মতপার্থক্য: বিপ্লবের সঙ্গে হিংসার সম্পর্ক এক বিতর্কিত বিষয়ে পর্যবসিত হয়েছে। এই বিতর্ক বুর্জোয়া তাত্ত্বিকদের সঙ্গে মার্কসবাদীদের মধ্যে আছে। তাছাড়া মার্কসবাদী মহলের মধ্যে মার্কসবাদী ও শোষণবাদীদের মধ্যেও এই বিতর্ক বর্তমান। এই বিতর্কের উৎস বিপ্লব সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ও তার ঐতিহাসিক অবশ্যম্ভাবিকতা সম্পর্কিত মতপার্থক্যের মধ্যেই নিহিত আছে। বিপ্লব ও হিংসার পারস্পরিক সম্পর্ক বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল।
বুর্জোয়া ধারণা: বুর্জোয়া তাত্ত্বিকেরা বিপ্লবকে হিংসার সমার্থক বলে গণ্য করেন। তাঁদের অভিমত অনুসারে বিপ্লব ও হিংসা ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত। বলপ্রয়োগ ও হিংসাত্মক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই হল বিপ্লব। বুর্জোয়া তাত্ত্বিকদের কাছে বিপ্লর এবং হিংসা এক রকম জৈবিক প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ থাকে। আপথেকারের মতনুসারে বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত একটি সর্বাধিক প্রচলিত প্রবণতা হল একে হিংসার সঙ্গে সমগোত্রীয় বলে প্রতিপন্ন করা। আপথেকার বলেছেন: “Probably the single most common stereontype in connectionwith revolution is to equate it with violence.” তাঁদের মতে হিংসা গণতন্ত্রের বিপরীত প্রক্রিয়া। সুতরাং সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন হল জীবনযাত্রার ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী এক অ-গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এই কারণে এটি নিন্দনীয়, ক্ষতিকর ও অকাম্য। অন্যদিকে শোধনবাদীরা বিপ্লবের সঙ্গে হিংসার সম্পর্ককে শিথিল বলে মনে করেন। এই কারণে সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে হিংসার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বকে তার অস্বীকার করেন।
মার্কসীয় ধারণা: মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে হিংসা ও বিপ্লব পরস্পর ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত নয়। মার্কসবাদীরা বিপ্লব ও হিংসার আংশিক সম্পর্কের ধারণাকে স্বীকার করেন না। ঐতিহাসিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা ছাড়া তাঁরা বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ায় হিংসার অনিবার্যতার কথা বলেন না। মার্কসবাদীদের অভিমত অনুসারে বুর্জোয়া তাত্ত্বিকরাই হিংসা ও বিপ্লবকে সমার্থক হিসাবে প্রতিপন্ন করেন। এর উদ্দেশ্য হল বৈপ্লবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে অকারণ আতঙ্ক ও ভীতির সঞ্চার করা। মার্কসবাদীদের মতানুসারে হিংসা ও বিপ্লবের সম্পর্ক কতকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। বিষয়গুলি হল বৈপ্লবিক পরিস্থিতি, শোষক শাসকশ্রেণীর দৃষ্টিভঙ্গি ও এই শ্রেণীর গঠনমূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের ক্ষমতা।
আপথেকারের অভিমত – বিপ্লব ও হিংসার মধ্যে অচ্ছেদ্য সম্পর্ক নেই: The Nature of Democracy, Freedom and Revolution শীর্ষক গ্রন্থে হার্বার্ট আপথেকার নিজের মতাদর্শগত অবস্থান অনুসারে বিপ্লবের সঙ্গে হিংসার সম্পর্ক বিষয়ক মার্কসীয় ধারণাকে ব্যাখ্যা করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক ও প্রণিধানযোগ্য। (১) আপথেকার মনে করেন মার্কস বা মার্কসবাদীরা নয় বরং বুর্জোয়া তাত্ত্বিকেরা হিংসাকে বিপ্লবের সমার্থক বলে মনে করেন। আপথেকারের মতে উভয়ের মধ্যে কোন অচ্ছেদ্য সম্পর্ক নেই। বিপ্লবের প্রকৃতি ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে হিংসাকে অভিন্ন করে দেখা অর্থহীন। বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ায় হিংসা দেখা দিতে পারে; আবার নাও দেখা দিতে পারে। আপথেকার বলেছেন: “…..the equating of violence with the nature and process of revolution is not correct. Violence may or may not appear in such a process, and its presence or absence is not a determining feature of the definition.” আপথেকার আরও বলেছেন: “We conclude, therefore, that violence is not an organic part of the definition of the process of revolution, and that the conventional presentation which equates violence with revolution is false.” মার্কস অবশ্য বলেছিলেন যে “নতুন সমাজের গর্ভধারী প্রত্যেক পুরাতন সমাজেরই ধাত্রী হল শক্তি” (“force is the midwife of every old society which is pregnant with the new.”)। আপথেকারের মতে এটা নেহাতই একটা ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ, কোনপ্রকার ওকালতি নয়। মার্কস লক্ষ্য করেছিলেন যে, বিপ্লব হিসাবে চিহ্নিত করা যায় এমন কোন সামাজিক পরিবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে ঘটেনি।
(২) জবাৰী হিংসা: হিংসার জন্মদাতা হল প্রতি-বিপ্লব, বিপ্লব নয়। শোষক শাসক শ্রেণীই হিংসার জন্মদাতা। বিরোধী বিপ্লবী শক্তিকে দমন করে পুরাতন শাসক শ্রেণী হিংসাত্মক পথে শোষণকে অব্যাহত রাখতে চায়। প্রতিক্রিয়া, হিংসা ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে বৈপ্লবিক আন্দোলনকে প্রতিহত করতে প্রয়াসী হয়। তার প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই হিংসাত্মক পথের উৎস নিহিত থাকে। এভাবে বিপ্লবের সঙ্গে হিংসা জড়িত হয়। আপথেকার উল্লেখ করেছেন যে, হিংসার উৎস নিহিত আছে প্রতিক্রিয়ার মধ্যে। প্রতিটি হিংসাত্মক বিপ্লবের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে নিজেদের অন্তরণের আশঙ্কায় আতঙ্কিত শোষক শ্রেণী ও শক্তিসমূহ, বিপ্লবী মুক্তিকামী শ্রেণী ও শক্তিসমূহকে সহিংস নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের নিজেদের অন্তরণকে স্থগিত রাখতে চেষ্টা করে। এর জবাবে বিপ্লবী শ্রেণী ও শক্তিসমূহ প্রতিরোধ সংগঠিত করে। এইরকম পরিস্থিতিতে নিপীড়িত শ্রেণী ও শক্তিসমূহ হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু এই হিংসা হল জবাবী বা প্রতিরোধমূলক হিংসা (retaliatory violence)। আপথেকার বিষয়টিকে উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতানুসারে এভাবেই ‘আমেরিকান বিপ্লব’-এ (আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ) এবং স্পেন, জার্মানী ও ইতালীতে ফ্যাসীবাদী আন্দোলনে বিপ্লবী শ্রেণী ও শক্তিসমূহ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহের কাছ থেকে আগত হিংসাকে প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে প্রতিরোধমূলক হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
আপথেকারের মত: আপথেকারের অভিমত অনুসারে বিপ্লবী পরিণতির সঙ্গে হিংসা জড়িত হয়ে পড়তে পারে। সামাজিক বিকাশের জন্য পুরাতন যে শ্রেণীটি উৎসাদনের সম্মুখীন হয় তারা নিজেদের অন্তরণকে স্থগিত রাখার জন্য তাদের বিরোধী শ্রেণী ও শক্তিগুলির বিরুদ্ধে সহিংস নিপীড়নের পথ অবলম্বন করে। যেখানে হিংসার সৃষ্টি হয়, সেখানে তার উৎস নিহিত থাকে প্রতিক্রিয়ার মধ্যে। আপথেকার বলেছেন: “…where violence has accompanied revolutionary culmination, it has appeared because the old class, facing elimination due to social development, has chosen to postpone its intermment by restoring to the violent suppression of the challenging classes and forces. The source of the violence, when it appears, is in reaction; it is in response to that challenge that resistance may be offered and if such resistance is successful then the revolutionary process may come to fruition.” এই আলোচনার শেষের দিকে আপথেকার অনুরূপ অভিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতানুসারে বৈপ্লবিক রূপান্তরের সঙ্গে হিংসা যখন জড়িয়ে পড়ে, প্রতিক্রিয়ার শক্তি থেকেই তখন তার উদ্ভব হয় এবং অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়। আপৃথেকার বলেছেন: “…where violence does accompany revolutionary transformation, it owes its origin and takes its impulse form the forces of reaction which seek to drown the future in blood.”
(৩) ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষমতাই গুরুত্বপূর্ণ: বিপ্লবে হিংসার আবির্ভাব নির্ভর করে তাকে ব্যবহারের ক্ষমতার উপর; তা ব্যবহারের ইচ্ছার উপর নয়। আপৃথেকারের অভিমত অনুসারে হিংসার উৎস প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বর্তমান। সুতরাং হিংসা দেখা দেবে কিনা তা তার ব্যবহারের অভিপ্রায়ের উপর ততটা নির্ভর করে না। এ ক্ষেত্রে তাকে ব্যবহারের ক্ষমতাই হল গুরুত্বপূর্ণ। আপথেকার বলেছেন: “Since the source of violence rests with reaction, whether or not it will appear depends not so much upon the will to use it but rather upon the capacity to use it.” আপথেকার প্রদত্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক আন্দোলনের উদাহরণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ৩০ বছর আগে, যে-কোন ধরনের শ্রমিক আন্দোলনের উপর পুলিশ, গুণ্ডা বা মালিকদের গুণ্ডা বাহিনীর হিংস্র হামলা ছিল অবধারিত। কিন্তু এখন শ্রমিক ধর্মঘটগুলির সঙ্গে হিংসার সুযোগ বিরল। এর কারণ এইসব শক্তিসমূহের হৃদয়ের পরিবর্তন নয়, এর কারণ হল সংগঠিত শ্রম ও পুঁজির মুখোমুখি শক্তিসমূহের সম্পর্কের পরিবর্তন। এছাড়া অন্য কারণ হল শ্রেণী সহযোগিতাবাদের বিকাশ। অর্থাৎ আগের মতই শ্রমিক আন্দোলনের উপর ক্ষমতা প্রয়োগের ইচ্ছা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহের অটুট আছে। কিন্তু আজকের পুনর্বিন্যস্ত সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সমস্ত শক্তিসমূহের একই ক্ষমতা প্রয়োগের সামর্থ্য আর নেই। আপথেকার বলেছেন: “The change in this matter in our time is not due of the development of tender hearts among the police or among the bosses. The change is due, basically, to the alternation in the relationship of forces vis-a-vis organized labor and capital….”
(৪) বিষয়টি রণকৌশলগত: আপথেকার মনে করেন মার্কসবাদীদের কাছে বিপ্লবে হিংসার আশ্রয় গ্রহণের প্রশ্নটি নৈতিক বা রণনীতিগত (strategical) নয়। এ হল সম্পূর্ণভাবে রণকৌশলগত (tactical)। এই কারণে ভিন্ন ভিন্ন সময় এবং পটভূমিতে সমাজতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে বিভিন্ন মূল্যায়ন করতে হয়েছে। ঊনিশ শতকের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট বিটেন ও হল্যাণ্ড সম্পর্কে মার্কস এই ধরনের আশা ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে এবং তীব্র সামরিকীকারণের সময় লেনিন জোরালভাবে এই সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেন। আবার রুশ বিপ্লবের প্রক্রিয়ায় লেনিন বিভিন্ন সময়ে কখনো শান্তিপূর্ণ এবং কখনো হিংসাত্মক সম্ভাবনাকে স্বীকার করেছেন। লেনিন ফেব্রুয়ারী বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবের পর থেকে ৭ই এপ্রিল, ১৯১৭ এপ্রিল থিসিসের রচনা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ উত্তরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কিন্তু কেরেনেক্সি সরকার গণবিক্ষোভগুলিকে হিংস্রভাবে দমন করলে, লেনিন ২১ এপ্রিল, ১৯১৭ প্রতিক্রিয়াশীল হিংসাকে বলপূর্বক প্রতিরোধ করার কথা বলেন।
আপথেকারের অভিমতের সমালোচনা: উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতিপন্ন হয় যে হার্বার্ট আপথেকার সুনির্দিষ্ট জাতীয় পরিস্থিতিতে মার্কসবাদীদের মূল্যায়ন এবং হিংসা ও বিপ্লবের পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ে সাধারণ বক্তব্যকে কতকাংশে গুলিয়ে ফেলেছেন। মার্কস, লেনিন এবং এঙ্গেলস্ কোন বিশেষ সামাজিক ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলোর কাছ থেকে ক্ষমতা লাভের সম্ভাবনা লক্ষ্য করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের সাধারণ ধারণা ছিল এই যে হিংসা বিপ্লবের সমার্থক না হলেও তার সঙ্গী।
সর্বহারার একনায়কত্বের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না: শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের সম্ভাবনার উপর মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপের অনিবার্য অনুসিদ্ধান্ত হল সর্বহারার একনায়কত্বের প্রয়োজনীয়তাকে শিথিল করে দেখা। সর্বহারার একনায়কত্বের অধীনে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের প্রসঙ্গে মার্কস ও এঙ্গেলস কমিউনিস্ট দলের ইস্তাহারে বলেছেন: “শুরুতে অবশ্যই সম্পত্তির অধিকার এবং বুর্জোয়া উৎপাদন পরিস্থিতির ওপর স্বৈরাচারী আক্রমণ ছাড়া একাজ সম্পন্ন হতে পারে না….।” শোধনবাদীদের বিরুদ্ধে বিতর্কে মার্কস ও এঙ্গেলসের এই মৌল বক্তব্যকে পুনরুদ্ধার করেছেন লেনিন তাঁর The State and Revolution শীর্ষক রচনায়। এ প্রসঙ্গে লেনিন এঙ্গেলস্-এর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করেছেন। এঙ্গেলস্ বলেছেন: “…that force, however, plays yet another role (other than that of a diabolical power) in history, a revolutionary role, that, in the words of Marx; it is the midwife of every old society which is pregnant with a new one that it is the instrument with which social movement forces its way through and shelters the dead fossilised political forms….” এই মৌল মার্কসবাদী অবস্থানকে লেনিন সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন: “The suppression of the bourgeois state by the proletarian state is impossible without a violent revolution.”
শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব নয়: আপথেকার নিজেই বলেছেন যে বিপ্লব হল ‘এক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া’। শোষক শ্রেণীগুলির কাছ থেকে ক্ষমতা দখল ও সমাজতন্ত্রে উত্তরণ উভয়ই হল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোন বিশেষ জাতীয় ও ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতে ক্ষমতা দখল সম্ভব হলেও হতে পারে। কিন্তু সমাজতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব নয়। প্রকৃত প্রস্তাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতন্ত্রে উত্তরণের কথা বলার প্রকৃত অর্থ হল সর্বহারা শ্রেণীর একনায়কত্বের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করা। এরই যুক্তিসম্মত পরিণতি হল ‘সমগ্র জনগণের রাষ্ট্র তত্ত্বে অবিচল আস্থা।
Leave a comment