আমাদের দেহের উপরিভাগে অবস্থিত বিভিন্ন জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যে সংবেদন সৃষ্টি হয়, তাকে বিশেষ সংবেদন বা ইন্দ্রিয় সংবেদন বলে। আমাদের পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয় হল—চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বক| এদের মধ্যে যেকোনাে একটি উদ্দীপিত হলে এবং সেই উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছোলে যে সংবেদন সৃষ্টি হয়, তাকে ইন্দ্রিয় সংবেদন বা বিশেষ সংবেদন বলে। পাঁচটি ইন্দ্রিয় থেকে পাঁচ ধরনের সংবেদন সৃষ্টি হয়। যেমন—চোখ থেকে দৃষ্টিগত সংবেদন, কান থেকে শ্রবণগত সংবেদন, নাক থেকে ঘ্রাণগত সংবেদন, জিভ থেকে স্বাদগত সংবেদন এবং ত্বক থেকে স্পর্শগত সংবেদন।

(১) বাহ্য উদ্দীপকের কারণে সৃষ্ট: দেহের উপরিভাগে অবস্থিত বিভিন্ন ইন্দ্রিয় (চোখ, কান, নাক, জিভ ও ত্বক) বিভিন্ন ধরনের সংবেদন সৃষ্টি করে। এরূপ সংবেদন বাহ্য উদ্দীপকের সংস্পর্শে উৎপন্ন হয়।

(২) বস্তুর গুণ সম্বন্ধে ধারণা দান: এর ফলে বহির্জগতের বিভিন্ন বস্তুর গুণগুলি সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মায়।

(৩) অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট সংবেদন: ইন্দ্রিয় সংবেদন দৈহিক সংবেদনের তুলনায় স্পষ্ট। উদ্দীপক কোন্ অবস্থান থেকে আমাদের ইন্দ্রিয়ের ওপর ক্রিয়া করছে তা এই সংবেদন স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে।

(৪) গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য বিদ্যমান: এই সংবেদনে গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য থাকায় একটাকে আর-একটা থেকে সহজেই পৃথক করা যায়। যেমন—দেখা বা শােনা এবং তীব্র আলাে অথবা মৃদু আলাে।