মানবসমাজের ক্রমবিকাশের ধারাকে সামাজিক ও আর্থনীতিক বিকাশের মান অনুযায়ী কতকগুলি স্তর বা পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। সমাজের আর্থনীতিক কাঠামো ও তার উপরের গঠনবিন্যাস অনুসারে মানবসমাজের প্রগতিকে পাঁচটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয় :
-
(ক) আদিম সমাজ,
-
(খ) দাস সমাজ,
-
(গ) সামন্ত সমাজ,
-
(ঘ) ধনতান্ত্রিক সমাজ ও
-
(ঙ) সমাজতান্ত্রিক সমাজ।
প্রতিটি সমাজব্যবস্থায় অধিকারের ধারণা ও প্রকৃতি প্রচলিত উৎপাদন-সম্পর্কের ভিত্তিতেই স্থিরীকৃত হয়। অধিকার যেমন একটি সামাজিক ধারণা, তেমনি মার্কসীয় মতবাদ অনুসারে তা সমাজের আর্থনীতিক ব্যবস্থার উপরও নির্ভরশীল। অধিকার সামাজিক অবস্থার আপেক্ষিক। সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থাই হল মূল ভিত্তি বা বনিয়াদ। এই বনিয়াদ বা বাস্তব ভিত্তির উপর ধর্ম, নীতি, আইন, রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি সামাজিক, রাজনীতিক ও আইনগত উপরি-কাঠামো বা ইমারত গড়ে ওঠে। এই সামাজিক ও আর্থনীতিক কাঠামোর উপর অধিকারও নির্ভরশীল। সমাজের আর্থনীতিক কাঠামো বা উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে অধিকারের প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয়। এই কারণে বিভিন্ন যুগে ও বিভিন্ন সমাজব্যবস্থায় অধিকার বিভিন্ন রকমের হয়েছে। মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে শ্রেণীবিভক্ত সমাজের অধিকার শ্রেণীস্বার্থ নিরপেক্ষ হতে পারে না। বৈষম্যমূলক সমাজে অধিকার বলতে মুষ্টিমেয় শাসকশ্রেণীর অধিকারকেই বোঝায়। এরূপ সমাজব্যবস্থায় আর্থনীতিক সুবিধাভোগী শ্রেণীই রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্বের অধিকারী হয় এবং সেই সুবাদে তারাই বিশেষ সুযোগ-সুবিধা বা অধিকার ভোগ করে। কেবল শ্রেণীহীন, শোষণশূন্য বা সমাজতান্ত্রিক সমাজেই সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার বা জনগণের অধিকার সৃষ্টি হতে পারে।
(ক) আদিম সাম্যবাদী সমাজে অধিকারের প্রকৃতি:
আদিম সমাজে উৎপাদনের সকল উপাদানের উপর সকলের সামগ্রিক মালিকানা ছিল। শ্রমশক্তিই ছিল উৎপাদনের মূল উপাদান। সকলে একসঙ্গে কাজ করত এবং উৎপাদিত সামগ্রী সকলে সমানভাবে ভোগ করত। সামাজিক প্রগতির এই পর্যায়ে আর্থনীতিক অসাম্য, শ্রেণীভেদ বা শ্রেণী-শোষণ ছিল না। এর ফলে আদিম সমাজে সকলেই ছিল সমানাধিকারসম্পন্ন। শাসক ও শাসিত বা শোষক ও শোষিত সমাজে এরকম কোন ভেদাভেদ না থাকায় অধিকারভোগী এবং অধিকারহীন এরূপ কোন বৈষম্য ছিল না। নারী-পুরুষ সমমর্যাদার অধিকারী ছিল। বস্তুত আদিম সমাজব্যবস্থায় কোন প্রকার অসাম্য ছিল না। তাই একে আদিম সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা বলা হয়।
(খ) দাস-সমাজে অধিকারের প্রকৃতি:
দাস-সমাজে দাস সমেত সকল উৎপাদন উপাদান এবং উৎপন্ন সামগ্রীর মালিক হল দাস প্রভুরা। দাস-সমাজে ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব হয়। দাস-সমাজ দাস-মালিক ও দাস বা শোষক ও শোষিত এই দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত। দাস-সমাজেই শ্রেণী-শাসন ও শ্রেণী-শোষণের সূত্রপাত ঘটে। দাস-মালিকগণ দাসদের মানুষ বলে গণ্য করত না; ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে তাদের যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করত। সুতরাং এই দাসদের কোন প্রকার অধিকারের কোন প্রশ্নই উঠে না। আর্থনীতিক, রাজনীতিক, সামাজিক প্রভৃতি সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ছিল দাস-প্রভুদের একচেটিয়া বিষয়। দাস-সমাজব্যবস্থাতেই শ্রেণী-শোষণের যন্ত্র রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। এই রাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য হল দাস-সমাজের উৎপাদন সম্পর্ককে বজায় রাখা। অর্থাৎ দাস প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। আর্থনীতিক সুবিধাভোগী শ্রেণী হিসাবে দাস-মালিকরাই কেবল রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করত। তাই রাষ্ট্র কেবল দাস-মালিকদের স্বার্থ রক্ষা ও চাহিদা পূরণের উপযোগী আইন ও অধিকার সৃষ্টি ও প্রয়োগ করত। সংক্ষেপে আর্থনীতিক সুবিধাভোগী শ্রেণী হিসাবে দাস-মালিকরাই রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্বের অধিকারী হত এবং তারাই কেবল বিশেষ সুযোগ-সুবিধা বা অধিকার ভোগ করত।
(গ) সামন্ত-সমাজে অধিকারের প্রকৃতি:
সামন্ত সমাজে কৃষকই হল প্রধান উৎপাদন শক্তি। কিন্তু কৃষকগণ সামন্তপ্রভু বা জমিদারদের উপর নির্ভরশীল। সমাজ বিবর্তনের এই পর্বে সমাজ ভূ-স্বামী ও ভূমিদাস এই দুই পরস্পর-বিরোধী শ্রেণীতে বিভক্ত। এই সমাজে বিপুল সংখ্যক কৃষক-ভূমিদাস মুষ্টিমেয় সামস্তপ্রভুদের দ্বারা শোষিত হয়। উৎপাদন-উপাদান এবং উৎপন্ন সামগ্রীর মালিকানা সামন্তপ্রভুদের হাতেই থাকে। কৃষক ভূমিদাসের উপর শাসন ও শোষণ বজায় রাখার জন্য সামন্তপ্রভুরা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। রাষ্ট্র-শক্তি সামন্তপ্রভুদের স্বার্থেই পরিচালিত হয়। রাষ্ট্র-শক্তির কল্যাণে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বা অধিকার কেবল মুষ্টিমেয় সামন্তপ্রভুরাই ভোগ করত; সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূমিদাস বা সাধারণ মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। তবে উৎপাদনের উপর কৃষকদের আংশিক মালিকানা স্বীকৃত ছিল। এই পর্যায়ে শাসক বা রাজাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবে ঘোষণা করে জনগণের নিঃশর্ত ও অখণ্ড আনুগত্য লাভের ব্যবস্থা করা হয়। সুতরাং সামত্ত সমাজের আর্থনীতিক ক্ষমতাসম্পন্ন অভিজাত সামন্তরাই হল রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্বের অধিকারী এবং সেই সুবাদে যাবতীয় অধিকারের অধিকারী। প্রসঙ্গক্রমে উদাহরণ হিসাবে ১২১৫ সালের ‘মহাসনদ’ (Magna Carta) এবং ১৬১৮ সালের ‘অধিকারের আবেদন পত্র’ (Petition of Rights) প্রভৃতি অধিকার বিষয়ক দলিলপত্রের কথা বলা যায়। ইংল্যাণ্ডের সামন্তপ্রভুরা ১২১৫ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে রুনীমিড নামক একটি জায়গায় মিলিত হয় এবং রাজা জনের কাছে তাদের অধিকারের দাবিপত্র পেশ করে। একেই মহাসনদ বলে। মহাসনদের মাধ্যমে চরম রাজশক্তির ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়েছে এবং সামস্তশ্রেণী ও যাজক সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার উপযোগী কতকগুলি অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তাই মহাসনদকে জনগণের অধিকারের সনদ বলা যায় না।
(ঘ) ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অধিকারের প্রকৃতি:
বস্তুত শিল্প-বিপ্লবের পরই ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদের সাড়ম্বর আবির্ভাব ঘটে। ইউরোপের রেনেসাঁ ও রিফরমেশন সামাজিক, রাজনীতিক ও আর্থনীতিক ক্ষেত্রে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করে। এই সময় সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার শ্লোগান রাজনীতিক চিন্তাজগতে গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার সূত্রপাত করে। ঈশ্বরীয় মহিমায় মণ্ডিত স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নেতৃত্বে জনগণের গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া বা সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফরাসী বিপ্লব ও আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। রুশো, ভল্টেয়ার প্রমুখ দার্শনিক জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সময় এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। রুশো জনগণের সার্বভৌমিকতা ও স্বাভাবিক অধিকারের তত্ত্ব প্রচার করেছেন। বস্তুত সমাজ বিবর্তনের এই পুঁজিবাদী পর্বেই জনগণের অনুকূলে কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ধনতান্ত্রিক দেশসমূহে সাধারণভাবে যে সকল মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি ও প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয় তাদের মধ্যে জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, ধর্মাচরণের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষার অধিকার, চুক্তির অধিকার, ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়ার অধিকার, সরকারী চাকরি লাভের অধিকার, আবেদন করার অধিকার প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মূলত সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকার: ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বীকৃত অধিকারগুলি পর্যালোচনা করলে এ কথা স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে এই অধিকারগুলির প্রকৃতি মূলত সামাজিক ও রাজনীতিক। সামাজিক প্রগতির এই পর্যায়ে জনগণের আর্থনীতিক অধিকার স্বীকৃত হতে দেখা যায় না। কর্মের অধিকার, উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অধিকার, অবকাশ যাপনের অধিকার, বার্ধক্য ও অক্ষম অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ভরণ-পোষণের অধিকার প্রভৃতি আর্থনীতিক অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত থাকে। অথচ সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন আর্থনীতিক অধিকারের স্বীকৃতি ব্যতীত অসম্ভব। ফলে কার্যতঃ ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারগুলিও তত্ত্বসর্বস্ব ও মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তা ছাড়া ধনবৈষম্যমূলক ধনতন্ত্রে পুঁজিপতিরাই হল আর্থনীতিক সুবিধাভোগী শ্রেণী। এই শ্রেণীর স্বার্থেই রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্ব কার্যকরী হয়। আপাত দৃষ্টিতে শ্রমিক সম্প্রদায় মুক্ত ও স্বাধীন হলেও সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় জীবনধারণের জন্য তারা পুঁজিপতিদের কাছে কম বেতনে শ্রমশক্তি বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। ধনবৈষম্যমূলক এই অবস্থায় আপাত দৃষ্টিতে স্বীকৃত অধিকারগুলি জনসাধারণের কাছে অলীক প্রতিপন্ন হয়। রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্বের উপর নিয়ন্ত্রণের সুবাদে বস্তুত পুঁজিপতিরাই যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।
(ঙ) সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা:
সমাজতন্ত্র হল ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা থেকে সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থায় উত্তরণের একটি অন্তর্বর্তী পর্যায়। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় উৎপাদন-উপাদানগুলির উপর ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তিগত সম্পত্তির উচ্ছেদ করে সমাজের সম্পদ সামগ্রীর ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের মাধ্যমে সমষ্টির সামগ্রিক কল্যাণ সাধনই সমাজতন্ত্রের উদ্দেশ্য। সমষ্টির স্বার্থেই উৎপাদন-ব্যবস্থা ও শিল্প-বাণিজ্য রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত হয়। এখানে কোন পরশ্রমভোগী শোষক শ্রেণী থাকে না। পরিকল্পিত অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের ধনসম্পদের ন্যায্য বণ্টন, প্রত্যেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, আয় ও ধনবৈষম্য হ্রাস, সর্বপ্রকার শোষণের অবলুপ্তি প্রভৃতি হল সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার লক্ষ্য। এইভাবে সমাজতন্ত্রে সামাজিক ও আর্থনীতিক ক্ষেত্রে সাম্য ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারের সঙ্গে আর্থনীতিক অধিকারের স্বীকৃতি: সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারের সঙ্গে আর্থনীতিক অধিকারও স্বীকৃত হয়। শুধু তাই নয়, আর্থনীতিক অধিকারসমূহকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মত সমাজতান্ত্রিক দেশে স্বীকৃত জনগণের অধিকারগুলি পর্যালোচনা করলে এই সত্য সহজেই উপলব্ধি করা যায়। এই সকল দেশে জনগণ যে সকল অধিকার ভোগ করে তার মধ্যে কর্মের অধিকার, অবকাশ যাপনের অধিকার, বার্ধক্য ও অক্ষম অবস্থায় রাষ্ট্র কর্তৃক ভরণ-পোষণের অধিকার প্রভৃতি আর্থনীতিক অধিকারই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বৈশিষ্ট্যযুক্ত। আর্থনীতিক সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এর উদ্দেশ্য। তা ছাড়া অন্যান্য সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকারও সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে প্রদান করা হয়। এবং ধনবৈষম্য ও শ্রেণীবৈষম্য না থাকায় জনগণ অধিকারগুলি ভোগ করার অনুকূল অবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রনৈতিক কর্তৃত্ব জনস্বার্থের অনুবর্তী হয়।
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুপন্থী অধিকার: তবে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অধিকারসমূহ ভোগের ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্য পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক আর্থনীতিক কাঠামোর পরিপূরক হিসাবেই অধিকার সমূহের সৃষ্টি হয়। অধিকার এমন হতে পারে না বা এমনভাবে ভোগ করা যায় না যা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ও আর্থনীতিক কাঠামোর পরিপন্থী হতে পারে। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে গঠিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও আর্থনীতিক কাঠামোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতি বজায় রেখে অধিকারগুলি ভোগ করতে হয়।
Leave a comment