দুটি ভিন্নধর্মী বায়ুর মিলনের ফলে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
প্রতীপ ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশকে নির্দেশ করে।
শীতল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ স্থলভাগে সাধারণত প্রতীপ ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
সূর্যের উত্তরায়ণকালে ও দক্ষিণায়নকালে ঘূর্ণবাতের অবস্থান ও গতিপথ পরিবর্তিত হয়।
উইলি-উইলি হল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত।
আফ্রিকার গিনি উপকূলে রাত্রিবেলায় প্রবাহিত স্থানীয় বায়ুটির নাম হল—হারমাট্রান।
বরদইছিলা নামক বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি অসমে হয়।
ভূমধ্যসাগরে পশ্চিমি ঝঞ্চা উৎপত্তি লাভ করে।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞা বেশি প্রভাব ফেলে।
উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ শীতল সীমান্ত বরাবর স্থানচ্যুত হয়।
প্রতীপ ঘূর্ণবাতের বাইরের প্রান্তে বায়ুর চাপ কম থাকে।
যে অবস্থায় সমচাপ রেখা ও সমােয় রেখা উল্লম্ব তলে ছেদ করে তাকে ব্যারােক্লিনিক অবস্থা বলে।
সাধারণত ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের উয় সমুদ্রে ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
হ্যাডলি কোশ ০°-30° অক্ষাংশ বরাবর বিস্তৃত।
ডােলড্রাম আন্তঃক্রান্তীয় অভিসারী অঞ্চলকে নির্দেশ করে।
বায়ু যেদিক থেকে প্রবাহিত হয় সেই দিক অনুসারে কোনাে বায়ুর নামকরণ করা হয়।
ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বা অনুভূমিকভাবে বায়ুর চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
বায়ু যখন উল্লম্বভাবে ওপর থেকে নীচে চলাচল করে, তখন তাকে বায়ুস্রোত বলে।
যে বায়ুর আগমন এবং অন্তর্ধান কোনাে বাঁধাধরা নিয়মে ঘটে না, সেই বায়ুকে আকস্মিক বা অনিয়মিত বায়ু বলে।
ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত বায়ুমণ্ডলীয় গােলযােগের অন্যতম উদাহরণ।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে উর্ধ্বগামী ঘূর্ণিবায়ুকে ঘূর্ণবাত বলে।
ঘূর্ণবাতে বায়ু উত্তর গােলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে বা বামবর্তে প্রবাহিত হয়।
ঘূর্ণবাতে বায়ু দক্ষিণ গােলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে বা ডানবর্তে প্রবাহিত হয়।
উভয় গােলার্ধে 30°-35° অক্ষাংশ অঞ্চলে প্রতীপ ঘূর্ণবাত দেখা যায়।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উয়তা 26° সে. থেকে 27 ° সে. হওয়া প্রয়ােজন।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের উৎপত্তির গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলি হল- (i) উয় সমুদ্রপৃষ্ঠ, (ii) কোরিওলিস বল, (iii) দুর্বল নিম্নচাপের উপস্থিতি, (iv) আর্দ্র বায়ুর উপস্থিতি প্রভৃতি।
ব্যারােক্লিনিক আবহাওয়া কথাটির অর্থ হল—দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
ইংরেজি সাইক্লোন শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘Kyklos’ থেকে, যার অর্থ বৃত্তাকারে ঘােরা।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের চক্ষুর চারিদিকে নিম্বোস্ট্রাটাস মেঘের যে আস্তরণ লক্ষ করা যায়, তাকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু প্রাচীর বলে।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত জাপানে তাইফু নামে পরিচিত।
যেসব ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের বায়ুচাপ তার চারপাশের বায়ুচাপের চেয়ে খুব কম থাকে তাকে গভীর নিম্নচাপ (deep depression) বলে।
ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে বায়ুর চাপ সর্বনিম্ন থাকে।
জলীয়বাষ্প ও তার ভেতরকার লীনতাপ থেকে ঘূর্ণবাত শক্তি সংগ্রহ করে।
যখন কোনাে ঘূর্ণবাতের সঙ্গে প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হয়, তখন তাকে ঘূর্ণবাতজাত ঝড় (Cyclonic storm) বলে।
2007 সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোনটির নাম ছিল- সিডার।
ঘূর্ণবাত দুই প্রকার, যথা (i) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও (ii) নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাত।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের 5° – 30° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে সামুদ্রিক জলভাগের ওপর গভীর নিম্নচাপ বিশিষ্ট যে ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়, তাকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বলে।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে ঝড়ের চক্ষু সৃষ্টি হয়।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের চক্ষুর আকৃতি প্রায় গােলাকার হয়।
ITCZ হল নিরক্ষরেখা সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুর মিলিত অঞ্চল।
খামসিন হল উত্তর আফ্রিকায় প্রবাহিত একপ্রকার উয় ও শুঙ্ক স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ।
ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ নিম্নচাপবিশিষ্ট ঝড় ঘূর্ণিঝড় নামে পরিচিত।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতে সাধারণ প্রবল ঝড়ের সাথে বজ্রবিদ্যুৎসহ একটানা বৃষ্টিপাত হয়।
উত্তর-পশ্চিম ভারতে শীতকালে যে ঝড়বৃষ্টি হয় তাকে পশ্চিমি ঝঞা বলে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে বায়ু ভারতে এসে এই বৃষ্টি ঘটায়।
ঘূর্ণবাতের বায়ু উত্তর গােলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণবাত নামে পরিচিত।
উষ্ণ-আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও শুষ্ক স্থলবায়ুর সংঘর্ষের ফলে মৌসুমি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে অর্থাৎ ঘূর্ণবাতের চক্ষু অঞ্চলে উষ্ণতা সব থেকে বেশি থাকে।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকে ও প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়। এই অঞ্চলটিকেই ঝঞ্চাবিক্ষুদ্ধ বলয় বলে।
স্থলভাগে প্রবেশ করার পর মূলত দুটি কারণে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমে যায়। যেমন—(i) স্থলভাগের ঘর্ষণজনিত বাধা। (ii) স্থলভাগে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় লীনতাপের জোগান ব্যাহত হয়।
টর্নেডাে শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ বজ্রঝঞ্জা।
আবহবিজ্ঞানীদের মতে, স্বল্প পরিসর স্থানে অত্যধিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য অত্যধিক শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে টর্নেডাের উৎপত্তি ঘটে।
ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে যখন দুটি অসমধর্মী বায়ুপুঞ্জ পরস্পর মিলিত হয়, তখন তাকে উৎস সীমান্ত বা ফ্রন্টোজেনেসিস বলে।
পরস্পর বিপরীত দিকে প্রবাহিত বায়ুপুঞ্জের দ্বারা সীমান্ত ধ্বংস হলে, তাকে বিশ্লিষ্ট সীমান্ত বা ফ্রন্টোলাইসিস বলে।
শক্তিশালী উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ দুর্বল শীতল বায়ুপুঞ্জকে যে সীমান্তপৃষ্ঠ বরাবর স্থানচ্যুত করে, সেই সীমান্তকে উষ্ণ সীমান্ত বলে।
শক্তিশালী শীতল বায়ুপুঞ্জ দুর্বল উষ্ণ বায়ুপুঞ্জকে যে সীমান্তপৃষ্ঠ বরাবর স্থানচ্যুত করে। সেই সীমান্তকে শীতল সীমান্ত বলে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের কেন্দ্র অস্থির এবং অশান্ত প্রকৃতির হয়।
কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে অধােগামী বায়ুপ্রবাহকে প্রতীপ ঘূর্ণবাত বলে।
শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে গতিহীন, শান্ত ও মেঘশূন্য অবস্থাকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে।
ঘূর্ণবাতে সমচাপরেখাগুলি পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রস্থলকে ঘূর্ণবাতের গবাক্ষ বলা হয়।
আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বদিকে ITCZ অঞ্চলে উদ্ভূত নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়কে পুবালি তরঙ্গ বলে।
প্রতীপ ঘূর্ণবাতে সমচাপরেখাগুলি পরস্পরের থেকে অনেক দূরে দূরে অবস্থান করে।
প্রতীপ ঘূর্ণবাতে বায়ু উত্তর গােলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে বা ডানবর্তে প্রবাহিত হয়।
উত্তর আমেরিকার কানাডা ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর সর্বাধিক প্রতীপ ঘূর্ণবাত ঘটে।
প্রতীপ ঘূর্ণবাত সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল (i) শীতল ভূপৃষ্ঠ, (ii) উচ্চ বায়ুচাপ, (iii) শীতল বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি।
অবস্থান অনুসারে প্রতীপ ঘূর্ণবাত দুই প্রকার। যথা (i) উচ্চ অক্ষাংশের প্রতীপ ঘূর্ণবাত ও (ii) মধ্য অক্ষাংশের প্রতীপ ঘূর্ণবাত।
হ্যাডলি কোশ ক্রান্তীয় কোশ নামে পরিচিত।
হ্যাডলি কোশের গুরুত্ব হল- (i) পৃথিবীব্যাপী তাপের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করা, (ii) কিছু নির্দিষ্ট বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টিতে সহায়তা করা।
উভয় গােলার্ধে 30° থেকে 60° অক্ষাংশে অর্থাৎ মধ্য অক্ষাংশে ফেরেল কোশের অবস্থান লক্ষ করা যায়।
ফেরেল কোশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি- (i) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সৃষ্টিতে সহায়তা করে, (ii) তাপ বিনিময়ের মাধ্যমে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে যে শীতল ও শুষ্ক বায়ু নিয়মিতভাবে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে মেরু বায়ু বলে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের পঞ্চম পর্যায়ে শীতল সীমান্ত যখন উয় সীমান্তকে ধরে ফেলে এবং একটি মিলিত সীমান্তে পরিণত হয়, তখন তাকে অকুডেড ফ্রন্ট বলে।
মধ্য অক্ষাংশে নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাতের প্রবাহপথের ডানদিকে একটি রেখা বরাবর অসংখ্য বজ্রঝঞা কক্ষের সৃষ্টি হয়, তাকে স্কোয়াল লাইন বলে।
স্কোয়াল লাইন শব্দটির অর্থ হল ক্ষণস্থায়ী দমকা ঝড়।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের দুর্বল ঘূর্ণিঝড়কে ক্রান্তীয় ডিপ্রেসন বলে।
যে অবস্থায় বায়ুমণ্ডলে সমচাপ রেখা ও সমােয় রেখা পরস্পরের সমান্তরালে অবস্থান করে, তাকে ব্যারােট্রপিক অবস্থা বলে।
হ্যাডলি কোশের অবস্থান সম্পর্কে 1735 খ্রিস্টাব্দে আবহবিদ জর্জ হ্যাডলি প্রথম ব্যাখ্যা দেন।
হ্যাডলি কোশ-এর সাথে সম্পর্কিত নিয়ত বায়ুর নাম হল—উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু।
অশ্ব অক্ষাংশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে হ্যাডলি কোশের পরােক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত সৃষ্টিতে ফেরেল কোশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের অপর নাম তরঙ্গ ঘূর্ণবাত।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে স্ট্র্যাটাস মেঘের সৃষ্টি হয়।
ইংরেজি ‘cyclone’ শব্দটির অর্থ সর্পিল আকৃতির কুণ্ডলী।
দুটি ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জ অর্থাৎ উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ ও শীতল বায়ুপুঞ্জ যে সীমানায় মিলিত হয়, তাকে সীমান্ত বলে।
সাম্য সীমান্ত বরাবর বায়ুপুঞ্জের উল্লম্ব স্থানচ্যুতি লক্ষ করা যায়।
অকুডেড সীমান্ত বরাবর উষ্ণ-আর্দ্র বায়ু ওপরে উঠে ঘনীভূত হওয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ভুটানকে পৃথিবীর বজ্রপাতের দেশ বলা হয়।
যখন দুটি ভিন্নধর্মী বায়ু মিলিত হয় তখন হালকা উষ্ণ বায়ু ভারী শীতল বায়ুর উর্ধ্বে চালিত হয় ও সীমান্ত গঠন করে।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের বাইরে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি হয় বলে একে বহিঃক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বলা হয়।
নাতিশীতোষ্ণ বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টির প্রধান শর্ত হল দুই ভিন্ন উয়তাধর্মী বায়ুপ্রবাহের সংঘর্ষ।
উষ্ণ-আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু ও শীতল শুষ্ক মেরু বায়ুপ্রবাহের সংঘর্ষের ফলে মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটে।
নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতে অসম উষ্ণতা ও আর্দ্রতাসম্পন্ন বায়ুপ্রবাহ পাশাপাশি থাকার ফলে উভয়ের মাঝে যে কাল্পনিক রেখার সৃষ্টি হয়, তাকে বিচ্ছেদ রেখা বা Line of Discontinuity বলা হয়। একেই সীমান্ত বলা হয়।
উভয় গােলার্ধে মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের মধ্যে কোশটি অবস্থিত।
মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি সম্পর্কিত তাপীয় তত্ত্বটি 1686 সালে এডমন্ড হ্যালি (Edmund Halley) প্রথম প্রকাশ করেন।
মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের উৎপত্তি সম্পর্কিত ‘গতিশীল তত্ত্বের ধারণা দেন জার্মান আবহবিদ ফ্লোন (Flohn)।
ভারতীয় উপমহাদেশে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের উৎস ও উৎপত্তি সম্পর্কিত ‘তিব্বত মালভূমির তাপীয় প্রভাব তত্ত্ব ধারণাটি দেন আবহবিদ পি. কোটেশ্বরম (P. Koteswaram)।
ট্রপােস্ফিয়ারের উর্ধ্বাংশে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত। দীর্ঘাকার তরঙ্গায়িত বায়ুপ্রবাহকে রসবি তরঙ্গ বলে।
এখনও পর্যন্ত উত্তর গােলার্ধে 6টি এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ওটি রসবি তরঙ্গ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
রসবি তরঙ্গের বায়ু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
বায়ুচাপের অবক্ৰমজনিত শক্তি ও কোরিওলিস শক্তির মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হলে জিওস্ট্রফিক বায়ুর সৃষ্টি হয়।
যখন রসবি তরঙ্গের আকার বড়াে হয় এবং অক্ষাংশগত বিস্তার সুবিশাল হয়, তখন সেই অবস্থাকে লাে জোনাল ইনডেক্স বলে।
যখন রসবি তরঙ্গগুলি ছােটো হতে হতে প্রায় সােজা হয় এবং এর অক্ষাংশগত বিস্তার কম হয়, তখন সেই অবস্থাকে হাই জোনাল ইনডেক্স বলে।
ওয়াকার কক্ষগুলি যে বছরে স্বাভাবিক পরিচলন ব্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুপ্রবাহকে সক্রিয় রাখে, সেই পর্বকে ওয়াকার কক্ষের শক্তিশালী অবস্থা বলে।
ওয়াকার কক্ষগুলি যে বছরগুলিতে দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু ব্যাহত হয় ও এল নিনাে দেখা যায়, সেই বছরকে ওয়াকার কক্ষের দুর্বল অবস্থা বলে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে একটি বৃহদাকৃতির বায়ুমণ্ডলীয় কোশ পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত আছে। তাকে ওয়াকার সার্কুলেশন বলে।
উর্ধ্ব ট্রপােস্ফিয়ারে সংকীর্ণ পথ দিয়ে সর্পিলভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত প্রবল গতিসম্পন্ন এক অতিশীতল বায়ুস্রোত হল জেট স্ট্রিম।
জেট বায়ুপ্রবাহ আবিষ্কার করেন সি. জি. রসবি।
জেট বায়ুর প্রবাহপথ আঁকাবাঁকা মিয়েন্ডার প্রকৃতির।
জেট বায়ুপ্রবাহ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
অবস্থান অনুসারে জেট বায়ুপ্রবাহ তিন প্রকার। যথা- (i) মেরু জোট বায়ুপ্রবাহ, (ii) উপক্রান্তীয় জেট বায়ুপ্রবাহ ও (iii) ক্রান্তীয় জেট বায়ুপ্রবাহ।
জেট বায়ুপ্রবাহে কোরিওলিস বলের পার্থক্যজনিত কারণে রসবি তরঙ্গ সৃষ্টি হয়।
উষ্ণ উপক্ৰান্তীয় বায়ু ও শীতল মেরু বায়ুর মিলনস্থলে সৃষ্ট বায়ুচাপের খাড়া ঢাল বরাবর যে জেট বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে মেরুদেশীয় জেট বায়ুপ্রবাহ বলে।
মেরুদেশীয় জেট বায়ুপ্রবাহের অপর নাম প্রাথমিক জেট বায়ুপ্রবাহ।
মেরুদেশীয় জেট বায়ুপ্রবাহ সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী।
আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে গ্রীয়কালে পূর্ব থেকে পশ্চিমে পুবালি জেট বায়ু প্রবাহিত হয়।
জেট বায়ুপ্রবাহের অনুকূলে চলাচলকারী বিমানগুলি এই দ্রুতগতিসম্পন্ন বায়ুর সাহায্য নিয়ে সময় ও জ্বালানী সাশ্রয় করে।
উপক্রান্তীয় জেট বায়ুপ্রবাহ হ্যাডলি কোশ ও ফেরেল কোশকে পৃথক করতে সক্ষম।
দক্ষিণ গােলার্ধের মেরুদেশীয় জেট বায়ু মূলত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে বেস্টন করে প্রবাহিত হয়।
ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তে কোনাে কোনাে বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে যে দক্ষিণমুখী উয় স্রোত প্রবাহিত হয়, তাকে এল নিনাে বলে।
এল নিনাে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর প্রবাহিত হয়।
কোনাে কোনাে বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিশেষত বড়ােদিনের সময় এল নিনাে প্রবাহিত হয়।
পেরু, ইকুয়েডর প্রভৃতি দেশের পশ্চিম উপকূলভাগে এল নিনাে প্রবাহিত হয়।
এল নিনাের বছরগুলিতে ভারতীয় উপমহাদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অভাবে খরা সৃষ্টি হয়।
এল নিনাের প্রভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর উপকূলে ও আটাকামা মরুভূমিতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
লা নিনার প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমভাগ-সহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।
যে বছরগুলিতে লা নিনা আবির্ভূত হয় সেই বছরগুলিতে ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
ঘূর্ণবাতের আকৃতি প্রথমে গােলাকার থাকলেও পরে তা ডিম্বাকৃতিতে পরিণত হয়।
বাণিজ্য বায়ুর মিলন বলয় নিরক্ষীয় শান্ত বলয় নামে পরিচিত।
মৌসুমি জলবায়ুর বিপরীত জলবায়ুর নাম ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
নাতিশীতোষ্ণ বা মধ্য অক্ষাংশীয় ঘূর্ণবাতে অকুডেড সীমান্ত সৃষ্টি হয়।
এল নিনাে (El-Nino)-র বিপরীত অবস্থা লা নিনা নামে পরিচিত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে বছর এল নিনাে দেখা যায় সেই বছর দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু দুর্বল হয়।
ENSO বা El Nino Southern Oscilation।
প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনাের উৎপত্তি ঘটে।
যে বছরগুলিতে ওয়াকার বায়ুপ্রবাহ বিঘ্নিত হয় সেই বছরগুলিতে এল নিনাে আবির্ভূত হয়।
উষ্ণ সীমান্ত বরাবর উয় বায়ু সক্রিয় থাকে।
গ্রীষ্মকালে তিব্বতের মালভূমি-সংলগ্ন উর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে পুবালি জেট ও পশ্চিমা জেট বায়ুপ্রবাহ দেখা যায়।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকালে যে দুর্বল ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি হয়, তাকে মৌসুমি নিম্নচাপ বলা হয়।
টর্নেডাের কেন্দ্রের আকৃতি হাতির শুঁড়ের মতাে হয়।
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)
Leave a comment