·                 বে-আইনি সমাবেশ বলতে কি বুঝেন?

·                 একটি সমাবেশ কখন বে-আইনি সমাবেশে পরিণত হয়?

·                 বে-আইনি সমাবেশের উপাদানসমূহ আলোচনা করুন? 

·    বে-আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব আলোচনা করুন।

·       একটি বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে? আলোচনা করুন।

·    বে-আইনি সমাবেশে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে এবং পরে পুলিশের করণীয় আলোচনা করুন।

·       বে-আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর শান্তি আলোচনা করুন?

·                 বে-আইনি সমাবেশ ও দাঙ্গার পার্থক্য আলোচনা করুন?

 

বেআইনী সমাবেশ
Unlawful assembly

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৭ এর  নাগরিকদের তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় জনসমাবেশ বা এমন কি মিছিল করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার স্বার্থে জনশৃঙ্খলার জন্য রাষ্ট্র দ্বারা যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে জনসমাবেশ/সমবেত হওয়ার এই অধিকার দেওয়া হয়েছে । বেআইনী সমাবেশ(Unlawful assembly) দণ্ডবিধিতে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের নিন্মোক্ত common object নিয়ে সমাবেত হলে সেই সমাবেশকে বে-আইনি সমাবেশ হিসেবে গণ্য হবে—

১। আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে বাঁধা

[Overawe on exercise of the lawful power]

অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সরকার, আইন পরিষদ বা সরকারি কর্মচারীকে তাদের আইনানুগ ক্ষমতা আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগে কোন সরকারী কর্মচারীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা । যেমন- যদি কোন ব্যক্তি এরূপ হুমকি দেয় যে যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তবে পুলিশকে হত্যা করা হবে তবে এ আইনে অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।

 

২। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান

[To resist the execution of any law, or of any legal process]

যদি সংশ্লিষ্ট সমাবেশটি আইন প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে অথবা পরোয়ানা জারীর কাজে অর্থাৎ আইনানুগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করে। যেমন- অপরাধী গ্রেফতার বা সম্পত্তি ক্রোক করা ব্যক্তির আইনগত কাজ এতে বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি বলে বিবেচিত হবে।

 ৩। অনধিকার প্রবেশ

যদি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সমাবেশটি কোন ক্ষতিকর বা অনিষ্টকর কার্য বা অনধিকার প্রবেশ বা অন্যবিধ অপরাধ সংগঠন করে তবে তা বে-আইনি সমাবেশ বলে বিবেচিত হবে। এআইআর ১৫৮ রাজ ২২৬ মামলায় বলা হয়েছে- কোন বাড়ি লুট করা কিংবা সম্পত্তির ক্ষতি করা বে-আইনি সমাবেশের উদ্দেশ্য হতে পারে। কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে মারপিট করা বে-আইনি সাধারণ উদ্দেশ্যরূপে পরিগণিত।

 

৪। প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা

কোন ব্যক্তির প্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে অর্থবা অপরাধমূলক বল প্রয়োগের হুমকি প্রদর্শন করে কোন সম্পত্তির অধিকার অর্জন করা অথবা কোন ব্যক্তিকে পথের অধিকার বা পানীয় ব্যবহার অথবা তদীয় দখল বা এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন কল্পিত বা অশরীর অধিকার হতে বঞ্চিত করা।

 

৫। কোন কাজে বাধ্য করা বা বিরত রাখা

কোন ব্যক্তির প্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করা বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের ভান করে যা সে আইনগতভাবে করতে বাধ্য নয় তা করতে বাধ্য করা অথবা যা সে আইনগতভাবে করতে বাধ্য তা সম্পাদন করা হতে বিরত রাখা। এআইআর ১৯৯৫ এলাহাবাদ ১৮০ মামলায় বলা হয়েছে নিজের সম্পত্তি জোর করে দখল নেয়ার উদ্দেশ্যে সমাবেশ সংগঠন করাও বেআইনি।

 

বে-আইনি সমাবেশের উপাদান

জনশৃঙ্খলা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইন দ্বারা আরোপিত সমাবেশের স্বাধীনতা যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে যা বাংলাদেশের সংবিধান এর ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বীকৃত। একইভাবে যদি কোন সমাবেশ বে-আইনি হয় তবে তা ছত্রভঙ্গ করার অধিকারও আইনই দিয়েছে। নিম্নলিখিত উপাদান পরিলক্ষিত হলে একটি সমাবেশকে বে-আইনি সমাবেশ বলে বিবেচনা করা হবে-

১. পাঁচ (০৫) বা ততোধিক ব্যক্তির উপস্থিতি;

২. উপস্থিত সকলের একটি সাধারণ লক্ষ্য থাকতে হবে;

৩. সমাবেশে সকলেই স্ব-জ্ঞানে এবং স্ব-ইচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে হবে;

৪. সর্বোপরি উক্ত সমাবেশের সদস্যগণকে দণ্ডবিধির ১৪১ ধারায় উল্লিখিত অপরাধের যে কোন একটিতে জড়িত হতে হবে।

 

৬ ইডব্লিউএন ৫০৭ মামলায় বলা হয়েছে যে সমাবেশ প্রথমে বৈধ সমাবেশ ছিল পরে এর সদস্যদের ক্রিয়া কলাপের দ্বারা বে-আইনি সমাবেশে রূপান্তরিত হতে পারে।

 

বে-আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির আইনগত দায়-দায়িত্ব

 একটি সমাবেশ বে-আইনি সমাবেশ হিসেবে গণ্য হলে সেক্ষেত্রে তাদের সাধারণ উদ্দেশ্যসমূহ সাধনকল্পে সেখানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্যই অপরাধ করেছেন বলে বিবেচিত হবে। তবে দণ্ডবিধি আইন অনুসারে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের দায়ী করতে হলে নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে-

১. উক্ত ব্যক্তি একটি বে-আইনি সমাবেশের সদস্য;

২.উক্ত সমাবেশের সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ঐ সদস্য অপরাধমূলক কার্য সম্পাদন করেছে;

৩. অপরাধমূলক কার্যটি এমন প্রকৃতির যে বে-আইনি সমাবেশের সদস্যগণ অবগত ছিল যে তাদের সাধারণ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যেই এ সমাবেশ করা হয়েছিল।

 

বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার

বে-আইনি সমাবেশ হলে পুলিশ অফিসার তা ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দিতে পারেন। যদি সহজে সমাবেশ ভঙ্গ করা না যায় তবে মিলিটারির সহায়তা নিয়ে বে-আইনি জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দেয়া যায়। ২১ ডিএলআর ৩০৭ মামলায় বলা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধি ১২৭ ধারার বিবেচনায় দুর্নীতি দমন সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক একজন পি.এস.পি অফিসার হলেও পুলিশ অফিসার নন এবং সেজন্য তিনি বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হবার আদেশ দিতে পারেন না। কার্যবিধির ১২৭ ধারা ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে বে-আইনি সমাবেশ অথবা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হবার কারণ ঘটাতে পারে এরূপ পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন সমাবেশের প্রতি ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দেয়ার ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু দুর্নীতি দমন সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক পি.এস.পি অফিসার হলেও শান্তি-শৃঙ্খলার বিষয়ে আদেশ প্রদান

করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের উপর তার কোন নিয়ন্ত্রন নেই এবং পুলিশ আইন অনুসারে তিনি পুলিশের স্বাভাবিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্কিত নন।

 

সুতরাং বিশেষ কোন আদেশ প্রদান ছাড়া পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্য কেউ বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হবার আদেশ দিতে পারেন না। স্টেট বনাম মো. জিল্লুর রহমান ১৯ বিএলডি (১৯৯৯) হাইকোর্ট-৩০৩ মামলায় বলা হয়েছে যদি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি হরতাল পালন করার অভিলাষ পোষণ করে তবে তা দণ্ডবিধির ১৪১ (৫) ধারার অধীন অপরাধ বলে বিবেচনা করা যাবে না কেননা এ সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন মিছিল, পিকেট বা কোন কার্য বাস্তবায়ন বুঝায় না। কিন্তু যদি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি ‘হরতাল’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে জনগণ অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের উদ্দেশ্য যদি এরূপ হয় অন্যদের জোর করে চলে যেতে বাধ্য করে যা স্বাভাবিক অবস্থায় তারা করতে বাধ্য নয়। তবে হরতাল সমার্থককারীগণ ১৪১ (৫) ধারা অনুযায়ী অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন।

বে-আইনি সমাবেশে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে এবং পরে পুলিশের করণীয় আলোচনা করুন।

 

পিআরবি প্রবিধান ১৫৩ মোতাবেক ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৭ এবং ১২৮ ধারা অনুসারে যখন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার যুক্তিসংগতভাবে মনে করেন যে, অন্য কোন উপায়ে বে-আইনি সমাবেশ বা দাঙ্গা ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব নয় তখনই কেবল জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে ব্যবহারের নির্দেশ প্রদানকারী অফিসারকে বে- আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী লোকদের এই মর্মে সতর্ক করে দিতে হবে যে, যদি বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না হয় তবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে পুলিশের করণীয়

পিআরবি প্রবিধান ১৫২ ধারা মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে পুলিশের করণীয় নিম্নরূপ:

১. পুলিশ অফিসার তাঁর দায়িত্বাধীন এলাকার নিয়ন্ত্রণ বজার রাখার নিমিত্ত পুলিশ সদস্যদের সুশৃঙ্খলভাবে শ্রেণীবদ্ধ করাবেন;

২. তিনি প্রয়োজন ব্যতিরেখে পুলিশ সদস্যদের বে-আইনি জনতার কাছাকাছি নিয়ে যাবেন না;

৩. বে-আইনি জনতা কর্তৃক নিক্ষিপ্ত ইট-পাথরের আঘাত সংকোচনের জন্য পুলিশ সদস্যদের সীমিত জায়গায় ছড়িয়ে দিবেন;

৪. প্রয়োজনবোধে বেয়নেট সংযুক্ত করার নির্দেশ দিবেন;

৫. পুলিশ অফিসার প্রয়োজনবোধে পুলিশ সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভরার

নির্দেশ দিবেন;

৬. গুলিবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনবোধে পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে যেই দিক হতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি সেই দিকে মুখ করে অবস্থান করার নির্দেশ দিবেন; 

৭. অধিনায়ক/পুলিশ অফিসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রায়ট ড্রিলের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

 

পিআরবি প্রবিধান ১৫৪ ধারা মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে পুলিশের করণীয় নিম্নরূপ–

১. আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্বে পুলিশ অফিসার সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করবেন;

২. আগ্নেয়াস্ত্র হতে গুলিবর্ষণ যেন সবসময়ই নির্ধারিত লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন;

৩.পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনয়নের জন্য যেটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে;

৪. যে উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে সে উদ্দেশ্য সাধিত হবার সাথে সাথে গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে হবে।

 

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পরে পুলিশের করণীয়

পিআরবি প্রবিধান ১৫৬ মোতাবেক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর পুলিশের করণীয়-

১. আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিনিয়র অফিসার যথাশীঘ্র সম্ভব আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ এবং নিহতদের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন;

২. ব্যবহৃত কার্তুজের খোসাগুলি সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখবেন বা দেখার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;

৩. উক্ত ঘটনায় বর্ষণকৃত প্রকৃত গুলির সংখ্যা উল্লেখপূর্বক ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত এবং যথাযথ প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন;

৪. যতশিঘ্র সম্ভব উক্ত প্রতিবেদন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক এবং মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করবেন বা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

বে-আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর শাস্তি

 বে-আইনি সমাবেশে অংশগ্রহণ, আশ্রয়দান, মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে অবস্থান ইত্যাদির জন্য বিবিধ প্রকার শাস্তির নির্দেশনা বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে বিদ্যমান। নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১. দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি বে-আইনি সমাবেশের সদস্য হলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ব্যক্তি ০৬ মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

২. দণ্ডবিধি আইনের ১৪৪ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনি সমাবেশে যোগদান করে তাতে উক্ত ব্যক্তি ০২ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

 

৩. দণ্ডবিধি আইনের ১৪৫ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হবার নির্দেশ সত্ত্বেও যোগদান করলে বা অবস্থান  করলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে ০২ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

৪. দণ্ডবিধি আইনের ১৫০ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি বে-আইনি সমাবেশের জন্য লোক ভাড়া করলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে বে-আইনি সমাবেশের সদস্যরূপে বা কৃত অপরাধের জন্য যেরূপ দণ্ড সেরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

৫. দণ্ডবিধি আইনের ১৫১ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হবার নির্দেশ সত্ত্বেও যোগদান করলে বা অবস্থান করলে উক্ত ব্যক্তি ছয়মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

৬. দণ্ডবিধি আইনের ১৫২ ধারা মোতাবেক যদি কোন সরকারি কর্মচারী যিনি বে-আইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছেন তাকে বাধা প্রদান করেন বা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ বা প্রয়োগে ভীতি প্রদর্শন করেন বা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

৭. ১৫৭ ধারা মোতাবেক বে-আইনি সমাবেশের জন্য ভাড়াকৃত লোকদের আশ্রয় দিলে আশ্রয়দাতা অপরাধী হিসেবে ছয় মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন;

৮. ১৫৮ ধারা মোতাবেক বে-আইনি সমাবেশের জন্য ভাড়াকৃত লোকদের ভাড়াটিয়া হিসেবে আশ্রয় দিলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে ছয় মাস পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

বেআইনি সমাবেশ দাঙ্গার পার্থক্য নিম্নরূপ: