বিড়াল

অথবা, পোষা প্রাণী

অথবা, তোমার পোষা প্রাণী

(এই রচনাটি পঞ্চম শ্রেণীর উপযোগী করে রচিত।)

[রচনা সংকেত : ভূমিকা ; দৈহিক বর্ণনা ; বর্ণ ; আবাসস্থল ; প্রাপ্তিস্থান ; উপকারিতা ; অপকারিতা ; উপসংহার।]


ভূমিকা : বিড়াল স্তন্যপায়ী ও চতুষ্পদ প্রাণী। এটি দেখতে বাঘের মতো। তাই বিড়ালকে ‘বাঘের মাসী’ বলা হয়। প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, বাঘ ও বিড়াল সমগোত্রীয় প্রাণী। বিড়াল সহজেই মানুষের ডাল স মনের ভাব বুঝতে পারে ও পোষ মানে। 

দৈহিক বর্ণনা : বিড়ালের দেহ ঘন ও নরম লোমে আবৃত। বিড়ালের দুটি কান, দুটি চোখ, একটি নাক, একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। এর দাঁত ও নখগুলো খুবই ধারালো। এদের পায়ের নিচে তুলতুলে মাংসের পুটুলি আছে। এ পুটুলির মধ্যে নখগুলো লুকানো থাকে বলে বিড়াল নিঃশব্দে চলাফেরা করতে পারে ।

বর্ণ : বিড়াল সাধারণত সাদা, কালো, লাল, বাদামি, ধূসর ইত্যাদি বর্ণের হয়ে থাকে।

খাদ্যাভ্যাস : বিড়ালের প্রিয় খাদ্য দুধ। তাছাড়া এরা মাছ, ভাত, মাংস ইত্যাদিও খায়। এরা বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ও ধরে খায় ।

আবাসস্থল : বিড়াল খুব আরামপ্রিয় প্রাণী। এরা সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে। উনুনের পাশে, মানুষের বিছানায় বা চেয়ারের গদিতে এরা আয়েশী ভঙ্গিতে ঘুমায়। খিদে পেলে এরা মিউ মিউ করে ডাকে। এদের ঘ্রাণশক্তি তীব্র। অন্ধকারে এরা ভালো দেখতে পায়। এরা রাতে শিকারের জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। বিড়াল ইঁদুর শিকার করে। স্ত্রী বিড়াল প্রতিবারে চার থেকে পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করে। সর্বদা মানুষের সান্নিধ্যে বসবাস করতে এরা খুব ভালোবাসে। 

প্রাপ্তিস্থান : পৃথিবীর প্রায় সব দেশে বিড়াল দেখা যায়। এরা বনেও বসবাস করে। বনে বাস করা বিড়ালকে বনবিড়াল বলে।

উপকারিতা : বিড়াল মানুষের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। এরা ইঁদুর ও অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় মেরে থাকে। অধিকাংশ বাড়িতেই বিড়াল পোষা হয়। পোষা বিড়াল বিভিন্ন ধরনের খেলা ও অঙ্গভঙ্গি করে মানুষের চিত্তবিনোদনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

অপকারিতা : মানুষের উপকারের পাশাপাশি বিড়াল অপকারও করে থাকে। সুযোগ পেলে এরা মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি খাবার চুরি করে খায়। তাছাড়া বিড়াল ডিফথেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়ায়।

উপসংহার : ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতির কারণ হলেও বিড়াল মানুষের উপকারী বন্ধু। এদের প্রতি আমাদের সদয় ও যত্নবান হওয়া উচিত।