বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।

আরমান : এসাে মনির, ভেতরে এসাে। কেমন আছ? 

মনির : ভালাে। তুমি কেমন আছ? 

আরমান : আমিও ভালাে। তবে দেখতেই পাচ্ছ, বিদ্যুৎবিহীন ঘরে মােমবাতি জ্বেলে বসে আছি। 

মনির : হ্যা, তা তাে দেখতেই পাচ্ছি। আমাদের এলাকাতেও এখন বিদ্যুৎ নেই। ভাবলাম, তােমার বাসায় বিদ্যুৎ থাকতে পারে তাই এদিকে চলে এলাম। 

আরমান : দুর্ভাগ্য দুজনেরই। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। লেখাপড়া শিকেয় উঠতে চলেছে। 

মনির : আর বলাে না। পরীক্ষার্থীদের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। 

আরমান : পরীক্ষার্থী হিসেবে আমার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনবে? 

মনির : হ্যা, বলল, শুনি।

আরমান : গত মাসে আমাদের কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল অঝাের ধারায়। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল। আমরা হতভম্ব হয়ে গেলাম। 

মনির : তারপর? 

আরমান : তারপর আর কী? ‘হল’ ঘর অন্ধকার হয়ে গেল। বন্ধ হয়ে গেল লেখা। 

মনির : কোনাে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয় নি? 

আরমান : বিকল্প ব্যবস্থা বলতে কর্তৃপক্ষ মােমবাতি সংগ্রহ করে জ্বালিয়ে দেয়। দইয়ের স্বাদ কি ঘােলে মেটে! পরীক্ষার ফল ভালাে হয়নি। 

মমির : আসলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট জীবনের সকল কাজকেই বিপর্যস্ত করে। 

আরমান : বিশেষ করে হাসপাতালে রােগীদের দুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। 

মনির : আমাদের মতাে দরিদ্র দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার করা কঠিন। 

আরমান : সরকারের উচিত নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এবং অবৈধ সংযােগ বিচ্ছিন্ন করে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। 

মনির : আমিও মনে করি, এ ব্যাপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

আরমান : ঠিক বলেছ বন্ধু। তােমাকে ধন্যবাদ।

মনির : তােমাকেও ধন্যবাদ।