ভরের নিত্যতা সূত্রের পক্ষে অনেক পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ আছে। তারমধ্যে বিজ্ঞানী ল্যানডোল্ট এর পরীক্ষার বিবরণ নিচে আলোচনা করা হলো।
বিজ্ঞানী ল্যানডোল্ট তার পরীক্ষার জন্য একটি দুবাহু বিশিষ্ট H আকৃতির কাঁচের নল ব্যবহার করেন। এ নলের বাহুদ্বয়ের নিচের দিকে বন্ধ এবং উপরের দুই মুখ খোলা। খোলা মুখ দিয়ে দুই অংশে দুই ধরনের দ্রবণ প্রবেশ করানো যায়।
এ পরীক্ষায় তিনি এক নলে পরিমাণমতো ফেরাস সালফেট (FeSO₄) দ্রবণ এবং অন্য নলে সিলভার সালফেট (Ag₂SO₄) দ্রবন প্রবেশ করিয়ে খোলা প্রান্ত দ্বয় উত্তাপে গলিয়ে বন্ধ করে দেন। যেন পরবর্তীতে কোন কিছু কাঁচের নলে প্রবেশ করতে বা কাঁচের নল হতে বের হতে না পারে।
এদুটো দ্রবন যেন পরস্পরের সাথে মিশে না যায় এমন সাবধানে তিনি একটি সূক্ষ্ম নিক্তিতে সমগ্র নলের ভর মাপেন।
এরপর নলটিকে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দ্রবণকে ভালোভাবে মিশ্রিত করেন। এতে ফেরাস সালফেট ও সিলভার সালফেট বিক্রিয়া করে ফেরিক সালফেট এবং সিলভার ধাতুর অধঃক্ষেপ সৃষ্টি করে।
2FeSO₄ + Ag₂SO₄ —–> 2Ag + Fe₂(SO₄)₃
বিক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি নলটিকে পূর্বের তাপমাত্রায় নিয়ে আসার জন্য অনেকক্ষণ স্থির অবস্থায় রেখে দেন।
তারপর নলটির ভর মাপা হয়।
দেখা যায় যে, বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়া সত্বেও ভরের কোন পরিবর্তন হয়নি।
ল্যানডোল্ট অন্যান্য বিভিন্ন বিক্রিয়ক নিয়েও একইভাবে পরীক্ষা করে দেখেন যে, সকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিক্রিয়া সংঘটিত হলেও কোন ক্ষেত্রে সামগ্রিক ভরের কোন হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটেনি।
এভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ভরের নিত্যতা সূত্র প্রমাণ করা যায়।
Leave a comment