বাংলাদেশের ঋতু চক্রে বর্ষা দ্বিতীয় ঋতু। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ লিখতে হয়। তাই আমি বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা তোমাদের যে কোন পরীক্ষায় বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ লিখতে পারো। আমি আশা করি তোমরা যদি বিভিন্ন কবিতার উক্তি দিয়ে সঠিকভাবে এই বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ লিখতে পারো তাহলে পরীক্ষায় বেশ ভালো করবে।
বাদলা দিন – অনুচ্ছেদ
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে,
জানি নে জানি নে কোন কাজে মনযে লাগে না।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। গ্রীষ্মের পরই বর্ষা ঋতুর অবস্থান। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে যখন চারিদিকে নির্জীব হয়ে ওঠে তখন বর্ষা আমাদের সামনে হাজির হয় প্রাণ স্পন্দন নিয়ে। যেদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে এবং সারাদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয় সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা যায় না এমন দিনকে বলা হয় বর্ষা মুখর দিন বা বাদলা দিন। বর্ষার এই দিনে প্রকৃতি একজন আরেকজনের কাছে যেন বিলীন হয়ে যায়। বৃষ্টির ঝাপটা চারিদিকে কুয়াশার চাদরের মতো ঢেকে রাখে। কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয় আবার কখনো টিপটিপ করে বৃষ্টি হয়।
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
পাগল আমার মন নেচে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ – সেরা ৫০ টি – অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
বর্ষাকালে বৃষ্টির পাগলা হাওয়া তাদেরই ভালো লাগে যাদের ঘরে থেকে বের হওয়ার তাড়া নেই কিন্তু যারা দিনমজুর জীবিকার তাগিদে যাদের বাইরে যেতে হয়, যাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকতে হয় তাদের জন্য এই দিন ভালো লাগে না। কিন্তু যারা ধনী তারা এই বাদলা দিনকে স্বাগত জানায়। তাদের কাছে এই দিন আনন্দময় হয়ে ওঠে কারণ তারা এই দিনে বাইরে যাওয়ার পরিবর্তে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ কৃষি উদ্যোক্তা – রচনা (২০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন
গায়ের সাধারণ মানুষ যারা প্রতিদিন আহারের জন্য টাকার হিসেব মেলায় বাদলা দিন তাদের কাছে গোল মেলে একটি দিন। রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে থৈথৈ করে, চাষীদের মাঠে কাজ থাকে না তাদের ফসল ডুবে যায়। ঘরে বসে তারা সময় কাটায় হুঁকো টেনে, জাল বুনে কিংবা পালা গান শুনে। গ্রামের বৌ – ঝিরাও সেইদিন বাইরে বের হতে পারেনা যার কারণে তারা ঘরে বসে কাঁথা সেলাই, গল্প গুজব করে সময় কাটায়। কর্মব্যস্ত মানুষের জীবন স্থির হয়ে যায়।
শেষ কথা
বর্ষার দিনে যদি ও সাধারণ মানুষের কাছে কষ্টের দিন তবুও এই দিন মানুষের মনে মিশ্র অনুভূতি সঞ্চার করে থাকে কারণ গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে মানুষ যখন ক্লান্ত হয়ে যায় বর্ষা তখন মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেয়। তাইতো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন –
এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘনঘর বরিষায়।
Leave a comment