বাংলা গানের চারণকবি মুকুন্দদাস (১৮৭৮-১৫.৫.১৯৩৪) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার বরিশালের অদ্বিতীয় নেতা অশ্বিনীকুমার দত্তের শিষ্য, শুরুর দিকে মুকুন্দ দাস যাত্রার গান লিখতেন। তা শুনে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত মুগ্ধ হন। মুকুন্দ দাস গ্রামে গ্রামে দেশপ্রেমমূলক গান গেয়ে বেড়াতেন, অভিনয় করতেন যাত্রাপালায়। ভবরঞ্জন মজুমদার সম্পাদিত ‘মাতৃপূজা সংকলনে তাঁর একটি গান—’ছিল ধান গােলাভরা, শ্বেত ইঁদুরে করল সারা’। এ গানের জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং তার তিন বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়। অসহযােগ এবং আইন-অমান্য আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাপালা ও গান দিয়ে দেশের মানুষকে মাতিয়ে তােলেন। তার ‘মাতৃপূজা’ নামক যাত্রাপালাটি ওই যুগে জনপ্রিয় হয় দেশের তরুণদের কাছে। তার রচিত কয়েকটি গ্রন্থ – সাধনসংগীত, ব্রহ়চারিণী, পল্লীসেবা, সাথী প্রভৃতি।
বাংলা গানের এই ভিন্ন ধারার গীতিকার সারাজীবনে অজস্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু তা ছাপিয়ে তিনি বাঙালি সংগীত শ্রোতার কাছে আজও প্রিয় হয়ে আছেন তার অপূর্ব গানগুলির জন্য। মুকুন্দ দাস বৈয়বধর্মে দীক্ষিত হলেও তার সাধনসংগীতে আছে পদাবলি ও শ্যামাসংগীতের অপূর্ব সমন্বয়। তিনি সারাজীবন কোনাে সম্প্রদায়ভুক্ত হননি। নিয়মিত কীর্তনের আসরেও যােগ দিতেন। লিখতেন বরিশাল হিতৈষী পত্রিকায়। বিদেশি বর্জন উপলক্ষ্যে রচিত তাঁর গানগুলি প্রতিবাদী মানুষের মনে ঢেউ তােলে। তার গান আজও আধুনিক। বাংলা গানের ইতিহাসে তার আসন চিরকাল উজ্জ্বল থাকবে।
সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরীর কৃতিত্ব আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলােচনা করাে।
লােকগান বলতে কী বােঝ? এর বিষয় বৈচিত্র্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলা লােকসংগীতের ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, বাংলা লােকসংগীত সম্পর্কে আলােচনা করাে।
ভাওয়াইয়া-চটকা গান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে।
চটকা গানের বিশিষ্টতা আলােচনা করে ভাওয়াইয়ার সঙ্গে এর মিল ও অমিলগুলি নির্দেশ করাে।
ভাটিয়ালি গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা লােকসংগীতের ধারায় সারিগানের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও।
Leave a comment