পৃথিবীর প্রায় 200টি দেশের মধ্যে 17টি দেশে সর্বাধিক (60%-70%) জীববৈচিত্র্য বিদ্যমান। বিশ্বের অধিক জীববৈচিত্র্য-সমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, মেক্সিকো, পেরু প্রভৃতি প্রধান। ভারতের হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ জীববৈচিত্র্যে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ।
জীববৈচিত্র্যের প্রধান উপাদানগুলির হল—জিনগত বৈষম্য, প্রজাতিগত বৈষম্য, বাস্তুতান্ত্রিক বৈষম্য এবং কালগত বৈষম্য। এই উপাদানগুলির ওপর ভিত্তি করে জীববৈচিত্র্যকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—
(১) জিনগত বৈচিত্র্য : একটি প্রজাতির প্রত্যেক জীবের মধ্যে জিনগত গঠনের সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়, যার জন্য এরা একে অন্যের থেকে সামান্য আলাদা হয়। জিনগত এই বৈচিত্র্যের জন্যই ধানের মধ্যে প্রায় 25,000 প্রকারভেদ (Variety) দেখা যায়।
(২) প্রজাতি বৈচিত্র্য : প্রজাতি বৈচিত্র্য হল কোনাে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বিবিধ প্রজাতির জীবের উপস্থিতি এবং তাদের আপেক্ষিক প্রাচুর্য।
(৩) বাস্তুতান্ত্রিক জীব বৈচিত্র্য : একটি বাস্তুতন্ত্রের সজীব উপাদান বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ, প্রাণী ও অনুজীবদের নিয়ে গঠিত। এইসব জীব পরস্পরের সঙ্গে বিভিন্ন বস্তুর আদানপ্রদান করে একে অপরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের জীবগত গঠন ও বৈচিত্র্যকেই বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্য বলে। তিন প্রকারের বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য চিহ্নিত করা হয়, যথা—
-
আলফা বৈচিত্র্য : একই গােষ্ঠীভূক্ত জীবসমূহের মধ্যেকার বৈচিত্র্য হল আলফা বৈচিত্র্য।
-
বিটা বৈচিত্র্য : একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক বাসস্থানভুক্ত বিভিন্ন গােষ্ঠীসমূহের মধ্যে যে জীববৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় তাকে বিটা বৈচিত্র্য বলে।
-
গামা বৈচিত্র্য : ভিন্ন ভৌগােলিক ক্ষেত্রে একইরকম পরিবেশের প্রজাতির পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপনের যে বৈচিত্র্য তাকে গামা বৈচিত্র্য বলে।
Leave a comment