বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।

সায়েম : সেদিন পত্রিকায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পড়লাম। তুমি কি খেয়াল করেছিলে? 

শুভ : না, তবে বাংলাদেশে যে এর যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সে সম্পর্কে আমার ধারণা আছে।

সায়েম : তুমি জাননা, সাম্প্রতিক বছরগুলােতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এ তথ্য বের করেছে।

শুভ : আমিও সেদিন একটি প্রতিবেদন পড়েছি যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে বায়ুমণ্ডলে বেশি বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস ছড়াচ্ছে। এ কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর অনিশ্চিত পরিণামের ব্যাপারেও সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এর কীরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তুমি মনে কর? 

সায়েম : আমি মনে করি, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে। অনেক এলাকাতেই মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। 

শুভ : শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের এক জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ। জানিয়েছে তাদের উপার্জন ক্ষমতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে। পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ার কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে বাংলাদেশের মতাে নিমভূমির এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

সায়েম : বিষয়টি আসলেই দুশ্চিন্তার। আমাদের এখন থেকেই এ ঝুঁকি প্রশমনের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ উদ্দেশ্যে আমাদের বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে হবে। আর এর একমাত্র উপায় হলাে বৃক্ষরােপণ করা।

শুভ : হ্যা, তুমি ঠিক বলেছ। আমিও তােমার সাথে একমত। তােমার বক্তব্যের জন্য তােমাকে ধন্যবাদ।

সায়েম : তােমাকেও ধন্যবাদ।