অনুচ্ছেদ লিখন বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় – অনুচ্ছেদ বিভিন্ন পরীক্ষায় লিখতে আসে। তাই আমি যথাযথভাবে বিশ্ববিদ্যালয় – অনুচ্ছেদ লেখা চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্তচিন্তা এবং বুদ্ধির একটি কেন্দ্রস্থল এবং এটা জ্ঞান চর্চার একটি সর্বোচ্চ মাধ্যম। নিচে বিশ্ববিদ্যালয় – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –

বিশ্ববিদ্যালয় – অনুচ্ছেদ 

“বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত বুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তার কেন্দ্রস্থল। এখান থেকে বুদ্ধির মুক্তি ও চিন্তা স্বাধীনতা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে”। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।

বিশ্ববিদ্যালয় হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয় এবং দক্ষ মানব হিসেবে গড়ে তুলে জনসম্পদে পরিণত করা হয়। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন ধরনের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয় সম্মান প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন গবেষণা মূলক কাজকর্ম ও করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটে থাকে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স এবং মাস্টার্স শ্রেণিগুলোতে জ্ঞান বিতরণ করা সহ যারা নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করেন তাদের এমফিল ও পিএসডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুনঃ   অনুচ্ছেদ – সেরা ৫০ টি – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

অধ্যাপক জি জে হার্টস বলেন – ” একটি ডিগ্রি মানে একটি প্রতিশ্রুতি, এ প্রতিশ্রুতি বিদ্যায়তনক কৃতিত্ব নয়, জাগতিক সুকৃতির ওজনে একে মাপা যায় না”। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা জ্ঞান বিতরণ করেন তাদেরকে বলা হয় অধ্যাপক এবং যারা জ্ঞান সৃষ্টির সাথে জড়িত তারা গবেষক নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাধারণত বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য, সমাজতত্ত্ব, আইন, কৃষি, চারুকলা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি অনুষদে বিভক্ত হয়ে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে যার অর্থ হলো ডিগ্রী প্রদান কারি প্রতিষ্ঠান এবং একটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত অনেক ব্যক্তি। এখানে মূলত ছাত্র এবং শিক্ষকদের সম্মিলিত একটি অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মরক্কোর ফেজে গড়ে ওঠা আলকারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় । এটি ইউনেস্কো এবং গ্রিনিস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।

আরো পড়ুনঃ  কৃষি উদ্যোক্তা – রচনা (২০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মাত্র ছয় ৬ টি। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিক্ষা বিস্তারের অনেক সুযোগ। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে ১0৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন অনুষদ এবং এই অনুষদে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুপাতে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় আসতে হয় এরপর মেধা তালিকা অনুযায়ী নিজের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।মানুষের জ্ঞান চর্চা এবং বুদ্ধি ও চিন্তা বিকাশের একমাত্র মাধ্যম হলো বিশ্ববিদ্যালয় কারণ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনকে সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে।

শেষ কথা

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো একটি গবেষণা কেন্দ্র যেখানে গবেষণার পর সেখান থেকে আমরা অনেক ভালো কিছু পেয়ে থাকি এবং এগুলো আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে আমাদের জীবনকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।