছু বিশেষাধিকার সংরক্ষিত হতে পারে।
শিক্ষায় সমসুযােগ বলতে কী বােঝায়?
শিক্ষায় সমসুযােগের অর্থ হল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই শিক্ষালাভের সমান অধিকারী, কোনাে অজুহাতেই কাউকে শিক্ষালাভের সুযােগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযােগের কথা বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযােগের কথা বলা হয়েছে।
নারীদের সুযােগসুবিধার কথা সংবিধানের কত নং ধারায় বলা হয়েছে?
নারীদের সুযােগসুবিধা প্রদান ও শিক্ষাদানের কথা সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় বলা হয়েছে।
জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়?
জাতীয় নারীশিক্ষা পর্ষদ গঠিত হয় ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে।
মেয়েদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা কে ঘােষণা করেন?
শ্রীমতী দুর্গাবাই দেশমুখ-এর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নারীদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা ঘােষণা করেন।
শ্ৰীমতী হংস মেহতা কমিটি কবে, কেন গঠিত হয়?
১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে, মেয়েদের পৃথক পাঠ্যক্রমের সমস্যাসমাধানের জন্য জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদের নেত্রী শ্ৰীমতী হংস মেহতা একটি শিক্ষা কমিটি গঠন করেন।
ভক্তবৎসল কমিটি কবে ও কেন গঠিত হয়?
১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে জনসাধারণের প্রত্যক্ষ সহযােগিতায় কীভাবে গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানাে যায়, সে সম্পর্কে আলােচনার জন্য ভক্তবৎসলম্ কমিটি গঠিত হয়।
গ্রামাঞ্চলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তােলার কথা কে বলেছিল ?
গ্রামাঞ্চলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তােলার কথা বলেছিল শ্রীভক্তবৎসলম কমিটি।
শ্রীভক্তবৎসল-এর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের যে-কোনাে দুটি সুপারিশ লেখাে।
নারীশিক্ষা বিষয়ে যাবতীয় কুসংস্কার ও রক্ষণশীলতা দূর করতে হবে। দরিদ্র ছাত্রীদের স্কুল থেকে বিনামূল্যে পােশাক ও বই দেওয়ায় ব্যবস্থা করতে হবে।
নারীশিক্ষা বিস্তারের দুটি উপায় লেখাে।
নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য- শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, সদর্থক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
The Education’ গ্রন্থটি কার লেখা? এর বিষয়বস্তু কী?
The Education’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন গান্ধিজি। এই গ্রন্থে গান্ধিজি ভারতের সামাজিক ও জাতীয় বিকাশে নারীদের শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র তার আর্থিক সামর্থ্য ও উন্নয়নের সীমার মধ্যে সব নাগরিকের জন্য কর্ম ও শিক্ষার ব্যবস্থা করবে এবং সেইসঙ্গে বেকার যুবক, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও অক্ষম মানুষদের সরকারি সাহায্য দান করবে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী তপশিলি জাতি কাদের বলা হয়?
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত ও দুর্বল শ্রেণির মানুষকে তপশিলি জাতি বলা হয়। যেমন- কামার, ধােপা প্রভৃতি।
আমাদের দেশে ‘তপশিলি জাতি হিসেবে কারা পরিগণিত?
আমাদের দেশ ভারতবর্ষে হিন্দুধর্মের রক্ষণশীলদের কাছে যারা অস্পৃশ্য বলে পরিচিত ছিল এবং বর্তমানে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সামাজিক দিক থেকে যারা সুবিধাহীন শ্রেণি, তারাই তপশিলি জাতি বলে পরিগণিত।
ভারতবর্ষে কাদের তপশিলি উপজাতি বলা হয়?
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্যের যেসব অনগ্রসর উপজাতির নাম নথিভুক্ত করা হয়, তাদের তপশিলি উপজাতি বলা হয়। যেমন-সাঁওতাল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি।
ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ১৫ এবং ৪৬ নং ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে।
কার সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল?
ইউ এন ধেবরের সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল।
সংখ্যালঘু কারা?
১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের কালেকর কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী হিন্দু সমাজে একদা উচ্চবর্ণের মানুষের দ্বারা অত্যাচারিত নীচু শ্রেণির মানুষ, যারা পিছিয়ে যেতে যেতে একেবারে অনুন্নত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে, তাদের বলা হয় সংখ্যালঘু। যেমন- ছােটো কারিগর, পশুপালনকারী বা শিকারি সম্প্রদায়।
সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের কোন্ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানের ২৯ নং ধারায় সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
কবে সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়?
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ তম সংবিধান-সংশােধনকালে সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারাগুলির মধ্যে কোনটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ?
ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারা হল ১৪-১৮ নং ধারা। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল ১৪নং ধারাটি, যাতে ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে কোনাে ব্যক্তিকে আইনের দৃষ্টিতে সমানাধিকার ও আইনের দ্বারা সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানে কাদের জন্য বিশেষ সুযােগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে?
ভারতীয় সংবিধানে তপশিলি জাতি বা Scheduled Castes’, it aaa a scheduled Tribes’ এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ‘Other Backward Classes’ (OBC)-এর জন্য বিশেষ সুযােগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ে দুটি নীতি উল্লেখ করাে।
সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ের দুটি উল্লেখযােগ্য নীতি হল-
-
সমাজের বস্তুগত সম্পদের উপর একচেটিয়া মালিকানা প্রতিহত করে তার সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করা।
-
প্রতিটি শিশুকে শারীরিক ও নৈতিক শােষণের হাত থেকে রক্ষা করা ও তারা যাতে সুস্বাস্থ্য, সম্মান ও স্বাধীনতার অধিকারী হতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া।
ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা কত?
ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা ১১টি।
ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত যে-কোনাে দুটি মৌলিক কর্তব্য উল্লেখ করাে।
ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত দুটি মৌলিক কর্তব্য হল-
-
সংবিধানের সমস্ত আদর্শ ও নীতি মান্য করা এবং জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।
-
প্রতিটি ৬-১৪ বছর বয়সি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রদান তাদের পিতামাতার মৌলিক কর্তব্য।
অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব বলতে কী বােঝায়?
ভারতে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপর সমভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আর্থিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে কেন্দ্রের প্রভাব শিক্ষার ক্ষেত্রে অধিক হলেও কর্মসূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টিই অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব নামে পরিচিত।
Leave a comment