বাগযন্ত্র এবং শ্রবণ যন্ত্রের সীমাবদ্ধতার কারণে মুখ ও বধির শিশুদের জন্য বিশেষ শিখন কৌশল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে এই সকল শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদানের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
(১) বিদ্যালয় স্থাপন: ২০১২ খ্রিস্টাব্দের গবেষণা অনুযায়ী আমাদের দেশে মূক ও বধির শিশুদের সংখ্যা ১২.৩ মিলিয়ন এবং এদের শিক্ষাদানের জন্য ৪৭৮টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয় ও ৩৭২টি বেসরকারি বিদ্যালয় আছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় এই প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪টি।
(২) হোস্টেলের সুবিধা : সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে হোস্টেলের সুবিধা আছে।
(৩) শিক্ষক-শিক্ষণ : বিশেষ শিক্ষক-শিক্ষণের জন্য ভারতবর্ষে ৫১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
(৪) বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : মূক ও বধির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে।
(৫) কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র : প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কর্মে নিয়োগ করার জন্য কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্র (Employment Exchange) স্থাপন করে নাম নথিভুক্ত করণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(৬) চাকুরিতে সংরক্ষণ : সমস্ত চাকুরিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ২% সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(৭) সমন্বিত শিক্ষা : সমন্বিত শিক্ষার মাধ্যমে মৃদু ও মধ্যম মাত্রায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
(৮) প্রতিবন্ধী দিবস : জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের দেশে প্রতি বছর ১৫ মার্চ দিনটি প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাদান করবার আগে সর্বাগ্রে সমাজের সকল স্তরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে এবং শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে তাদের সহযোগিতা এবং সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করতে হবে।
Leave a comment