(১) সামাজিক বিকাশে অসম্পূর্ণতা: বিদ্যালয়ের একটি সমাজকেন্দ্রিক দায়িত্ব হল শিক্ষার্থীদের সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা।
(২) ব্যয়বহূল শিক্ষা: বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই বহু শিক্ষার্থী দারিদ্র্যের কারণে এই শিক্ষায় অংশ নিতে পারে না।
(৩) যান্ত্রিক শিক্ষাপদ্ধতি: বিদ্যালয়ের পুথিকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীকে সমাজজীবনের সঙ্গে ঠিকমতাে যুক্ত করতে পারে না। পাঠক্রমের অতিরিক্ত বোঝা এবং একঘেয়ে যান্ত্রিক শিক্ষপপদ্ধতি শিক্ষার্থীকে আনন্দ তাে দেয়ই না, বরং বিদ্যালয়ের প্রতি নিরুৎসাহী করে তােলে।
(৪) পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা: বর্তমানে বিদ্যালয়গুলি অধিক নম্বর পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর এমনই চাপ সৃষ্টি করে যে, শিক্ষার্থী হাঁপিয়ে ওঠে। ফলে ব্যক্তিত্বের অন্যান্য দিক অবহেলিত হয়।
(৫) ব্যক্তিগত বৈষম্য বিবেচিত না হওয়া: বিদ্যালয়ে ব্যক্তিবৈষম্যের নীতিটি অনুসৃত হয় না। ফলে সব শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের শ্রেণিশিক্ষণে সন্তুষ্ট হতে পারে না।
(৬) নির্দিষ্ট সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির অভাব: বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যায়। এই পার্থক্য বিদ্যালয়গুলির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে, যার নেতিবাচক প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরেও পড়ে।
(৭) বিদ্যালয়ের স্বল্পতা: প্রয়ােজন অনুযায়ী যথেষ্ট সংখ্যক বিদ্যালয় স্থাপন করা বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয় না| ফলে। এক একটি বিদ্যালয়ের ওপর অত্যধিক ছাত্রছাত্রীর চাপ অনেকসময় পড়াশােনার সুস্থ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।
(৮) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব: সার্থক এবং কার্যকরী শিক্ষাদানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রয়ােজন। বিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব দেখা যায়।
এই আলােচনা থেকে বােঝা যায় যে দেশ, সমাজ ও গােষ্ঠীর পক্ষে বিদ্যালয় অপরিহার্য হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে অনেক চিন্তাভাবনা চলছে।
Leave a comment