এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের দিকে তাকালে আমরা সর্বক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা দেখতে
পায়। বিভিন্ন পরীক্ষায় আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ
লিখতে আসে। তাই আমি আমার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য  বিজ্ঞানের
অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ লিখেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায়  বিজ্ঞানের
অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

প্রিয় শিক্ষার্থী আমি তোমাদের জন্য  বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ এ
যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তোমরা যদি পরীক্ষায়
এই  বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ লিখো তাহলে আশা করা যায় তোমরা
বেশ ভালো নম্বর পাবে। নিচে  বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ বিস্তারিত
লেখা হলো-

 বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা – অনুচ্ছেদ 

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞানের যুগ। “বি” শব্দের অর্থ হলো বিশেষ “জ্ঞান” শব্দের অর্থ
হলো সম্মুখ ধারণা। অতএব বিজ্ঞান বলতে বোঝানো হয় বিশুদ্ধ জ্ঞান। অর্থাৎ যে জ্ঞান
প্রকৃত সতের অনুসন্ধান করে তাকে বলা হয় বিজ্ঞান। সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে শুরু করে
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন  সাংস্কৃতিক পরি মন্ডল এ বিজ্ঞান বিস্তার লাভ করেছে এবং
এখনো এর অগ্র যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। মূলত বিজ্ঞান কখনোই থেমে থাকেনি।

মানব জন্মের শুরু থেকেই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা রয়েছে। মানুষ ঘর্ষণের মাধ্যমে আগুন
তৈরি করেছে কিন্তু সে জানতো না যে সে একটি নতুন সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। সপ্তদশ
শতাব্দীতে মানুষ বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা করে এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ
জ্ঞানের বিবর্তনকে ও পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের জীবনে এক
মহা আশীর্বাদ এনে দিয়েছে এবং আমাদের জীবনকে করেছে আরামদায়ক ও
স্বাচ্ছন্দ্যময়।

আরো পড়ুনঃ  স্মার্ট বাংলাদেশ – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মানুষ আজ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ
করছে অনায়াসে।পাড়ি জমাচ্ছে সে মহাকাশের বুকে। মহাকাশের নীহারিকা পুঞ্জ আর
রহস্যময় নেই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কারণে।সাবমেরিনে চেপে মানুষ সমুদ্রের অতল
গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনছে মনি মানিক্য। তুষারাবৃত  এভারেস্ট মানুষ বিজয়
করতে সক্ষম হয়েছে এবং উড়িয়েছে নিজ দেশের পতাকা। বিজ্ঞানের অগ্র যাত্রার কারণে
পাড়ি দিচ্ছে মানুষ আজ বিশাল মরুভূমি।

মানুষ এখন মুহূর্তের মধ্যে দুরারোগ্য ব্যাধিকে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছে কারণ
মানুষ আবিষ্কার করেছে লেজার এর প্রয়োগ। বেতার তরঙ্গ আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহারে
ঢুকে পড়ছে। মানুষ ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে। মানুষ
আবিষ্কার করেছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যার কারণে যেকোনো দুরারোগ্য ব্যাধি
মানুষের কাছে আর অচেনা কোন কিছু নয়। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মানুষ আবিষ্কার
করেছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যা আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানে এনে দিয়েছেন নতুন
বিপ্লব।

আরো পড়ুনঃ  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই মানুষ দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে
পারছে। আমাদের প্রত্যহিক জীবনে সব রকমের সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ এনে দিয়েছে
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। কারণ আমাদের শোবার ঘর থেকে শুরু করে রান্নাঘর,পড়ার ঘর,
ক্লাসরুম, অফিস, আদালত সহ সবকিছুতেই লেগেছে বিজ্ঞানের ছোঁয়া। টাইম টেবিল থেকে
টাইপ রাইটার, মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সহ সব কিছুই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার
ফসল।

 বিজ্ঞান আমাদের প্রত্যহিক জীবনে এতই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে যে আমরা বিজ্ঞান
ছাড়া আর কোন কিছুই কল্পনা করতে পারি না। কিন্তু বিজ্ঞানের যেমন অগ্রযাত্রা
রয়েছে বা ভালোর দিক রয়েছে তেমনি মানুষ যদি খারাপ দিকে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে
তাহলে এর ব্যবহার হয়ে ওঠে ধ্বংসাত্মক। কারণ বিজ্ঞানের ভুল ব্যবহার আমাদের
অস্তিত্বকে বিলীন করে দিতে পারে। তাই আমাদের বিজ্ঞানের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক
থাকতে হবে।বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে আমাদের কল্যানার্থে ব্যবহার করতে হবে।

শেষ কথা

বিজ্ঞানের অগ্র যাত্রার কারণে মানুষ আর পিছনের দিকে তাকানোর অবকাশ পায়না। কারণ
বিজ্ঞানের অগ্রগতির পর থেকে বিশ্ব ব্রক্ষাণ্ডের আকার ও পরিধি যেন দিন দিন বেড়েই
চলেছে। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে যেমন বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ছিল এখনো তেমনি আছে
এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।