১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পরে বাংলা চলচ্চিত্রের বাণিজ্যিক দুঃসময়ে সত্যজিৎ রায় (২.৫.১৯২১-২৩,৪.১৯৯২)-এর আবির্ভাব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তার হাতে একের পর এক ছবি আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করে।

বাংলা চলচ্চিত্রের সব্যসাচী সত্যজিৎ রায় শিল্প, সাহিত্য, সংগীত আর যন্ত্র—এই চারটে জিনিসের মেলবন্ধন ঘটিয়ে সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মুগ্ধ করে বাংলা চলচ্চিত্রে সাফল্য এনে দিয়েছেন।

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট মুক্তি পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’-র প্রথম প্রদর্শন হয় নিউ ইয়র্ক-এর মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট-এ। কলকাতায় সিনেমাটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পথের পাঁচালি’ পুরস্কৃত হয়। এরপর ‘অপরাজিত’ (১৯৫৬), ‘অপুর সংসার’ (১৯৫৯) চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে অপু ট্রিলজি সম্পূর্ণ করেন সত্যজিৎ রায়। ‘অপরাজিত’ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়। ‘অপুর সংসার’-এ অভিনয়সূত্রেই বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। অপরাজিত আর অপুর সংসার এর মধ্যবর্তী সময়ে সত্যজিৎ রায় দুটি অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন—“জলসাঘর’ এবং ‘পরশপাথর’। রবীন্দ্রনাথের তিনটি ছােটোগল্প নিয়ে ‘তিনকন্যা’, নষ্টনীড় উপন্যাস অবলম্বনে ‘চারুলতা’, পরবর্তীতে ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯৮৪), এ ছাড়াও প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায়ের কাহিনি নিয়ে ‘দেবি’, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি নিয়ে ‘চিড়িয়াখানা’, শঙ্করের উপন্যাস নিয়ে ‘সীমাবদ্ধ’ তৈরি করেন তিনি। সত্যজিৎরায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের দুটি উপন্যাস ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’রও চলচ্চিত্রায়ণ করেন। নিজের কাহিনি নিয়ে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ (১৯৬২), ‘শাখা প্রশাখা’ (১৯৯০), ‘আগন্তুক’ (১৯৯২), ছােটোদের জন্য ‘সােনার কেল্লা’ (১৯৭৪), ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ (১৯৬৮) এবং ‘হীরক রাজার দেশে’ (১৯৮০) তৈরি করেন তিনি।

বিশেষত শেষেরটি বক্তব্যের গভীরতায় বড়ােদেরও ভাবনার সিনেমা হয়ে ওঠে। সত্যজিৎ তাঁর পরিচালিত সিনেমায় শুধু কাহিনি বা চিত্রনাট্য রচনাতেই নয়, সংগীত পরিচালনাতেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন। ‘তিনকন্যা’, ‘নায়ক’ (১৯৬৬), ‘চারুলতা’ ‘হীরক রাজার দেশে’ ইত্যাদি ছবিতে তিনি সংগীত পরিচালনা করেন। সত্যজিৎ রায়ের তৈরি উল্লেখযােগ্য তথ্যচিত্র-‘রবীন্দ্রনাথ’, ‘সিকিম’, ‘ইনার আই’, ‘সুকুমার রায়’ প্রভৃতি। তিনি ফ্রান্সের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘লিজিয়ন অব অনার’-এ ভূষিত হন। নিউ ইয়র্কের ‘অ্যাকাডেমি অব মােশন পিকচার্স’ কর্তৃক ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’-এর জন্যে বিশেষ ‘অস্কার’ সম্মান, ‘ভারতরত্ন’ সম্মান সহ ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে তিনি শতাধিক পুরস্কার ও সম্মান পান।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটকের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মৃণাল সেনের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃণাল সেনের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা সিনেমার স্মরণীয় কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিচয় দাও। 

বাংলা তথ্যচিত্রের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

অথবা, তথ্যচিত্র বলতে কী বােঝ? বাংলা তথ্যচিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 

ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে বােটানিক্যাল গার্ডেনের ভূমিকা ব্যক্ত করে। 

ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে এশিয়াটিক সােসাইটির অবদান কতখানি তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও। 

ঔপনিবেশিক বাংলায় শ্রীরামপুর মিশন আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চায় প্রচার ও প্রসারে কীভাবে অংশ নিয়েছিল তা পর্যালােচনা করাে। 

ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত প্রসঙ্গে স্কুল বুক সােসাইটির ভূমিকা নির্ণয় করাে। 

হিন্দু কলেজে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল তা আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চার প্রেক্ষাপটে হিন্দু কলেজের অবদান সংক্ষেপে লেখাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন সরকারের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাধাগােবিন্দ করের অবদান আলােচনা করাে।