যুদ্ধ নয় শান্তি
অথবা, বিশ্ব শান্তি
[সংকেত: ভূমিকা; যুদ্ধ কেন; শান্তির খোজে মানুষ; প্রথম বিশ্বযুদ্ধ; পরিণাম; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ; পরিণাম; বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা; তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা; একটি শান্তি প্রস্তাব; বিশ্বশাস্তি; উপসংহার। ]
ভূমিকা : মানুষ শান্তিপ্রিয় জাতি। যুদ্ধ করা মানুষকে মানায় না। তবুও কখনাে কখনাে মানুষ পাশবিক যুদ্ধে মেতে ওঠে। রক্তে রঙিন হয় সভ্যতার সুচারু ক্যানভাস। এমন ধ্বংসযজ্ঞ সভ্য মানুষের কাম্য হতে পারে না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যুদ্ধ সম্পর্কে বলেছেন一
নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস
শান্তির ললিত বাণী শােনাইবে ব্যর্থ পরিহাস ।
যুদ্ধ মানুষের সবচেয়ে পুরানাে কৌশল। সভ্যতা গড়ে ওঠার আগেই মানুষ প্রভাব বলয় বিস্তারের জন্য যুদ্ধ করেছে। আদিম যুগের মানুষ খাবার শিকার নিয়ে লড়াই করেছে। শিকারের ভাগ একান্ত নিজের করে পেতে নিজেদের মধ্যে বাহুবলের প্রতিযােগিতা হয়েছে । ধীরে ধীরে যুদ্ধের কৌশল নানাভাবে বদলেছে। তরবারি থেকে এটম বােম পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে। মানুষের ইতিহাসে এমন অনেক যুদ্ধ এসেছে, যেগুলােকে বলা হয় ধর্মযুদ্ধ কিংবা স্বাধিকার অর্জনের যুদ্ধ। যেমন- বদরের যুদ্ধ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। পরপর দুটি বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন-নিবেদন। কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি যুদ্ধ প্রস্তুতি। পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ সব সময়ই লেগে ছিল, এখনও লেগে আছে।
যুদ্ধ কেন : মানুষের দুনিবার লােভ, স্বার্থপরতা, দুর্বলের প্রতি সবলের শােষণের উদগ্র বাসনা, উগ্র জাতীয়তার অহংকার, আধিপত্য বিস্তারের জন্য কুৎসিত ছলনা ও চাতুরীই যুদ্ধের কারণ। মূলত ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকেই যুদ্ধের সূত্রপাত। পৃথিবীতে আদিকাল থেকেই যুদ্ধ চলছে। পৃথিবীতে যুদ্ধের শেষ নেই। মানুষই মানুষের বুকে বিদ্ধ করে সিসার বুলেট । মােটর-কামান-গােলাবারুদের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করে দেয় রক্ত-মাংসের দুর্বল দেহ। যুদ্ধ বন্ধের জন্য কত আবেদন-নিবেদন পৃথিবী জুড়ে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মগুলাে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেখা। বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করার জন্যই বিশ্বকবির আহ্বানㅡ
অসি দিয়ে নয়, নির্ভর করে মরণ দিয়ে রণ জয়
অস্ত্রে যুদ্ধ জয় করা সাজে, দেশ জয় নাহি হয়।
শান্তির খােজে মানুষ : পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই সখে-শান্তিতে জীবন উপভােগ করার আশা পােষণ করে। তাই যুদ্ধ থেকে মুক্তির জন্য হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ শান্তির পথ অন্বেষণ করে ফিরছে। এমনকি মানুষ যুদ্ধ বিপ্লব করেও শান্তি পেতে চাচ্ছে। মানুষকে শান্তির পথে আনার জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে পৃথিবীতে নবি-রাসূল পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে সকল ধর্মের পয়গাম্বরদের অংশ-থাখিরাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যুদ্ধ-বিগ্রহ করে কেউ কখনাে শান্তি পায় না, বরং শান্তি ধ্বংস হয়, অশান্তির দাবানল চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং সকল প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ করে আমাদের শান্তির পতাকাতলে শামিল হতে হবে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের স্থান ইউরােপ । এ যুদ্ধ ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এই যুদ্ধের প্রধান কারণ। হলাে ৫০ বছর ধরে ইউরােপের বিভিন দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। শুরুতে প্রধান প্রতিদ্বন্দী ছিল অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, জার্মানি, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিকে ইউরােপের কেন্দ্রীয় শক্তি এবং রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে মিত্র রাষ্ট্র বলা হয়। এ যুদ্ধে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, ইতালি, জাপান ও পরে আমেরিকা অংশ নেয়। ১৯১৮ সালে চুক্তির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। সন্ধিতে আক্রমণের জন্য জার্মানি ও সহযােগী দেশগুলােকে দায় ।
পরিণাম : প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুপক্ষের সাড়ে ৫ কোটি সৈন্যের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ সৈন্য মারা যায়। ১ কোটি ২০ লাখ সৈন্য এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ সাধারণ মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭০ লাখ লােক সম্পূর্ণ পঙ্গু হয়ে যায়। এছাড়া যুদ্ধের কারণে আক্রমণ, হত্যাকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ আর মহামারির ফলে অসংখ্য বেসামরিক লােক মারা যায় । আর্থিক দিক থেকেও এ যুদ্ধ ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মিত্র দেশগুলো জার্মানি ও সহযােগী দেশগুলাে যুদ্ধ চালাতে ১৮৬ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে। জল ও স্থলে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তিসহ মােট ব্যয় দাড়ায় ২৩০ বিলিয়ন পাউন্ড। এ যুদ্ধে ব্রিটিশরা প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে। এছাড়া মেশিন গান, যুদ্ধ বিমান ও সাবমেরিন ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্থান ইউরােপ, এশিয়া ও আফ্রিকা। এ যুদ্ধ ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় ২০ বছর পৃথিবীতে শান্তি ছিল । কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে। বিভিন্ন দেশে অন্ধ জাতীয়তাবাদ ঢেউ খেলে এবং ফ্যাসিজম ও নাৎসিবাদের জন্ম হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলার স্বাক্ষর বহন করছে জাপানের হিরােশিমা, নাগাসাকির ধ্বংসস্তুপ। আর পারমাণবিক অস্ত্রের প্রভাবে জন্ম নেওয়া বিকলাঙ্গ বংশধর । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইউরােপে শুরু হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। জার্মানির ক্ষমতায় আরােহণ করে এডলফ হিটলার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির সৈন্য পােল্যান্ডে প্রবেশ করে। ব্রিটেন ও ফ্রান্স জানব বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করে। ১৯৪০ সালে জার্মানি ব্রিটেন আক্রমণ করে। পরস্পর আক্রমণ না করার সন্ধি থাকা সত্ত্বেও ১৯৪১ সালে জার্মানি রাশিয়া আক্রমণ করে। ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ ও আমেরিকার সৈন্যরা প্রচণ্ড বােমাবর্ষণ করে জার্মানদের পরাজিত করে। ১৯৪৫ সালের মে মাসে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে । ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে আমেরিকা জাপানের হিরােশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বােমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ১ লাখ ২০ হাজারের অধিক লােক মারা যায়। ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে জাপানের আত্মসমপর্ণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।
পরিণাম : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের দুটি নতুন শক্তির উদয় হয়। সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখের অধিক লােক মারা যায়। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ বেসামরিক লােক। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ লােক চিকিৎসা শিবিরে প্রাণ হারায়। লােকজন, শহর, প্রাকৃতিক সম্পদসহ সারা বিশ্বের ভয়ংকর ক্ষতি হয়। পারমাণবিক বােমাসহ অনেক নতুন নতুন মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা : ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি অনেক রাষ্ট্রই রক্ষা করেনি। ভিয়েতনামের যুদ্ধে দেড় কোটি বােমার আঘাতে মাটি তামা হয়ে যায়। কম্পােচিয়ার বনাঞ্চল তৃণশূন্য হয়ে যায়। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইরান-ইরাক যুদ্ধ, ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধ, ১৯৯০ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের শেষ নেই । জাতিসংঘ আজ বৃহৎ শক্তিবর্গের স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে নিজের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছে না। জাতিসংঘ আজ পরিণত হয়েছে ক্রীড়নক সংঘে। বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি আমেরিকা জাতিসংঘকে অগ্রাহ্য করে মিথ্যা অজুহাতে ইরাক আক্রমণ করেছে। হত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ নিরীহ ইরাকি নারী-পুরুষ ও শিশুকে। মিথ্যা অজুহাতে ইরাকের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ শান্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ সমস্ত ইরাককে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এসব জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমেরিকা আসলে ইরাকের তেল ক্ষেত্র দখলে নিতে চায় । আফগানিস্তানেও এভাবে অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে সে দেশকে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। আসল উদ্দেশ্য সে দেশের তেলসহ খনিজ সম্পদ দখলে নেওয়া। আল কায়দা একটা মার্কিন সৃষ্ট ইস্যু মাত্র। তাই আজ পনরায়। শ্লোগান উঠেছে ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’। কিন্তু এ শান্তি কীভাবে আসবে এর উপায় বিশ্ববাসীর জানা নেই। কারণ আমেরিকা আজ বেপরােয়া। এ অবস্থায় জাতিসংঘের পক্ষে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর কিছু করা প্রায় অসম্ভব।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা : ‘জোর যার মুলুক তার প্রবাদটি বিশ্ববাসীর মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। প্রভাবশালীরা এই প্রবাদকে পুঁজি করে দুর্বলের ওপর সর্বদা অত্যাচার করছে। ক্ষমতাবানদের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পৃথিবী আজ ভীত, প্রকম্পিত । প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যুদ্ধ লেগেই আছে। শক্তিশালী দেশগুলাে অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র চালানাের প্রতিযােগিতায় মেতে উঠেছে । তারা ব্যাপক বিধ্বংসী পারমাণবিক বােমা তৈরি করে মজুদ রাখছে। যেকোনাে সময় তারা ধ্বংস যুদ্ধে নামতে পারে। বিশ্বব্যাপী বড় বড় যুদ্ধকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নামকরণ করা হয়েছে। দিন দিন মানুষে মানুষে, দেশে-দেশে যুদ্ধ বেড়েই চলেছে। তাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।
একা শান্তি প্রস্তাব : ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট তার শান্তি প্রস্তাবে বলেছেন, ভবিষ্যতের দিনগুলােতে যা আমরা নিরাপদ করে তুলতে চাহ, আমাদের প্রত্যাশা চারটি প্রধান মানবিক স্বাধীনতার ওপর এই পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত। প্রথমটি হলাে, বাকস্বাধীনতা ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা। দ্বিতীয়টি হলাে, প্রত্যেক ব্যক্তির নিজ পন্থা অনুযায়ী ঈশ্বরের আরাধনা করার স্বাধীনতা। তৃতীয়টি হলাে, অভাব থেকে মুক্তি পার্থিব সংজ্ঞার অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, প্রত্যেক জাতিকে তার অধিবাসীদের একটা সুস্থ শান্তিকামী জীবনের অধিকার দেবে। চতুর্থটি হলাে, শঙ্কা থেকে মুক্তি। পার্থিব সংজ্ঞার অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, বিশ্বব্যাপী অস্ত্রসজ্জা হাস করা, যাতে কোনাে রাষ্ট্রের অন্য কোনাে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর বাস্তব হামলা চালানাের অবস্থা না থাকে এটা কোনাে সুদুর প্রত্যাশিত স্বর্ণযুগের কল্পনা নয়। এটা বর্তমান সময়ের মধ্যেই অর্জন করা যেতে পারে, এমন এক বিশ্বের সুনির্দিষ্ট ভিত্তি। যুদ্ধ একান্ত পাশবিক। অথচ পশুর চেয়ে মানুষই যুদ্ধ করে বেশি। আবার মানুষই যুদ্ধকে বেশি ঘৃণা করে ।
বিশ্বশান্তি : বিশ্ব জনমত আজ অনিবার্যভাবে শান্তির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী শান্তির পক্ষে জনমত গড়ে তােলা হচ্ছে। এটা খুবই শুভ লক্ষণ। শান্তির জন্য বিশ্ব শক্তিগুলাের নিরস্ত্রীকরণের শর্ত পালন করা দরকার । মারণাস্ত্রের প্রতিযােগিতা তীব্র আকার ধারণ করলে শান্তির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এজন্য মারণাস্ত্র প্রতিযােগিতা রুখতে হবে । বিশ্ব জনমত ঐক্যবদ্ধ করে তােলাই বিশ্বশান্তির একমাত্র । উপায়।
উপসংহার : প্রাচীন রােমের একটি প্রবাদ হলাে- ‘শান্তি যদি চাও, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।’ এ নীতিতেই বিশ্বের পরাশক্তিগুলাে বিশ্বাসী। আর তাই বিশ্বে যুদ্ধের শেষ নেই, শান্তির পক্ষে জনমতেরও অভাব নেই। আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ডামাডােল হয়তাে এখন নেই । কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধ চলেছে অনেক দিন। আপাতত বিশ্বের এক নম্বর শক্তি আমেরিকা। প্রতিদ্বন্দ্বীর অভাবে এখন আমেরিকাও শান্তির পক্ষে। আর যুদ্ধ নয়, পৃথিবীতে শান্তির স্থায়ী আবাস গড়ে উঠুক- এটাই শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রার্থনা। যুদ্ধ মানুষকে ধ্বংস করে, ধ্বংস করে সভ্যতাকে। পৃথিবী আলােকিত হােক শান্তির আলােকবর্তিকা হাতে। শ্বেত কপােত উড়ক অনন্ত আকাশের সীমানায়।
Leave a comment