ব্যাপনঃ কোন মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে।
ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ উচ্চ ঘনমাত্রার স্হান থেকে নিম্ন ঘনমাত্রার স্থানের দিকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
যেমন – এক গ্লাস স্হির পানিতে এক ফোঁটা লাল রং দিলে দেখা যাবে লাল রং গ্লাসের স্হির পানির মধ্যে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এবং এক সময় সমস্থ গ্লাসের পানি লাল হয়ে যাবে।
আবার ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ব্যাপন হার বেশি।
যেমন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি এবং এক গ্লাস গরম পানিতে সমান পরিমান KMnO4 যোগ করলে দেখা যাবে গরম পানিতে KMnO4 এর ব্যাপন বেশি হচ্ছে।
আবার, H2, CO2, NH3, N2 সহ আরো অনেক রাসায়নিক পদার্থের ব্যাপন হার সহজেই বের করা যায়। এক্ষেত্রে যে পদার্থের ব্যাপন হার বের করব তার আনবিক ভর জানা থাকলেই হবে।
যে পদার্থের আনবিক ভর যত কম হবে সেই পদার্থের ব্যাপন হার তত বেশি হবে।
H2 এর আনবিক ভর 2 এবং CO2 এর আনবিক ভর 44. H2 এর আনবিক ভর CO2 এর আনবিক ভরের চেয়ে কম।
নিঃসরণঃ বাহ্যিক চাপের প্রভাবে সরু ছিদ্রপথে কোন গ্যাসের উচ্চচাপের স্হান থেকে নিম্নচাপের স্হানের দিকে সজোরে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে। যেমন আমরা এরোসল, বডি স্পে ব্যবহারের সময় এগুলোর ক্যানের মাথায় চাপ দিই। এতে এরোসল, বডি স্পে সরু ছিদ্রপথে সজোরে বেরিয়ে আসে। এ ভাবে সজোরে বেরিয়ে আসাটাই নিঃসরণ।
আবার, বিভিন্ন ফল পাকলে যে সুগন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে ফলত্বকের ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে নিঃসরণ প্রক্রিয়ায় ফলের গন্ধ বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর ফলের গন্ধ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় চারিদিকে ছড়িয়ে পরে।
Leave a comment