কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘শাক্তপদাবলী’ নামক সঙ্কলনের সম্পাদক শাক্ত পদাবলীকে বহু শ্রেণীতে বিভক্ত করলেও তার প্রধান বিভাগ তিনটি বাল্যলীলা ও আগমনী-বিজয়ার গান নিয়ে ‘উমাসঙ্গীত’। দ্বিতীয় বিভাগটি স্থূলভাবে ‘শ্যামাসঙ্গীত’-এর দুটি ভাগ—একটিকে ‘উপাস্যতত্ত্ব বলা চলে, এতে প্রধানত বর্ণিত হয়েছে জগজ্জননীর রূপ’ এবং এর মধ্যে আছে ‘ব্রহ্মময়ী না, ইচ্ছাময়ী মা, লীলাময়ী মা, করুণাময়ী মা, প্রভৃতি এবং অপরটিকে বলা চলে ‘উপাসনাতত্ত্ব’ বা ‘ভক্তের আকুতি’–এতে আছে ‘মনোদীক্ষা, নামমহিমা, চরণতীর্থ, মাতৃপূজা’ প্রভৃতি বিষয়।
শাক্তসাধকদের তথা ভক্তদের মধ্যে অধিকারীভেদ রয়েছে পশ্বাচারী, বীরাচারী ও দিব্যাচারী। সাধকের প্রাথমিক সাধনা পশ্বাচার, উন্নত বা রজোগুণাত্মক সাধনা বীরাচার এবং সমন্নত বা সত্ত্বগুণাত্মক সাধনা দিব্যাচার। আচার-ভেদে ভক্তের আকৃতিতেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত পশ্বাচারী সাধকের প্রার্থনায় থাকে ভক্তি, সাংসারিক সুখ-শাস্তি প্রভৃতি, বীরাচারী সাধকের প্রার্থনায় অলৌকিক শক্তি। দিব্যাচারী সাধক কোনো পার্থিব সম্পদ কামনা করেন না, এমন কি মুক্তি কামনাও নয়, তাদের একমাত্র কাম্য মায়ের অভয়চরণ। শাক্তপদাবলীর ‘ভক্তের আকৃতি’ পর্যায়ের কবিতাগুলিতে কিন্তু সকল ভক্তই যেন দিব্যাচারী—সকলেই মায়ের অভয়-চরণে শরণ গ্রহণ করতে চাইছেন। তাঁরা সংসারের দুঃখবেদনাকে অস্বীকার করতে চাননি, রিপুর তাড়নাও বর্তমান, তৎসত্ত্বেও কেউ সংসার ত্যাগ ক’রে বিবাগী হ’তে চাননি। বরং পুঞ্জীভূত বেদনাকেও উপেক্ষা করবার সাহস দেখিয়ে বলেছেন, ‘আমি কি দুঃখের ডরাই?’ ভক্ত মায়ের নিকট তার অন্তরের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অনেক অনুযোগ অভিযোগ উপস্থাপিত করেছেন, কিন্তু প্রার্থনা তাদের একটিই— ‘রামপ্রসাদের এই আশা মা, অস্তে থাকি পদানত।’ ভক্তের আকৃতির শেষ কথা এই–“পরম শরণাগতির আকৃতিই ভক্তের সর্বপ্রধান আকৃতি। তিনিই একমাত্র শরণ্য।…. মায়ের সঙ্গে যত দ্বন্দ্বই হউক, মায়ের স্নেহ, মায়ের চরণই একমাত্র ভরসা।”
‘ভক্তের আকৃতি’ পর্যায়ে যে বৈশিষ্ট্যগুলি সহজেই ধরা পড়ে, সংক্ষেপে তাদের পরিচয় দেওয়া যায় নিম্নোক্তফ্রমে—সর্বশ্রেণীর ভক্তেরই চরম এবং পরম আকাঙ্ক্ষা জননীর স্নেহলাভ। এই মহাপ্রাপ্তির নিকট তাঁদের কাছে কামনা-কুটিল সংসার মোহপাশ বলেই গণ্য হয়। ভক্তের আকৃতির কতকগুলি পদে বদ্ধ জীবের অতি মর্মাস্তিক চিত্র বিভিন্ন রূপক-প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সংসার পাশে আবদ্ধ ভক্তণ্ডু কিন্তু কখনও সংসার ছেড়ে যেতে চাইছেন না, তাঁরাও মাতৃচরণই কামনা করেছেন। ভক্তের আকৃতির পদগুলিকে ‘মাতৃসঙ্গীত’ বলে অভিহিত করা চলে, কারণ প্রতিটি পদেই ভক্ত আপনাকে মায়ের সন্তানরূপেই আত্মপ্রকাশ করেছেন। দেবীকে জননীরূপে গ্রহণ করেছেন বলেই তো ভক্ত সস্তানের এত অনুযোগ, অভিযোগ। কোনো কোনো পদে ভক্তের সমন্বয়দৃষ্টিরও পরিচয় পাওয়া যায় শ্যাম এবং শ্যামাকে তাঁরা অভিন্ন দৃষ্টিতেই দেখতে পেয়েছেন।
তন্ত্রে জীবের তিন প্রকার অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে– বদ্ধজীব, মুমুকুজীব এবং মুক্তজীব। মুক্তজীব অতি দুর্লভ দর্শন, জীবমাত্রই প্রায় বন্ধজীব, কিন্তু তাদের মধ্যে যারা অধ্যাত্ম-সাধনায় আগ্রহী, তারা বদ্ধ হলেও মুমুক্ষু। বিভিন্ন তন্ত্রে বদ্ধজীব সম্বন্ধে বলা হয়েছে পূর্ব কর্মানুরূপ মোহপাশ-দ্বারা বন্ধ। সেই বদ্ধজীবের শোচনীয় অবস্থা শাক্তপদে নানাবিধ রূপক-প্রতীকের সাহায্যে বর্ণিত হয়েছে। বদ্ধজীব বুদ্ধি, মন, পঞ্চেন্দ্রিয়, ষড়রিপু প্রভৃতির প্ররোচনায় অস্থির; পঞ্চভূতে নির্মিত দেহ যে নশ্বর সেই বোধও তাদের থাকে না। কিন্তু যাঁরা সাধক, তারা মুমুক্ষু বলেই নিজের অবস্থা বিষয়ে সচেতন হয়ে তার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবার আকাঙ্ক্ষায় মাতৃচরণে শরণ গ্রহণ করেন। বদ্ধজীবের এই দুরবস্থার চিত্রটি ভক্তের আকৃতি’ শীর্ষক পদগুলিতে নানাপ্রকার রূপকার রূপকের সাহায্যে বর্ণিত হয়েছে। এতে মুমুক্ষু শাক্ত কবি-সাধকগণ মোহপাশবদ্ধ জীবের অসহায় করুণ চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
শ্রেষ্ঠ পদকর্তা রামপ্রসাদ সেন বিভিন্ন পদে বিভিন্ন রূপকের মাধ্যমে বদ্ধজীবের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন। পাশাখেলার একটি বিস্তৃত রূপকের আড়ালে বদ্ধজীবের অবস্থাটি দেখিয়েছেন,— কীভাবে পাকাণ্ডটি কেঁচে এলো। তিনি বলেন—
‘হদ্দ হল চোদ্দ পোয়া, বন্ধ পথে যায় না পাওয়া।
রামপ্রসাদের বুদ্ধি দোষ পেকেও ফিরে কেঁচে এলো।।’
অসাধারণ সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও পঞ্চেন্দ্রিয় এবং ষড়রিপুর আক্রমণে জীব বদ্ধদশায় এসে পৌঁছায়।
‘শেষে কচ্ছা বার পেয়ে মাগো পড়া ছক্কায় বদ্ধ হল।’
রামপ্রসাদের অপর একটি পদে রূপকের ব্যবহার দ্বারা বদ্ধজীবের দুরবস্থা অভিশয় প্রকট হয়ে উঠেছে—কবি বা বদ্ধজীব যেন ‘দুঃখের ডিক্রিজারির আসামী’—ছয়টা ‘প্যাদা’ (ষড়রিপু) তাকে নির্যাতন করছে—বন্ধ জীবের ইচ্ছা, ঐ ছয়টারে বিষ খাওয়াইয়ে প্রাণে মারি। পেয়াদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, তার নামেতে নিলাম জারি হবে, কিন্তু জীবকে ‘রাজকুমারী’ (জগদীশ্বরী) “ফিকির বানায়ে রেখেছ’ ‘হুজুর উকিল যিনি তাঁর ‘ডিসমিস’ করার দিকেই ঝোক—তিনি এমনভাবে সওয়াল করেন যেরূপে মা আমি হরি’, তাই তাঁর ভাবনা উপায় কি করি’ – কারণ ‘পালাইতে স্থান নাই যেহেতু মায়ের অভয় চরণটিতেও স্থান করে নিয়েছেন ‘ত্রিপুরারি’।
রামপ্রসাদ অপর একটি পদে নিজেকে ‘কলুর চোখ-ঢাকা বলে মনে করেছেন, আর ষড়রিপু তাকে অনবরতই পাক দেওয়াচ্ছে–
‘ভবের গাছে বেঁধে দিয়ে মা, পাক দিতেছে অবিরত।
তুমি কি দোষে করিলে আমায়, ছটা কলুর অনুগত।।’
রূপক ব্যবহারের দিক থেকে রামপ্রসাদের আর একটি পদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নিঃসম্বল জীব ভূতের বেগার খেটে মরছে। দিনমজুরি খেটে যা পায়, তা ‘পঞ্চভূতে খারগো বেটে’। ‘পঞ্চভূত, ছয়টা রিপু, দশ ইন্দ্রিয়’ এরা সব মহা লেঠেল, এদের ঘেঁটেই জীবের দিন কাবার হয়ে যায়। অন্ধজন যেমন হারানো দণ্ড ফিরে পেয়ে তাকে এঁটে ধরতে চায়, সেও তেমনি অপহাত ধন ফিরে পেয়ে তাকে রক্ষা করতে সচেষ্ট হয়, কিন্তু তাও কর্মদোষে যায় গো ছুটে’। অতএব কবির সকাতর প্রার্থনা-ব্রহ্মমরি যেন তার কর্মবন্ধন ছিন্ন করে দেন—
‘প্রাণ যাবার বেলা এই করো মা,
ব্রহ্মরন্ধ্র যায় যেন ফেটে।।’
নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের একটি পণে রূপকের ব্যবহার-সংসার-গারদে দীর্ঘ মেয়াদে বন্দী রয়েছেন কবি, দারা-সুত তাঁর পায়ের কঠিন শৃঙ্খল, ষড়রিপু অনবরত তাঁকে যন্ত্রণা দিচ্ছে— ‘মসিল ছয় দূত তসিল করে কত সংসার বাসনা অতি প্রবল, এই সাধনা হল মা অর্থ অভিলাষী হয়ে কেবল সংসারে ছুটে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু শুধুই দুঃখ ভোগ করে যাচ্ছেন—তাই এখন আর তাঁর বাঁচবার সাধ নেই, সাপের বিষ খেয়ে তিনি এখন মরতে চান—
‘আর বাঁচিতে সাধ নেই, বাসনা সদাই,
ফণী ধরে খাই হলাহল।’
কমলাকাস্ত্রের একটি উৎকৃষ্ট পদে জীবদেহকে শুকনো তরুর রূপকে উপস্থাপিত করে বলা হয়েছে—ষড়রিপু তার সর্বনাশ সাধন করেছে—
‘তরু মুঞ্জরে না, শুকায় শাখা ছটা আশুন বিশুণ আছে।’
প্যারিমোহন কবিরত্ন একটি পদে জীবকে ‘কুয়োর ঘড়া’য় রূপকে ব্যাখ্যা করেছেন— ‘মায়ামোহ’-রূপে দড়ি-দড়ার বন্ধনে তার ওঠাপড়ার আর নিবৃত্তি নেই। ‘শীতে কাপি, জলে ভিজি, রোদেতে হই বেগুনপোড়া। তাই তাঁর প্রার্থনা—
‘তোর পায়ে পড়ি, আর করো না ফাড়াছেঁড়া।’
দেওয়ান রঘুনাথ একটি পদে জীবকে ভবসাগরের এক তীরের যাত্রীরূপে দেখিয়েছেন— ‘মায়া- ঝড়, মোহ-তুফান’ ক্রমশ বাড়ছে – ‘একে মনমাঝি আনাড়ি, তাহে ছ’জন গোঁয়ার দাঁড়ি’—তার ফলে ভক্তির হাল ভেঙে গেল, শ্রদ্ধার পালও ছিড়ে গেল—’তরী বানচাল’— অতএব কবি জানতে চাইছেন—’এখন কি করি’।
‘ভক্তের আকুতি’ পর্যায়ের পরেও অনেক পদেই বদ্ধজীবের স্বরাপ নির্ণয় করতে গিয়ে শাক্তপদকর্তাগণ রূপকের সহায়তা গ্রহণ করেছেন।
মহারাজ রামকৃষ্ণ রায় রচিত এখনো কি ব্রহ্মমরি হয়নি মা তোর মনের মত?’ পদে অকৃতী সন্তানের প্রতি মায়ের বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে কবি নালিশ জানিয়েছেন—
‘জ্ঞানরত্ন দিয়েছিলি, মসিল দে তসিল করিলি।
হিসাব করে দেখ মা তারা, দুঃখের দিন কত বাকি?’
প্রেমিক মহেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘ফিরিয়ে নে তোর বেদের ঝুলি’ পদটিকে রূপকে উপস্থাপিত করা হয়েছে—
‘ভোজের খেলা খেলতে ভবে
আমারে একলা পাঠাল।
ও মা কি ভাব ভেবে বল্ না শিবে,
ভানুমতীরে জুটিয়ে দিলি।’
কালিদাস ভট্টাচার্যও দেহকে ‘জীর্ণতরী’র রূপকে প্রকাশ করেছেন—
‘একে দেহ জীর্ণ তরী, তাহে পাপ হইল ভারী,
কি ধরি, কি করি ভব-জলধি অপার।।’
রামচন্দ্র রায় সংসার-যন্ত্রণাকে বিভিন্ন রোগ-রূপে বর্ণনা করেছেন—
‘তারিণি, ভবরোগে ব্যথিত জীবন, করি কি এখন?
কলুষ পৈত্তিকে অঙ্গ করিছে দহন।
বাসনাবাত প্রবল, টুটাইছে জ্ঞান-বল,
প্রবৃত্তি-কফেতে কণ্ঠ করেছে রোধন।।’
দাশরথি রায়ের নিম্নোক্ত পদটি রূপকের দৃষ্টাত্তরূপে বহুল প্রচার লাভ করেছে—
‘দোষ কারো নয় গো মা,
আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা।
ষড়রিপু হল কোদন্ড স্বরূপ,
পুণ্যক্ষেত্র-মাঝে কাটিলাম কূপ,
সে কুপে ব্যাপিল–কাল রূপ জল-কাল-মনোরমা।।’
এখানে দৃষ্টাস্তরূপে যে সকল রূপক বিশ্লেষণ করা হল, তাতে বদ্ধ জীবের দুঃখ-কষ্টের চিত্রই শুধু ধরা পড়েছে। তা’ থেকে মনে হ’তে পারে যে শাক্ত সাধকরা ছিলেন মূলত দুঃখবাদী নৈরাশ্যবাদী। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটি তা নয়। শাক্তসাধকরা সংসার বিরাগী নন, তাঁরা গার্হস্থ্য জীবনধর্মে বিশ্বাসী, কাজেই ত্রিতাপ জ্বালা তাদের যেমন ভোগ করতে হয়, তেমনি কর্ম অনুযায়ী অনেকেই সুখ সৌভাগ্যেরও অধিকারী। এরা সকলেই বদ্ধজীব,— এঁদের মধ্যে যারা মুক্তিকামী তাঁরাই মানুষের স্থূল ভোগবাসনার অসারতা বুঝতে পেরে তা থেকে মুক্তি লাভের কামনাই জগজ্জননীর কাছে নিবেদন করেছেন এবং সেই প্রসঙ্গে ত্রিতাপ জ্বালার স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। রামপ্রসাদের ভাষায়—
‘মলেম ভূতের বেগার খেটে
আমার কিছু সম্বল নাইকো গেঁটে।
নিজে হই সরকারী মুটে, মিছে মরি বেগার খেটে।
আমি দিন মজুরী নিত্য করি, পঞ্চভূতে খায় গো বেঁটে।’
এর হাত থেকে নিস্তার পাবার জন্যই মুমুক্ষু সাধকের কাতর প্রার্থনা—
‘তুমি মঙ্গলরূপিনী, বিশ্বহিতবিধায়িনী,
যা ভাল হয়, তাই কর মা, তোমার পদে দিলাম ভার।
(আর) আমার কথা শুনবে যদি,
(তবে ঘুচাও মনের অহংকার।।’
বদ্ধ জীবের অবস্থা বর্ণনায় শাক্তপদকর্তারা যে সব রূপক প্রতীকের ব্যবহার করেছেন, তাদের সার সঙ্কলন ক’রে অধ্যাপক জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, “সর্বত্রই ভোগপঙ্কে আকণ্ঠ নিমজ্জিত জীবের অতি করণ, অতি বিপন্ন অবস্থা ও মর্মভেদী আর্তনাদ। একটি প্রমত্ত হস্তী পঙ্কে নিমজ্জিত হইয়া মুক্ত হইবার জন্য যেমন আকুলি বিকুলি করে, প্রচণ্ড শক্তি থাকা সত্ত্বেও সে অবস্থায় সেই বিরাটাকার জীব যেমন শক্তিহীন, অসহায় তাহার ক্রন্দন যেমন গভীর ও মর্মস্পর্শী, বদ্ধজীবের অবস্থাটিও তদ্রূপ। সে অবস্থায় হস্তি হস্তিপকের নিদারুণ অঙ্কুশ তাড়নায় যেমন বিকট, ভয়ঙ্কর আর্তনাদ করিতে থাকে, ইন্দ্রিয় তাড়িত প্রবৃত্তির সংঘাতে বিপর্যস্ত জীবও ঠিক তেমনই অভিমান ক্ষুব্ধ ক্রন্দনে দিমণ্ডল পরিপূর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। এ ক্রন্দন নিয়মিত জটিল জালে আবদ্ধ Tragedy-র নায়কের ‘Ah woe, Ah woe ( ঈডিপাস) ক্রন্দনধ্বনির মতই গভীর, ভীতিকর ও মর্মাস্তিক।”
Leave a comment