সারিগান সংগ্রামপ্রবৃত্তিজাত মৌলিক আবেগ প্রকাশক কর্মসংগীত। নৌকার মাঝি যারা বৈঠা টানে আর নৌকা চালায়, তারাই এই গানের ধারক- বাহক। এই গানের মূল উদ্দেশ্য—একঘেয়ে কাজের ভার কিছুটা লাঘব করা আর মনের আনন্দ প্রকাশ। এ জাতীয় গানে ছেলেরাই গায়ক।কাজের ছন্দেছন্দেতারাই সমবেত কণ্ঠে এ গান গায়। জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে এ গানের ধারা আজও বহমান। যুগে যুগে এ গান রচিত হয়েছে। এই শতাব্দীর সূচনা থেকে অধিকাংশ সারিগান নৌকা বাইচের গানরূপে সংগৃহীত হয়েছে। পরবর্তীকালে ছাদ- পেটাইদের কর্মসংগীত রূপেও এই গানের ব্যবহার শুরু হয়। কাজের সাথে গান আর গান গেয়ে গেয়ে কাজ— এর মাধ্যমে বাঙালি জাতি জীবনকে সরস ও প্রাণচঞ্চল করেছে। সারিগান আসলে শ্রমজীবী গােষ্ঠীর একান্ত হলেও এর জনপ্রিয়তা দেশব্যাপী।

জাতীয় ঐতিহ্যের প্রসঙ্গে জারি ও সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ব্রতকথা,ব্রতচারী, আলপনা, পটচিত্র প্রায় একসাথেই উচ্চারিত হয়। রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল দুই প্রিয় গীতিকারই সারিগানের সুরে গান সৃষ্টি করেছেন। এ গানে ভাবের গভীরতা নেই, আছে বিষয়ের বৈচিত্র্য। প্রধানত পাঁচটি উৎস থেকে বিষয় সংগ্রহ করে সারিগান রচনা করা হয়। যেমন- (১) পৌরাণিক রাধাকৃয় প্রসঙ্গ, (২) ঐতিহাসিক—নিমাইসন্ন্যাস প্রসঙ্গ, (৩) লৌকিক লৌকিক প্রেম ও জীবন, (৪) আধ্যাত্মিক—দেবতত্ত্ব ও মরমীয়াবাদ, (৫) ব্যঙ্গকৌতুক-আক্রমণ ও রঙ্গরসিকতা। তবে এই গানে পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ জাগতিক ও মানবিক আবেগ-আকাঙ্ক্ষার রূপক হিসেবেই ব্যবহৃত। সে দিক থেকে এ গান সম্পূর্ণ ইহজাগতিক। সারিগান তালপ্রধান। প্রধানত দাদরা ও কাহারবা—এই দুটি তালে গাওয়া হয়। বদরপিরের নামে রচিত সারিগান আছে। একটি সারিগানের দুই পঙক্তি—“এমন রঙের নাও বানাইয়াছে। কে, মন-মাঝি রে, রঙরাজ দেখাইয়া দে মােরে।।”

ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও। 

পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 

বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে। 

কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও। 

কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 

চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে।