বিপর্যয় কবলিত মানুষদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য এবং তাদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব বিপর্যয় পরবর্তী ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা হয় সেগুলি আলােচনা করা হল一

পূনর্বাসন ও পুনর্গঠন : বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষদের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। নতুন করে তাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং বিপর্যস্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট নির্মাণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিভিন্ন পরিসেবা যত দ্রুত সম্ভব বিপর্যয় কবলিত এলাকায় কার্যকরি করা উচিত। এই বিপর্যয়ের মােকাবিলায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংগঠন; বিশ্বব্যাঙ্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে যা খুবই প্রশংসনীয়। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা একটি চক্রের মাধ্যমে দেখানাে হল। যাকে Disaster Management Cycle বলে।

জাতীয় নীতি অবলম্বন : দুর্যোগ ও বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে যেসব জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হয় সেগুলি হল—

  • যে-কোনাে বিপর্যয়ের সময় দ্রুত উদ্ধার কার্য এবং ত্রাণ সামগ্রী পাঠানাে।

  • বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানাে এবং সামাজিক ঐক্যমত গড়ে তােলা।

  • প্রতিবিধান মূলক ব্যবস্থাগ্রহণ।

  • মানুষ ও সম্পদের উন্নয়ন।

  • জনশিক্ষা বৃদ্ধি ও মানুষের বিপর্যয় মােকাবিলায় অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা।

  • পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামস্তরে বিপর্যয় মােকাবিলা পদ্ধতি প্রয়ােগ করা।

  • বিভিন্ন গবেষণায় সাহায্য করা।

রোগ প্রতিরোধী স্বাস্থ্য পরিসেবা : বিপর্যয়ের পরবর্তী পর্যায় আহত মানুষদের এবং আরও পরে রােগ প্রতিরােধ করার জন্য এক সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়ােজন। রােগ প্রতিরােধী স্বাস্থ্য পরিসেবার দ্বারা বিপর্যয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ করা যেতে পারে।

কার্যকরী পুষ্টির সংস্থান : বিপর্যয়ের পরবর্তী সময়ে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির ফলে মানুষের খাবারের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। তাই অনেক সময় প্রয়ােজনীয় খাদ্যের অভাব দেখা যায়। তাই উপযুক্ত কার্যকরী পুষ্টির সংস্থান যাতে হয় তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত।

সংক্রমণ নিবারণ : বিপর্যয়ের পরবর্তী অবস্থায় মৃত জীবজন্তুর দেহ পচে যায় এবং উক্ত এলাকায় তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই সংক্রমণ নিবারণের দিকে লক্ষ রাখা উচিত।

মহামারি প্রতিরোধ : বিপর্যয়ের পরবর্তী সময়ে কোনাে মহামারি যাতে ছড়াতে না পারে তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত এবং প্রয়ােজনে তা শক্ত হাতে তা প্রতিরােধ করা উচিত।