‘সংগীত শব্দটির পাশাপাশি যন্ত্রসংগীত’ বলে একটি শব্দও চালু আছে দীর্ঘকাল। এর অর্থ বিভিন্ন সংগীতযন্ত্র থেকে যে শব্দ বা সুর সৃষ্টি করা হয়। বিশ্বের সমস্ত সংগীতই সমৃদ্ধ হয় যন্ত্রসংগীতের সহযােগিতায়। আদিম যুগ থেকে যে তালবাদ্য চলে আসছে অর্থাৎ ঢােল, ঢাক, ধামসা, মাদল, ড্রাম এগুলিও সংগীতযন্ত্র। কোন সংগীতযন্ত্রটির কবে উৎপত্তি তা নির্দিষ্ট করে আজ হয়তাে বলা সম্ভব নয়। আমরা কিছু দেশি-বিদেশি যন্ত্রের নাম উল্লেখ করতে পারি, যেগুলি দীর্ঘকাল ধরে সংগীতকে প্রকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছে। যেমন— সেতার, সরােদ, বাঁশি, সানাই, সন্তুর, জলতরঙ্গ, বেহালা, গিটার, হারমােনিয়াম, বীণা, তানপুরা, সারেঙ্গি, একতারা, দোতারা, অ্যাকর্ডিয়ান, স্যাক্সোফোন, তবলা, পিয়ানাে, অর্গান ইত্যাদি। এর মধ্যে সেতারে পণ্ডিত রবিশংকর, সরােদে আমজাদ আলি, বাঁশিতে হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, সন্তুরে শিবকুমার শর্মা, সানাইতে বিসমিল্লা খান, বেহালায় ভিজি যােগ, তবলায় জাকির হােসেন, পিয়ানাে আর অর্গ্যানে ভি বালসারা প্রমুখ প্রথিতযশা শিল্পীরা এই যন্ত্রসংগীতকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।


যেসব যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা গানের সঙ্গে বাজান, তাদের বলা হয় সহযােগী যন্ত্রী বা ইংরেজিতে মিউজিশিয়ান, চলতি কথায় ‘হ্যান্ডস’। বাংলাগানেরাধাকান্ত নন্দী, নিখিল ব্যানার্জি, ভি বালসারা, জ্ঞানপ্রকাশ ঘােষ, তিমিরবরণ, পান্নালাল ঘােষ প্রমুখ যন্ত্রশিল্পী হিসেবে উল্লেখযােগ্য নাম। তবে এঁরা কেউই শুধুমাত্র সহযােগী যন্ত্রী ছিলেন না; বিশিষ্ট সুরকার হিসেবেও প্রত্যেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বাংলা গানের উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন রকম যন্ত্রের প্রয়ােগ লক্ষ্যণীয়। একটা সময় শুধুমাত্র হারমােনিয়াম, তবলা, বাঁশি অথবা ঘাতবাদ্য সহযােগে শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করতেন। পরবর্তীযুগে এল কিবাের্ড, গিটার ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে বিশেষত ব্যান্ডের গানে বিভিন্ন ‘ইলেকট্রনিকস যন্ত্র’ ব্যবহৃত হচ্ছে যা অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। শিল্পী সুমন চট্টোপাধ্যায় নয়ের দশকের গােড়ার দিকে সংগীতের মঞ্চ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা বাংলা গানে নিয়ে আসেন, যেখানে সংগীতশিল্পী নিজেই গানের সাথে সহযােগী একাধিক যন্ত্র বাজিয়ে যান। পরবর্তীতে এই ধারাই বাংলা গানে চালু আছে।


বাংলা গানের স্মরণীয় শিল্পীদের নাম উল্লেখ করে যে-কোনাে একজন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা সংগীতের ধারায় রবীন্দ্র সংগীতের অবদান বিষয়ে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ধারায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের অবদান আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ধারায় গীতিকার ও সুরকার অতুলপ্রসাদ সেনের অবদান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে। 

বাংলা গানের ইতিহাসে চারণ কবি মুকুন্দদাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

বাংলা সংগীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলােচনা করাে। 

সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরীর কৃতিত্ব আলােচনা করাে।  

অথবা, বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

লােকগান বলতে কী বােঝ? এর বিষয় বৈচিত্র্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা লােকসংগীতের ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অথবা, বাংলা লােকসংগীত সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

ভাওয়াইয়া-চটকা গান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে। 

চটকা গানের বিশিষ্টতা আলােচনা করে ভাওয়াইয়ার সঙ্গে এর মিল ও অমিলগুলি নির্দেশ করাে। 

ভাটিয়ালি গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।